ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

শেরপুরে আপন চাচার বিরুদ্ধে স্ত্রী ধর্ষণচেষ্টার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন ভাতিজার

মনিরুজ্জামান মনির : শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় আপন চাচার কর্তৃক নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার কঠোর বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আপন ভাতিজা ও ভুক্তভোগী স্বামী আবু রাসেল।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বৈশাখী বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আপন চাচা সুরুজ মিয়া’র কু-কীর্তি তুলে ধরে শুধু ভাতিজা নয়, ভুক্তভোগী তরুণী গৃহবধূ, এবং তার শাশুড়ি ও মা কঠোর বিচার ও শাস্তি প্রার্থনা করেছেন

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামের এক তরুণীর সাথে প্রায় ৬ মাস আগে পারিবারিকভাব বিয়ে হয় মায়াঘাসি গ্রামের পাথরশ্রমিক আবু রাসেলের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর রাসেলের আপন চাচা সুরুজ মিয়া তার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি রাসেল ও তার মা জানতে পেরে সুরুজকে বাড়িতে যেতে মানাও করেন।একপর্যায়ে গত ১৭ মার্চ রাতে ঘরে কেউ না থাকার সুবাধে সুরুজ আপন ভাতিজার স্ত্রীর কাছে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় ওই গৃহবধূ ধস্তাধস্তি শুরু করলে সুরুজ পালিয়ে যায়।পরদিন ১৮ মার্চ লজ্জা-অভিমানে গৃহবধূ বাবার বাড়ি চলে আসে এবং নানা ধরণের ঔসুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আপন চাচা শশুড়ের কু-কীর্তির কথা জানায়। এসময় তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদিকে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে সুরুজ আলীকে গৃহবধূর বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে উভয় গ্রামের ইউপি সদস্য পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকার কাছে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর সুরুজ আলী দোষ স্বীকার করলে সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে গঠিত জুরিবোর্ড গৃহবধূর অসুস্থতার জরিমানা বাবদ ক্ষতিপূরণ ধার্য করে বিষয়টি মিমাংসা করেন।

কিন্তু পরবর্তীতে সুরুজ মিয়া ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ২৮ মার্চ উল্টো ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, আপন ভাজিতা ও ভাবীসহ কয়েকজনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে।এদিকে জুরিবোর্ডের বিচার না মেনে উল্টো হয়রাণী করায় স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে ৪ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালে মামলা করেন ভুক্তভাগী গৃহবধূর স্বামী আবু রাসেল।

এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ বাড়তে থাকলে গত ২৬ মে শুক্রবার অভিযুক্ত চাচা সুরুজের হয়ে তারই সমন্ধি ও নয়াবিল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকার ছেলে কয়লা ও পাথর আমদানীকারক ব্যবসায়ী রাজিবকে চারআলী বাজার এলাকায় আটকে মারধর করে। পরদিন ২৭ মে শনিবার খোরশেদ আলম খোকা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করলে ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে রোববার জেলহাজতে পাঠানো হয়। এদিকে সোমবার এ মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামী অভিযুক্ত চাচা সুরুজ মিয়া, তার স্ত্রী সাজেদা খাতুনসহ চারজন আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাদেরও জেলহাজতে পাঠায়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভাগী গৃহবধূ, তার স্বামী আবু রাসেল, শাশুড়ী রইমন নেছাসহ সংশ্লিষ্ট স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্যাগস :
Translate »

শেরপুরে আপন চাচার বিরুদ্ধে স্ত্রী ধর্ষণচেষ্টার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন ভাতিজার

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় আপন চাচার কর্তৃক নিজের স্ত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার কঠোর বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আপন ভাতিজা ও ভুক্তভোগী স্বামী আবু রাসেল।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের বৈশাখী বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আপন চাচা সুরুজ মিয়া’র কু-কীর্তি তুলে ধরে শুধু ভাতিজা নয়, ভুক্তভোগী তরুণী গৃহবধূ, এবং তার শাশুড়ি ও মা কঠোর বিচার ও শাস্তি প্রার্থনা করেছেন

জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামের এক তরুণীর সাথে প্রায় ৬ মাস আগে পারিবারিকভাব বিয়ে হয় মায়াঘাসি গ্রামের পাথরশ্রমিক আবু রাসেলের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর রাসেলের আপন চাচা সুরুজ মিয়া তার স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। বিষয়টি রাসেল ও তার মা জানতে পেরে সুরুজকে বাড়িতে যেতে মানাও করেন।একপর্যায়ে গত ১৭ মার্চ রাতে ঘরে কেউ না থাকার সুবাধে সুরুজ আপন ভাতিজার স্ত্রীর কাছে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় ওই গৃহবধূ ধস্তাধস্তি শুরু করলে সুরুজ পালিয়ে যায়।পরদিন ১৮ মার্চ লজ্জা-অভিমানে গৃহবধূ বাবার বাড়ি চলে আসে এবং নানা ধরণের ঔসুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আপন চাচা শশুড়ের কু-কীর্তির কথা জানায়। এসময় তাকে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এদিকে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে সুরুজ আলীকে গৃহবধূর বাড়িতে আটকে রাখা হয়। পরে উভয় গ্রামের ইউপি সদস্য পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে রাতেই ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকার কাছে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর সুরুজ আলী দোষ স্বীকার করলে সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে গঠিত জুরিবোর্ড গৃহবধূর অসুস্থতার জরিমানা বাবদ ক্ষতিপূরণ ধার্য করে বিষয়টি মিমাংসা করেন।

কিন্তু পরবর্তীতে সুরুজ মিয়া ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ২৮ মার্চ উল্টো ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, আপন ভাজিতা ও ভাবীসহ কয়েকজনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে।এদিকে জুরিবোর্ডের বিচার না মেনে উল্টো হয়রাণী করায় স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে ৪ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনালে মামলা করেন ভুক্তভাগী গৃহবধূর স্বামী আবু রাসেল।

এ নিয়ে পারিবারিক বিরোধ বাড়তে থাকলে গত ২৬ মে শুক্রবার অভিযুক্ত চাচা সুরুজের হয়ে তারই সমন্ধি ও নয়াবিল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খোকার ছেলে কয়লা ও পাথর আমদানীকারক ব্যবসায়ী রাজিবকে চারআলী বাজার এলাকায় আটকে মারধর করে। পরদিন ২৭ মে শনিবার খোরশেদ আলম খোকা বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করলে ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে রোববার জেলহাজতে পাঠানো হয়। এদিকে সোমবার এ মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামী অভিযুক্ত চাচা সুরুজ মিয়া, তার স্ত্রী সাজেদা খাতুনসহ চারজন আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাদেরও জেলহাজতে পাঠায়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভাগী গৃহবধূ, তার স্বামী আবু রাসেল, শাশুড়ী রইমন নেছাসহ সংশ্লিষ্ট স্বজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।