ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

রুয়েটে প্রথম ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) প্রথমবারের মত আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট-২০২৩। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে এবং দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গেছে।

এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রুয়েটের প্রশাসনিক ভবনে এ উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: অটোমেশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা মাথায় রেখে চাকরীর জন্য প্রস্তুত মানসম্পন্ন স্নাতক তৈরির লক্ষ্যে রুয়েট প্রতিনিয়ত ডিগ্রী প্রোগ্রামের পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করে চলেছে।

এই কথাই সামনে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট ২০২৩ আয়োজন করেছেন।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্বনামধন্য, প্রথমসারির এবং প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা এ অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং তাঁদের মতামত প্রদান করবেন।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাকুরীর প্রকার ও চহিদা অনুযায়ী দেশ ও বিদেশের জন্য মানসম্পন্ন স্নাতক তৈরির লক্ষ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠান অত্যাবশ্যকীয়।

আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাগন একে অপরের পরিপূরক এবং অবিভাজ্য।

এই সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সোপান এবং ‘রূপকল্প বাংলাদেশ ২০৪১’ বাস্তবায়নের চাবিকাঠি।

আমরা আশা করছি, এই ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাগনের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিনিময়ের জন্য MoU (সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষর হবে।

উল্লেখ্য যে, রুয়েট বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এবং ছাত্র ভর্তির দিক হতে বৃহত্তম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

উত্তরবঙ্গের গর্ব এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি খ্রিস্টীয় ১৯৬৪ সাল থেকে প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও পরিকল্পনার বিভিন্ন শাখায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রদান করে আসছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মকান্ডের জন্য দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন পেশাদার প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।

ঐতিহ্যগত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ তাত্ত্বিক বিষয়াবলীর উপর আর শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ মুনাফার উপর জোর দিয়ে থাকে।

উন্নতবিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু এইখানে বাংলাদেশের অবস্থান একদম শূণ্য না হলেও আসল চিত্রটি আশাব্যঞ্জক নয়।

নিয়োগকর্তারা প্রায়ই চাকরীর জন্য প্রস্তুত মানসম্পন্ন স্নাতকের অভাবে ভোগেন। এর মূলকারণ পরস্পর নির্ভরতা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমুহের একটি দৃশ্যমান ব্যবধান রয়েছে।

এছাড়াও, স্নাতক ডিগ্রীধারীগন চাকুরীতে প্রবেশের পরই তাত্ত্বিক বিষয়াবলীর সাথে চাকুরীর বাস্তব চাহিদার বৈষম্য বুঝতে পারেন।

এজন্য চাকুরীর বাস্তব চাহিদা জানাসম্পন্ন কর্মশক্তি অতীব প্রয়োজন যা প্রথাগত শ্রেণীকক্ষ মডেল এ ধরনের কর্মশক্তি প্রস্তুতির জন্য অপর্যাপ্ত।

এখানেই উভয়পক্ষের কার্যকরী সহযোগিতা অংশগ্রহণের দাবী রাখে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এর আলোকে বিদ্যমান পাঠ্যসূচীকে যুগোপোযোগী করার লক্ষ্যে শিল্পের বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্প, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ এবং বর্তমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলো পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমুহ ইন্টার্নশীপ ও মেন্টরশীপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা অর্জনের ব্যবস্থা করে দিতে পারে।

এই সহযোগিতার মেলবন্ধন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবধান কমিয়ে স্নাতকদের সুদক্ষকর্মশক্তি হিসেবে ভালোভাবে প্রস্তুত হতে নিশ্চিতভাবে সহায়তা করবে।

Translate »

রুয়েটে প্রথম ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট কাল

আপডেট সময় : ১২:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) প্রথমবারের মত আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট-২০২৩। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে এই অনুষ্ঠান শুরু হবে এবং দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গেছে।

