ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

জামায়াত শাপলা চত্বর পাবে না

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আলেম-উলামার মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এ সমাবেশ করবে দলটি। কর্মসূচি সফল করতে দলটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত এবং সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তবে জামায়াত শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি পাবে না বলে প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর ঘিরে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশের ঘোষণার মধ্যেই জামায়াত শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। আর এ ঘোষণা আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই করতে দেওয়া হবে না। তবে শাপলা চত্বরের পরিবর্তে অন্য কোথাও সমাবেশ করতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান কালবেলাকে জানিয়েছেন, সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে বিভাগ, নগর-মহানগর, থানা ও ইউনিটসহ সব স্তরে মিটিং করা হয়েছে। প্রশাসন অনুমতি না দিলেও ২৮ অক্টোবর যে কোনো মূল্যে সমাবেশ বাস্তবায়ন করা হবে। এমনকি কোনো কারণে যদি মতিঝিলে জায়গা না পাই, তবুও আশপাশের যে কোনো এলাকায় সমাবেশ করা হবে।এদিকে, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। গত কয়েক মাস ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে দেশের অন্যতম প্রধান এই রাজনৈতিক দলটি। সরকার পতনের এই আন্দোলনে সফল হতে বিএনপির টার্গেট অক্টোবর মাস। বিভিন্ন সময়ই দলীয় কর্মসূচি থেকে সে কথাই জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বৃহৎ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। বলা হচ্ছে, এই মহাসমাবেশ কর্মসূচি থেকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবে তারা।
ইতোমধ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করার বিষয়ে ডিএমপিকে অবহিত করেছে বিএনপি। তবে বিএনপিকেও নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানা গেছে। তাদের রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, বিএনপির সমাবেশ থেকে সহিংসতার আশঙ্কা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবিলা করে রাজপথের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে দলীয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারাও। আওয়ামী লীগও এদিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
একইদিন আবার নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শাহবাগে কর্মসূচি পালন করবে বামপন্থি দলগুলোর একাংশ। কারও টার্গেট ঢাকা দখলে রাখা আবার কারও লক্ষ্য প্রতিরোধ করা। তাই দখল কিংবা প্রতিরোধ উভয় অবস্থাতেই মাঠ দখলে মরিয়া রাজনৈতিক দলগুলো।
এদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশের দিনে নাগরিকদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখাসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থায় থাকার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

ট্যাগস :
Translate »

জামায়াত শাপলা চত্বর পাবে না

আপডেট সময় : ১২:৫৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও আলেম-উলামার মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এ সমাবেশ করবে দলটি। কর্মসূচি সফল করতে দলটির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত এবং সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তবে জামায়াত শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি পাবে না বলে প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
প্রশাসনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর ঘিরে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশের ঘোষণার মধ্যেই জামায়াত শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। আর এ ঘোষণা আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়ার মতো। এর আগে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম ভয়াবহ তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি কোনোভাবেই করতে দেওয়া হবে না। তবে শাপলা চত্বরের পরিবর্তে অন্য কোথাও সমাবেশ করতে চাইলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।
এ বিষয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান কালবেলাকে জানিয়েছেন, সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে বিভাগ, নগর-মহানগর, থানা ও ইউনিটসহ সব স্তরে মিটিং করা হয়েছে। প্রশাসন অনুমতি না দিলেও ২৮ অক্টোবর যে কোনো মূল্যে সমাবেশ বাস্তবায়ন করা হবে। এমনকি কোনো কারণে যদি মতিঝিলে জায়গা না পাই, তবুও আশপাশের যে কোনো এলাকায় সমাবেশ করা হবে।এদিকে, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। গত কয়েক মাস ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে দেশের অন্যতম প্রধান এই রাজনৈতিক দলটি। সরকার পতনের এই আন্দোলনে সফল হতে বিএনপির টার্গেট অক্টোবর মাস। বিভিন্ন সময়ই দলীয় কর্মসূচি থেকে সে কথাই জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা। সেই ধারাবাহিকতায় এবার আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বৃহৎ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। বলা হচ্ছে, এই মহাসমাবেশ কর্মসূচি থেকেই সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবে তারা।
ইতোমধ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করার বিষয়ে ডিএমপিকে অবহিত করেছে বিএনপি। তবে বিএনপিকেও নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানা গেছে। তাদের রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে অনুমতি দেওয়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অন্যদিকে, বিএনপির সমাবেশ থেকে সহিংসতার আশঙ্কা করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সম্ভাব্য সহিংসতা মোকাবিলা করে রাজপথের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে দলীয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারাও। আওয়ামী লীগও এদিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
একইদিন আবার নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শাহবাগে কর্মসূচি পালন করবে বামপন্থি দলগুলোর একাংশ। কারও টার্গেট ঢাকা দখলে রাখা আবার কারও লক্ষ্য প্রতিরোধ করা। তাই দখল কিংবা প্রতিরোধ উভয় অবস্থাতেই মাঠ দখলে মরিয়া রাজনৈতিক দলগুলো।
এদিকে, রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশের দিনে নাগরিকদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখাসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থায় থাকার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।