ঢাকা ১০:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

*****একটি ছোট গল্প*****

মোঃ নুরুন্নবী, শহর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

বর্তমান সংবাদ ডেস্ক

এক দেশে একটি রাজা বসবাস করতো, তার ছিল বিশাল ধন সম্পদে মালিক। মালিকানা দিক থেকে রাজা কিন্তু সবার হাই লেভেলে ছিল।তার রাজ্যের মধ্যে রাজা বেশি প্রাধান্য দিত তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে রাজার ছিল দুই ভাই রাজা সহ, রাজ্যের যতসব কর্মকাণ্ডের ব্যস্ততা ছিল তার সহধর্মিনী, যে রাজ্যের মধ্যে রাজা বসবাস করতো রাজাকে বেশি সমার্থক দিয়েছিল রাজ্যের প্রজারা রাজাকে জয়যুক্ত করে।

সাম্প্রতিক সময়ে, হঠাৎ করে, অর্থনৈতিক এর কারণে, রাজা দেশটি চালানোর সাক্ষামত ছিল না, রাজার বউ একটা বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করল, রাজাকে বলল, আপনি কয়েক মাস দেশের বাইরে থাকেন না হয় বনবাসে চলে যান, রাজা বউয়ের বুদ্ধিতে না বলতে পারল না, কারণ তাকে দেশ অবশ্যই ছাড়তে হবে, না হয় তার ফ্যামিলিতে সমস্যা করবে,প্রজারা সে কি করল,বনবাসে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিলো, বনবাসে যাওয়ার যাত্রাকালীন, তার হাতে কোন সম্পদ ছিল না, সম্পদ ছিল তার একটি কবুতর।

রাজার কাছে কিন্তু সাত বাদশা ধন ছিল ৬ টি, রাজার মাকে দিয়েছিল জমা দুইটি রাজার বউ কে দিয়েছিল তিনটি, এবং রাজা ছোট ভাই কে দিয়েছিল একটি‌। কিন্তু বনবাসে রাজা অনেক দিন ধরে উপাস ছিল, তার কাছে কোন সম্পদ ছিল না, সে তার পেটের খিদা নিয়ে দুই চার দিন চলে গেল বনবাসে, কোথাও থেকে মোটু খাবার পেল না, সে আল্লাহর কাছ থেকে প্রার্থনা করতে লাগল, সেই তখন মোনাজাতে বসে গেল।

মোনাজাতের শেষ প্রান্তে, একটা জলপরী দেখতে পেলো, এই জলপরী কে দেখে রাজা ভীষণ খুশি, হঠাৎ করে তার পাশে গেল রাজা, জলপরী টা ছিল মেয়ে, রাজা বলল,জলপরী মা আপনার থেকে কোন খাবার আছে, জলপরী বলল হ্যাঁ আমার থেকে খাবার আছে, রাজা বলল আমি আজকে 5 দিন যাব অনাহার অনাদারে মরতেছি আমার পেটে খিদা, আমাকে খাবার দিন, কিন্তু জলপরী তাকে একটা শর্ত দিয়ে দিল, আমি তোমাকে খাবার দিতে পারি।

আমার শর্ত রাজি হলে, রাজা বলল আমি আপনার সব শর্ত রাজি হলাম, জলপরী বলল তোমার কি সাত বাদশার ধন আছে? রাজা বললা হ্যাঁ আছে তবে আমাকে সময় দিতে হবে, সাত বাদশার ধনের জন্য, তার সাথে থাকা কবুতরটি দিয়ে একটি চিঠি পাঠালো, চিঠি লেখা আছে, সাত বাদশার দন লাগবে আমার দুইটি , লেখাটি কবুতরকে দিয়ে কবুতর চলে গেলে তার বাসায়, তখন তার ফ্যামিলিতে বউ ছিল না, বউ ছিল তার শ্বশুর বাড়িতে, সাথে আছে মা আর ভাই, কবুতরের ঠোট দেখতে পেল একটা চিঠি , চিঠি গায়ে লেখা আছে স্ত্রী পাওনা, চিঠিটি না খুলে ছোট ভাই কি করল চিঠি টা তার শ্বশুর বাড়িতে দিন, আর ভাবিকে দিয়ে দিল, অর্থাৎ রাজার সহধর্মিনী, রাজার সহধর্মিনী চিঠিটি খুলে বলল, ওই যে তোমার ভাইয়ের সাত বাদশা ধন আমার কাছে নেই, আমার যেগুলো ছিল আমার ভাইকে দিয়ে দিচ্ছি, আপাতত আমার এগুলা পাওয়া যাবে না, ওইদিকে কিন্তু রাজা অনাহারে অনাহারে বনেবাসে রাজা মরতেছে।

বউ বলল, সাত বাদশার ধন যে, আমার কাছে ছিল সেই গুলা নেই শেষপ্রান্ত এসে, ছোট ভাইয়ের কাছে যেইগুলা সাত বাদশা ধন ছিল, সেইগুলা কাজে আসলো, চিঠি ভরে কবুতরের ঠুটে লাগিয়ে সাত বাদশার ধন দিয়ে দিল, বাদশা তার সাত বাদশার ধনটি পেয়ে খুব খুশি, সাতবাদশা ধন জলপরীকে দিয়ে দিল‌। জলপরী বলল, তোমাকে আমি ঘর বানিয়ে দিচ্ছি একটা, তুমি এখানে থাকো, এবং যতসব খাবার আমি তোমাকে দিয়ে দিলাম, রাজা তার খুশিতে উল্লাস, খাবার পেয়ে।এই গল্পটিতে অহেতুক বউয়ের সম্পদ কোন কাজে আসে নাই।

