ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

যেন আশার গুড়ে বালি, নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার মন খারাপ

মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, রাজশাহী ব্যুরো
  • আপডেট সময় : ১২:৩৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, রাজশাহী ব্যুরো: এ যেন আশার গুড়ে বালি পড়লো রাজশাহী-২ আসনের (সদর) নৌকার প্রার্থী ও ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার। এ আসনে টানা চার বারের মতো নৌকা প্রতীক পেলেও এবার শুরু থেকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশে পাননি তিনি।

মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শুরু থেকেই এবার অভিযোগ কেরে আসছেন, কেবল নির্বাচন এলেই ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে দৌড়ান। কিন্তু নির্বাচন পার হয়ে গেলে তিনি উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই বিষদগার করতে থাকেন। সরকারি অনুদান নিজের মতো করে বিলি করেন। ফলে এবার রাজশাহী মাহনগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাদশার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এতে করে অনেকটায় একা হয়ে পড়েন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি বিভিন্ন আসন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যে যার ইচ্ছেমতো ভোট দেবে, কেউ বাধা দিতে পারবে না। কোথাও কেউ কোন সংঘাত করতে পারবে না। তিনি সংঘাত চান না।

বুধবার বিকালে রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থী আছে৷ বিভিন্ন জায়গা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যার যার ভোট সে তার ইচ্ছামতো দেবে।

সেই পরিবেশটাও আমাদের রক্ষা করতে হবে। সহনশীল আচরণ দেখাতে হবে। মনে রাখতে হবে এই নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একান্তভাবে জরুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ নিয়ে তো অনেকে খেলতে চাই। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, জয় বাংলা স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, তারা দেশটাকে ধ্বংস করবে।

তারা যেন এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই নির্বাচন করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে। যার যার ইচ্ছা মতো ভোট দেবে। এখানে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।

নির্বাচনে সংঘাত চান না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, কোনরকম সংঘাত আমি চাই না।আমি চাই সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ যে যার ইচ্ছা মতো ভোট দেবে।

সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর সরকারি কলেজ মাঠে রাজশাহীর এই নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়।

এদিকে, সাধারণ মানুষের মাঝে ভোটের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলী বক্তব্য দিয়েছেন।তার বক্তব্যে দেশের মানুষ অনুপ্রাণীত হয়েছেন।

বিএনপি এ ভোট বর্জন করে প্রচারণা চালালেও বুধবার বিকেলে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি বক্তব্যে সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণীত হবেন।

তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন উৎসাহ নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মানুষের মাঝে ভোট নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করবে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

Translate »

যেন আশার গুড়ে বালি, নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশার মন খারাপ

আপডেট সময় : ১২:৩৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪

মোঃ মেহেদী হাসান মুন্না, রাজশাহী ব্যুরো: এ যেন আশার গুড়ে বালি পড়লো রাজশাহী-২ আসনের (সদর) নৌকার প্রার্থী ও ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার। এ আসনে টানা চার বারের মতো নৌকা প্রতীক পেলেও এবার শুরু থেকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশে পাননি তিনি।

মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শুরু থেকেই এবার অভিযোগ কেরে আসছেন, কেবল নির্বাচন এলেই ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে দৌড়ান। কিন্তু নির্বাচন পার হয়ে গেলে তিনি উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেন।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই বিষদগার করতে থাকেন। সরকারি অনুদান নিজের মতো করে বিলি করেন। ফলে এবার রাজশাহী মাহনগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাদশার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। এতে করে অনেকটায় একা হয়ে পড়েন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি বিভিন্ন আসন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যে যার ইচ্ছেমতো ভোট দেবে, কেউ বাধা দিতে পারবে না। কোথাও কেউ কোন সংঘাত করতে পারবে না। তিনি সংঘাত চান না।

বুধবার বিকালে রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থী আছে৷ বিভিন্ন জায়গা উন্মুক্ত করে দিয়েছি। যার যার ভোট সে তার ইচ্ছামতো দেবে।

সেই পরিবেশটাও আমাদের রক্ষা করতে হবে। সহনশীল আচরণ দেখাতে হবে। মনে রাখতে হবে এই নির্বাচনটা বাংলাদেশের জন্য একান্তভাবে জরুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ নিয়ে তো অনেকে খেলতে চাই। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, জয় বাংলা স্লোগান যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যারা নিষিদ্ধ করে দেয়, তারা দেশটাকে ধ্বংস করবে।

তারা যেন এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই নির্বাচন করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে। যার যার ইচ্ছা মতো ভোট দেবে। এখানে কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।

নির্বাচনে সংঘাত চান না জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, কোনরকম সংঘাত আমি চাই না।আমি চাই সত্যিকার অর্থে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ যে যার ইচ্ছা মতো ভোট দেবে।

সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তাহলে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর সরকারি কলেজ মাঠে রাজশাহীর এই নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করা হয়।

এদিকে, সাধারণ মানুষের মাঝে ভোটের উন্মাদনা ছড়িয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৌশলী বক্তব্য দিয়েছেন।তার বক্তব্যে দেশের মানুষ অনুপ্রাণীত হয়েছেন।

বিএনপি এ ভোট বর্জন করে প্রচারণা চালালেও বুধবার বিকেলে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি বক্তব্যে সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণীত হবেন।

তারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন উৎসাহ নিয়ে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মানুষের মাঝে ভোট নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করবে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই।