ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

চুয়াল্লিশটি রাজনৈতিক দল বনাম বিভাজন রাজনীতি, অথই নূরুল আমিন

চুয়াল্লিশটি রাজনৈতিক দল বনাম বিভাজন রাজনীতি, অথই নূরুল আমিন

ভিক্টর বিশ্বাস চিতা, স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩ ৩৮ বার পড়া হয়েছে

ভিক্টর বিশ্বাস চিতা
স্টাফ রিপোর্টারঃ

সাবেক ভারতবর্ষে রাজনীতির জন্ম হয়েছে প্রায় চারশত বছর এরকম হবে। তবে সেদিনের প্রতিটা রাজনীতি দলের একেকটা বিষয় ছিল। আর এই বিষয় গুলো ছিলো। মূলত একেকটা প্রথা বিরোধী। আর এই ধরনের বেশ কিছু প্রথা ছিল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির। কিছু প্রথা ছিল রাজা বাদশাহ এবং নবাব আমলের। এছাড়া কিছু প্রথা ছিল সমাজের সমাজ পতিদের মন গড়া।

তাই যুগে যুগে ঐসকল প্রথা গুলো বিলুপ্তি করতে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ‍্যে একটি করে জোট করা হয়েছিল।

আর তারা ঐক‍্য ভাবে যুগে যুগে বিভিন্ন অসামাজিক বা ব‍্যক্তি স্বার্থ প্রথা গুলো আন্দোলনের মাধ‍্যমে রক্ত ক্ষয়ের বিনিময়ে বিজয়ী হয়েছিল। ইতিহাসে এখনো সেই সকল আন্দোলনের নেতানেত্রীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।

আজকের লেখার মুল উদ‍্যেশ‍্য হলো বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত চুয়াল্লিশটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এটা ভালো কথা নয়। পনেরো জনে মিলে যদি একটি রাজনৈতিক দল করে।

আর এই দল করার পর তারা বিভিন্ন জোটে যাওয়ার চেষ্টা করে। এখানে শর্ত থাকে দলের সভাপতি সেক্রেটারি এই দুইজনকে দুইটা আসন দিতে হবে।

প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ সবসময় আমি রসিকতা করে কিছু লিখি আসলে এমনটাই নয়।

এই যে চুয়াল্লিশটি রাজনৈতিক দল তার মধ‍্যে চল্লিশটি দলই তারা কোনো না কোনো জোটে আছে। ছোট দলগুলার চাওয়া কিন্তু খুব বেশি নয়।

দুইটা চারটা অথবা ছয়টা সংসদীয় আসন চায়। তাদের দলের যেন দুই চারজন এমপি সংসদে থাকে। ওদের খুব সামান্য অদক্ষ কিছু কর্মী আছে।

যেমন ধরুন জাতীয় প্লেসক্লাবের যেকোনো অডিটোরিয়ামে দেড়শ লোক হলেই রুমটা অনেকটাই ভর্তি দেখা যায়। আমার প্রশ্ন হলো এই ধরনের ছোট রাজনৈতিক দলগুলার জন্ম হয়েছে আসলে কার স্বার্থে? জনগণের স্বার্থে? নিশ্চয়ই না।

জনগণের স্বার্থের দলগুলো জনগণের কাছে যাবে জনগণের কথা বলবে। সেটা কৃষক শ্রমিক এমনকি আমজনতা হতে পারে।

আমাদের দেশের ছোট চল্লিশটি রাজনৈতিক দল নিয়ে যদি বলি তাহলে বলব সারা বাংলাদেশ নয়। জনগণের দাবি নিয়ে সেটা, তিন দফা, পাঁচ দফা, সাত দফা হতে পারে।

এই ধরনের একটি পোষ্টার করে সমগ্র ঢাকা সিটিতে ওয়ালে দেয়ালে লাগিয়ে প্রচার করতে যে পরিমাণ টাকার দরকার। শুধুমাত্র সেই পরিমাণ টাকাও কিন্তু তাদের নেই।
অনেকের অফিস পযর্ন্ত নেই।

তারা আট দল বারো দল পনেরো দল বাইশ দল এরকম লিয়াজোঁ করে একটি করে জোট রয়েছে। আসলে এটা কি ধরনের রাজনৈতিক দল। ওরা কার স্বার্থে করছে এগুলো যা এই লেখকের জানা নেই।

দেখা যাক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার কি ভূমিকা কে কত আসন পাবে খুব শিঘ্রই জাতি জানতে পারবে।

Translate »

চুয়াল্লিশটি রাজনৈতিক দল বনাম বিভাজন রাজনীতি, অথই নূরুল আমিন

চুয়াল্লিশটি রাজনৈতিক দল বনাম বিভাজন রাজনীতি, অথই নূরুল আমিন

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

ভিক্টর বিশ্বাস চিতা
স্টাফ রিপোর্টারঃ

সাবেক ভারতবর্ষে রাজনীতির জন্ম হয়েছে প্রায় চারশত বছর এরকম হবে। তবে সেদিনের প্রতিটা রাজনীতি দলের একেকটা বিষয় ছিল। আর এই বিষয় গুলো ছিলো। মূলত একেকটা প্রথা বিরোধী। আর এই ধরনের বেশ কিছু প্রথা ছিল ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির। কিছু প্রথা ছিল রাজা বাদশাহ এবং নবাব আমলের। এছাড়া কিছু প্রথা ছিল সমাজের সমাজ পতিদের মন গড়া।

তাই যুগে যুগে ঐসকল প্রথা গুলো বিলুপ্তি করতে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ‍্যে একটি করে জোট করা হয়েছিল।

আর তারা ঐক‍্য ভাবে যুগে যুগে বিভিন্ন অসামাজিক বা ব‍্যক্তি স্বার্থ প্রথা গুলো আন্দোলনের মাধ‍্যমে রক্ত ক্ষয়ের বিনিময়ে বিজয়ী হয়েছিল। ইতিহাসে এখনো সেই সকল আন্দোলনের নেতানেত্রীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে।

আজকের লেখার মুল উদ‍্যেশ‍্য হলো বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন স্বীকৃত চুয়াল্লিশটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এটা ভালো কথা নয়। পনেরো জনে মিলে যদি একটি রাজনৈতিক দল করে।

আর এই দল করার পর তারা বিভিন্ন জোটে যাওয়ার চেষ্টা করে। এখানে শর্ত থাকে দলের সভাপতি সেক্রেটারি এই দুইজনকে দুইটা আসন দিতে হবে।

প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ সবসময় আমি রসিকতা করে কিছু লিখি আসলে এমনটাই নয়।

এই যে চুয়াল্লিশটি রাজনৈতিক দল তার মধ‍্যে চল্লিশটি দলই তারা কোনো না কোনো জোটে আছে। ছোট দলগুলার চাওয়া কিন্তু খুব বেশি নয়।

দুইটা চারটা অথবা ছয়টা সংসদীয় আসন চায়। তাদের দলের যেন দুই চারজন এমপি সংসদে থাকে। ওদের খুব সামান্য অদক্ষ কিছু কর্মী আছে।

যেমন ধরুন জাতীয় প্লেসক্লাবের যেকোনো অডিটোরিয়ামে দেড়শ লোক হলেই রুমটা অনেকটাই ভর্তি দেখা যায়। আমার প্রশ্ন হলো এই ধরনের ছোট রাজনৈতিক দলগুলার জন্ম হয়েছে আসলে কার স্বার্থে? জনগণের স্বার্থে? নিশ্চয়ই না।

জনগণের স্বার্থের দলগুলো জনগণের কাছে যাবে জনগণের কথা বলবে। সেটা কৃষক শ্রমিক এমনকি আমজনতা হতে পারে।

আমাদের দেশের ছোট চল্লিশটি রাজনৈতিক দল নিয়ে যদি বলি তাহলে বলব সারা বাংলাদেশ নয়। জনগণের দাবি নিয়ে সেটা, তিন দফা, পাঁচ দফা, সাত দফা হতে পারে।

এই ধরনের একটি পোষ্টার করে সমগ্র ঢাকা সিটিতে ওয়ালে দেয়ালে লাগিয়ে প্রচার করতে যে পরিমাণ টাকার দরকার। শুধুমাত্র সেই পরিমাণ টাকাও কিন্তু তাদের নেই।
অনেকের অফিস পযর্ন্ত নেই।

তারা আট দল বারো দল পনেরো দল বাইশ দল এরকম লিয়াজোঁ করে একটি করে জোট রয়েছে। আসলে এটা কি ধরনের রাজনৈতিক দল। ওরা কার স্বার্থে করছে এগুলো যা এই লেখকের জানা নেই।

দেখা যাক আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার কি ভূমিকা কে কত আসন পাবে খুব শিঘ্রই জাতি জানতে পারবে।