এ উপলক্ষ্যে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রুয়েটের প্রশাসনিক ভবনে এ উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, বর্তমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: অটোমেশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা মাথায় রেখে চাকরীর জন্য প্রস্তুত মানসম্পন্ন স্নাতক তৈরির লক্ষ্যে রুয়েট প্রতিনিয়ত ডিগ্রী প্রোগ্রামের পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করে চলেছে।

এই কথাই সামনে বাংলাদেশের প্রথমবারের মতো ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট ২০২৩ আয়োজন করেছেন।

বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্বনামধন্য, প্রথমসারির এবং প্রতিষ্ঠিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তারা এ অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ এবং তাঁদের মতামত প্রদান করবেন।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চাকুরীর প্রকার ও চহিদা অনুযায়ী দেশ ও বিদেশের জন্য মানসম্পন্ন স্নাতক তৈরির লক্ষ্যে এ ধরনের অনুষ্ঠান অত্যাবশ্যকীয়।

আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাগন একে অপরের পরিপূরক এবং অবিভাজ্য।

এই সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পারস্পরিক সহযোগিতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সোপান এবং ‘রূপকল্প বাংলাদেশ ২০৪১’ বাস্তবায়নের চাবিকাঠি।

আমরা আশা করছি, এই ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া কোলাবোরেশন মিট ২০২৩ বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও উদ্যোক্তাগনের মধ্যে পারস্পরিক উন্নয়ন ও সহযোগিতা বিনিময়ের জন্য MoU (সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষর হবে।

উল্লেখ্য যে, রুয়েট বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রাচীনতম এবং ছাত্র ভর্তির দিক হতে বৃহত্তম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।

উত্তরবঙ্গের গর্ব এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি খ্রিস্টীয় ১৯৬৪ সাল থেকে প্রকৌশল, বিজ্ঞান ও পরিকল্পনার বিভিন্ন শাখায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী প্রদান করে আসছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মকান্ডের জন্য দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন পেশাদার প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়ে আসছে।

ঐতিহ্যগত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ তাত্ত্বিক বিষয়াবলীর উপর আর শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহ মুনাফার উপর জোর দিয়ে থাকে।

উন্নতবিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সহযোগিতার প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু এইখানে বাংলাদেশের অবস্থান একদম শূণ্য না হলেও আসল চিত্রটি আশাব্যঞ্জক নয়।

নিয়োগকর্তারা প্রায়ই চাকরীর জন্য প্রস্তুত মানসম্পন্ন স্নাতকের অভাবে ভোগেন। এর মূলকারণ পরস্পর নির্ভরতা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমুহের একটি দৃশ্যমান ব্যবধান রয়েছে।

এছাড়াও, স্নাতক ডিগ্রীধারীগন চাকুরীতে প্রবেশের পরই তাত্ত্বিক বিষয়াবলীর সাথে চাকুরীর বাস্তব চাহিদার বৈষম্য বুঝতে পারেন।

এজন্য চাকুরীর বাস্তব চাহিদা জানাসম্পন্ন কর্মশক্তি অতীব প্রয়োজন যা প্রথাগত শ্রেণীকক্ষ মডেল এ ধরনের কর্মশক্তি প্রস্তুতির জন্য অপর্যাপ্ত।

এখানেই উভয়পক্ষের কার্যকরী সহযোগিতা অংশগ্রহণের দাবী রাখে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এর আলোকে বিদ্যমান পাঠ্যসূচীকে যুগোপোযোগী করার লক্ষ্যে শিল্পের বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্প, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ এবং বর্তমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগুলো পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমুহ ইন্টার্নশীপ ও মেন্টরশীপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী অভিজ্ঞতা অর্জনের ব্যবস্থা করে দিতে পারে।

এই সহযোগিতার মেলবন্ধন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে শিল্পপ্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবধান কমিয়ে স্নাতকদের সুদক্ষকর্মশক্তি হিসেবে ভালোভাবে প্রস্তুত হতে নিশ্চিতভাবে সহায়তা করবে।