খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত নাটোরের গাছিরা
- আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩ ৭৩ বার পড়া হয়েছে
জুলকার নাইন
নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
খেজুরের রস সংগ্রহ ও রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাটোরের গাছিরা। শীতের শুরুতেই বেড়েছে রসের চাহিদা। পাশাপাশি রস জ্বালিয়ে তৈরি করা গুড়ের চাহিদাও অনেক।
শীত মৌসুমে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হয় হরেক রকমের পিঠা ও পায়েস। পাশাপাশি গুড় দিয়ে তৈরি হয় নানান পিঠাপুলি।
বাণিজ্যিকভাবে খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে গাছিদের। গাছিরা রস সংগ্রহের জন্য গাছ কাটা শুরু করেছেন। তবে আহরিত রসের পরিমাণ এখন খুবই কম।
সুস্বাদু এই খেজুরের রস আগুনে জ্বালিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের পাটালি ও লালি গুড়। খেজুর ও রস বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার গাছিরা।
সকালে সূর্য মিটমিট করে আলো ছড়ানোর আগেই রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি হচ্ছে। খেজুরের রস আহরণ শেষে হাঁড়িতে সংগৃহীত রস নিয়ে বড় চুলার কাছে ছুটে আসেন গাছিরা। এসব রস শুকিয়ে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে জ্বালানোর পর তৈরি হয় লাল গুড়।
“দৈনিক বর্তমান সংবাদ” এর নাটোর জেলা প্রতিনিধিকে গাছিরা জানান, শীত মৌসুমের শুরু থেকেই খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করা হয়। শীতের প্রায় চার মাস রস সংগ্রহ করা যায়। রস থেকে বিভিন্ন রকমের পাটালি ও লালি গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আমরা সংসার চালাই।
আরও জানান, শীতের পিঠা ও পায়েসের জন্য খেজুরের রস ও গুড়ের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই খেজুর গাছের সাদা অংশ পরিষ্কার করে ছোট-বড় মাটির কলস বেঁধে রাখা হয় রসের জন্য। এরপর ভোর থেকেই ওইসব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। তবে শীত এখনও জেঁকে না বসায় রস আহরণের পরিমাণ খুবই কম। তবে ভেজালের ভিড়ে আসল খেজুরের গুড় পাওয়ায় যেন দায় হয়ে পড়েছে। বাজারে বেশীরভাগ খেজুরের গুড়ই চিনি মিশ্রিত। খাঁটি গুড়ের সন্ধান মেলে কেবল গাছিদের কাছে।
গুড় ক্রেতা মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, খাঁটি গুড় পাওয়ার আশায় বাজারে আসলাম। কিন্তু গন্ধ ও স্বাদ কিছুই পাচ্ছি না। দামও ৩০০ টাকার ওপরে। আসলে ভেজালের কারণে খাঁটি জিনিসের প্রাপ্যতা একটু মুশকিল হয়ে গেছে।