ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

মুক্তিযোদ্ধার ভাতা থেকে বঞ্চিত দুই ভাইয়ের আকুতি!

হাজী কাউছার, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ১১:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ১১৬ বার পড়া হয়েছে

হাজী মো: কাউছার,
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মাঝিকাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোহন মিয়ার সনদের অভাবে ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত দুই ভাই মোঃ হাসান মিয়া ও মোঃ শাহিন মিয়া আকুতি জানান পিতার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য।

দুই ভাই পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদের জন্য দীর্ঘ দিন বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুরেও পাননি বলে জানান বর্তমান স্বাধীন বাঙলাদেশের সোনার হিরণ খ্যাত “মুক্তিযোদ্ধা সনদ”।

দশ বছর আগে বার্ধ্যকে মারা যাওয়া মোঃ মোহন মিয়া শত চেষ্টা করেও পাননি তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ!

৩ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের জনক বার্ধ্যক আর বয়সের ভারে নত মোহন মিয়ার পর বড় ছেলে মলাই মিয়াও চেষ্টা করেছেন দীর্ঘদিন। তিনিও আজ মৃত।

নিরক্ষর ও তদবির-লবিংহীন দুই ভাই মোঃ হাসান মিয়া ও মোঃ শাহিন মিয়াও এক রকম পরাজিত। অভাবের সংসার আর দৈনতায় তাদের কোন রকমে চলে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন নেটিজেনদের কাছ থেকে জানা যায়, মোঃ মোহন মিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একজন অস্ত্র ও খাদ্য সংগ্রাহক ও সরবরাহকারি।

নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্তমানস্থ নবীনগরের মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে ছুটে বেড়িয়েছেন।

মোঃ হাসান মিয়া জানান, আমার আব্বা এমপি সাবের (সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল লতিফ) লগে লগে থাকতো, খাওন আর গুলির বস্তা লইয়া আটত। এমপি সাব বাইচা থাকলে কারো কাছে যাওন লাগত না।

কিন্তু অহনও আমরা আব্বার সার্টিফিকেট পাইচি না। সব দালাল-বাটপার! কত জনরে হুনি ভুয়া অহন! অতচ আমার আব্বার সাটিফিকেটের লেইগ্যা গেলে ক পরে, পরে! আমরা আমরার আব্বার সনদ চাই।

মোঃ শাহিন জানান, আব্বা কইতো ইলা নবীনাগরের সব ক্যাম্পে গিয়া গিয়া খাওন আর অস্ত্র দিতো। আব্বা খাওন না দিলে না খাইয়া মরতে অইতো মুক্তিযোদ্ধারা!

আব্বা আগে যদি বুজত তাইলে আব্বা অই সার্টিফেকট লইত। আব্বারে তো সবাই চিনতো। অহন তো কেউ পাত্তা অই দে না! টেহা অইলে অইতো!

অহন মুক্তিযোদ্ধারা যেই সুবিধা ফা ইডা দ আব্বা বুজজে না। আমরা অহন কোন রহমে চলি। আমরার দাবি আমরার হক আমরারে যাতে দে সরকার।

Translate »

মুক্তিযোদ্ধার ভাতা থেকে বঞ্চিত দুই ভাইয়ের আকুতি!

আপডেট সময় : ১১:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

হাজী মো: কাউছার,
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মাঝিকাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মোহন মিয়ার সনদের অভাবে ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত দুই ভাই মোঃ হাসান মিয়া ও মোঃ শাহিন মিয়া আকুতি জানান পিতার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জন্য।

দুই ভাই পিতার মুক্তিযোদ্ধার সনদের জন্য দীর্ঘ দিন বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘুরেও পাননি বলে জানান বর্তমান স্বাধীন বাঙলাদেশের সোনার হিরণ খ্যাত “মুক্তিযোদ্ধা সনদ”।

দশ বছর আগে বার্ধ্যকে মারা যাওয়া মোঃ মোহন মিয়া শত চেষ্টা করেও পাননি তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ!

৩ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তানের জনক বার্ধ্যক আর বয়সের ভারে নত মোহন মিয়ার পর বড় ছেলে মলাই মিয়াও চেষ্টা করেছেন দীর্ঘদিন। তিনিও আজ মৃত।

নিরক্ষর ও তদবির-লবিংহীন দুই ভাই মোঃ হাসান মিয়া ও মোঃ শাহিন মিয়াও এক রকম পরাজিত। অভাবের সংসার আর দৈনতায় তাদের কোন রকমে চলে।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীন নেটিজেনদের কাছ থেকে জানা যায়, মোঃ মোহন মিয়া ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একজন অস্ত্র ও খাদ্য সংগ্রাহক ও সরবরাহকারি।

নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্তমানস্থ নবীনগরের মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে ছুটে বেড়িয়েছেন।

মোঃ হাসান মিয়া জানান, আমার আব্বা এমপি সাবের (সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল লতিফ) লগে লগে থাকতো, খাওন আর গুলির বস্তা লইয়া আটত। এমপি সাব বাইচা থাকলে কারো কাছে যাওন লাগত না।

কিন্তু অহনও আমরা আব্বার সার্টিফিকেট পাইচি না। সব দালাল-বাটপার! কত জনরে হুনি ভুয়া অহন! অতচ আমার আব্বার সাটিফিকেটের লেইগ্যা গেলে ক পরে, পরে! আমরা আমরার আব্বার সনদ চাই।

মোঃ শাহিন জানান, আব্বা কইতো ইলা নবীনাগরের সব ক্যাম্পে গিয়া গিয়া খাওন আর অস্ত্র দিতো। আব্বা খাওন না দিলে না খাইয়া মরতে অইতো মুক্তিযোদ্ধারা!

আব্বা আগে যদি বুজত তাইলে আব্বা অই সার্টিফেকট লইত। আব্বারে তো সবাই চিনতো। অহন তো কেউ পাত্তা অই দে না! টেহা অইলে অইতো!

অহন মুক্তিযোদ্ধারা যেই সুবিধা ফা ইডা দ আব্বা বুজজে না। আমরা অহন কোন রহমে চলি। আমরার দাবি আমরার হক আমরারে যাতে দে সরকার।