Translate »

*****একটি ছোট গল্প*****

আপডেট সময় : ১২:৪৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

বর্তমান সংবাদ ডেস্ক

এক দেশে একটি রাজা বসবাস করতো, তার ছিল বিশাল ধন সম্পদে মালিক। মালিকানা দিক থেকে রাজা কিন্তু সবার হাই লেভেলে ছিল।তার রাজ্যের মধ্যে রাজা বেশি প্রাধান্য দিত তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে রাজার ছিল দুই ভাই রাজা সহ, রাজ্যের যতসব কর্মকাণ্ডের ব্যস্ততা ছিল তার সহধর্মিনী, যে রাজ্যের মধ্যে রাজা বসবাস করতো রাজাকে বেশি সমার্থক দিয়েছিল রাজ্যের প্রজারা রাজাকে জয়যুক্ত করে।

সাম্প্রতিক সময়ে, হঠাৎ করে, অর্থনৈতিক এর কারণে, রাজা দেশটি চালানোর সাক্ষামত ছিল না, রাজার বউ একটা বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করল, রাজাকে বলল, আপনি কয়েক মাস দেশের বাইরে থাকেন না হয় বনবাসে চলে যান, রাজা বউয়ের বুদ্ধিতে না বলতে পারল না, কারণ তাকে দেশ অবশ্যই ছাড়তে হবে, না হয় তার ফ্যামিলিতে সমস্যা করবে,প্রজারা সে কি করল,বনবাসে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিলো, বনবাসে যাওয়ার যাত্রাকালীন, তার হাতে কোন সম্পদ ছিল না, সম্পদ ছিল তার একটি কবুতর।

রাজার কাছে কিন্তু সাত বাদশা ধন ছিল ৬ টি, রাজার মাকে দিয়েছিল জমা দুইটি রাজার বউ কে দিয়েছিল তিনটি, এবং রাজা ছোট ভাই কে দিয়েছিল একটি‌। কিন্তু বনবাসে রাজা অনেক দিন ধরে উপাস ছিল, তার কাছে কোন সম্পদ ছিল না, সে তার পেটের খিদা নিয়ে দুই চার দিন চলে গেল বনবাসে, কোথাও থেকে মোটু খাবার পেল না, সে আল্লাহর কাছ থেকে প্রার্থনা করতে লাগল, সেই তখন মোনাজাতে বসে গেল।

মোনাজাতের শেষ প্রান্তে, একটা জলপরী দেখতে পেলো, এই জলপরী কে দেখে রাজা ভীষণ খুশি, হঠাৎ করে তার পাশে গেল রাজা, জলপরী টা ছিল মেয়ে, রাজা বলল,জলপরী মা আপনার থেকে কোন খাবার আছে, জলপরী বলল হ্যাঁ আমার থেকে খাবার আছে, রাজা বলল আমি আজকে 5 দিন যাব অনাহার অনাদারে মরতেছি আমার পেটে খিদা, আমাকে খাবার দিন, কিন্তু জলপরী তাকে একটা শর্ত দিয়ে দিল, আমি তোমাকে খাবার দিতে পারি।

আমার শর্ত রাজি হলে, রাজা বলল আমি আপনার সব শর্ত রাজি হলাম, জলপরী বলল তোমার কি সাত বাদশার ধন আছে? রাজা বললা হ্যাঁ আছে তবে আমাকে সময় দিতে হবে, সাত বাদশার ধনের জন্য, তার সাথে থাকা কবুতরটি দিয়ে একটি চিঠি পাঠালো, চিঠি লেখা আছে, সাত বাদশার দন লাগবে আমার দুইটি , লেখাটি কবুতরকে দিয়ে কবুতর চলে গেলে তার বাসায়, তখন তার ফ্যামিলিতে বউ ছিল না, বউ ছিল তার শ্বশুর বাড়িতে, সাথে আছে মা আর ভাই, কবুতরের ঠোট দেখতে পেল একটা চিঠি , চিঠি গায়ে লেখা আছে স্ত্রী পাওনা, চিঠিটি না খুলে ছোট ভাই কি করল চিঠি টা তার শ্বশুর বাড়িতে দিন, আর ভাবিকে দিয়ে দিল, অর্থাৎ রাজার সহধর্মিনী, রাজার সহধর্মিনী চিঠিটি খুলে বলল, ওই যে তোমার ভাইয়ের সাত বাদশা ধন আমার কাছে নেই, আমার যেগুলো ছিল আমার ভাইকে দিয়ে দিচ্ছি, আপাতত আমার এগুলা পাওয়া যাবে না, ওইদিকে কিন্তু রাজা অনাহারে অনাহারে বনেবাসে রাজা মরতেছে।

বউ বলল, সাত বাদশার ধন যে, আমার কাছে ছিল সেই গুলা নেই শেষপ্রান্ত এসে, ছোট ভাইয়ের কাছে যেইগুলা সাত বাদশা ধন ছিল, সেইগুলা কাজে আসলো, চিঠি ভরে কবুতরের ঠুটে লাগিয়ে সাত বাদশার ধন দিয়ে দিল, বাদশা তার সাত বাদশার ধনটি পেয়ে খুব খুশি, সাতবাদশা ধন জলপরীকে দিয়ে দিল‌। জলপরী বলল, তোমাকে আমি ঘর বানিয়ে দিচ্ছি একটা, তুমি এখানে থাকো, এবং যতসব খাবার আমি তোমাকে দিয়ে দিলাম, রাজা তার খুশিতে উল্লাস, খাবার পেয়ে।এই গল্পটিতে অহেতুক বউয়ের সম্পদ কোন কাজে আসে নাই।