ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

নয়াপল্টন নয় গোলাপবাগেই যেতে হবে বিএনপিকে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ৯২ বার পড়া হয়েছে

সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসা প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করতে সহযোগিতা চেয়ে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে চিঠিও দিয়েছে দলটি। কিন্তু পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ করতে চাইলে নয়াপল্টনে নয়, গোলাপবাগেই যেতে হবে বিএনপিকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা বিষয় বিবেচনায় রেখে তাদের নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া নাও হতে পারে।

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে ২৮ তারিখের মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় তিনি জানান, এই মহাসমাবেশ থেকেই বিএনপির আন্দোলনের মহাযাত্রা শুরু হবে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক বাধা আসবে, অনেক প্রতিবন্ধকতা আসবে। সব বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ১২ জুলাই একদফা আন্দোলনের ডাক দেয় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। পরে অক্টোবরেই আন্দোলন ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন দলটির শীর্ষ নেতারা। পরবর্তীতে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর দুর্গাপূজার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পূজা শেষে ‘চূড়ান্ত’ আন্দোলনে নামার কথা জানায় বিএনপি ও সমমনারা।
২৮ অক্টোবরের বৃহৎ এই কর্মসূচি সফল করতে সব ধরনের বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে সারা দেশের নেতাকর্মীদের মহাসমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। জানা গেছে, বিএনপির অঙ্গসংগঠন এবং জেলার নেতাদের সতর্ক থেকে সর্বোচ্চ কর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন সরকার পতনের দাবিতে বসে যাওয়ার কোনো চিন্তা নেই। সরকারের পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে পৃথকভাবে মাঠে নেমেছে জামায়াতও। তারাও ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। সমাবেশে সহযোগিতা চেয়ে ডিএমপিকে সোমবার চিঠিও দিয়েছে দলটি। বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে আন্দোলন না করলেও পৃথকভাবে জামায়াত মাঠে থাকায় নিজেদের আন্দোলন এগিয়ে নিতে আলাদা মনোবল পাচ্ছে বিএনপি। বিএনপি ও জামায়াতের রাজনৈতিক এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সবার চোখ এখন ২৮ অক্টোবরের দিকে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে সেটার অনেকটাই নির্ভর করছে এই কর্মসূচির ওপর।
এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দাঁতভাঙা জবাব দেবেন তারাও।
অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, ঢাকায় ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে পুলিশের কঠিন চেকপোস্ট ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ট্যাগস :
Translate »

নয়াপল্টন নয় গোলাপবাগেই যেতে হবে বিএনপিকে

আপডেট সময় : ১২:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করে আসা প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি আগামী ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করতে সহযোগিতা চেয়ে এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে চিঠিও দিয়েছে দলটি। কিন্তু পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ করতে চাইলে নয়াপল্টনে নয়, গোলাপবাগেই যেতে হবে বিএনপিকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ নানা বিষয় বিবেচনায় রেখে তাদের নয়াপল্টনে মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়া নাও হতে পারে।

এর আগে গত ১৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ থেকে ২৮ তারিখের মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সে সময় তিনি জানান, এই মহাসমাবেশ থেকেই বিএনপির আন্দোলনের মহাযাত্রা শুরু হবে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা থামবেন না।
মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক বাধা আসবে, অনেক প্রতিবন্ধকতা আসবে। সব বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করে জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত ১২ জুলাই একদফা আন্দোলনের ডাক দেয় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। পরে অক্টোবরেই আন্দোলন ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন দলটির শীর্ষ নেতারা। পরবর্তীতে ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর দুর্গাপূজার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পূজা শেষে ‘চূড়ান্ত’ আন্দোলনে নামার কথা জানায় বিএনপি ও সমমনারা।
২৮ অক্টোবরের বৃহৎ এই কর্মসূচি সফল করতে সব ধরনের বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে সারা দেশের নেতাকর্মীদের মহাসমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। জানা গেছে, বিএনপির অঙ্গসংগঠন এবং জেলার নেতাদের সতর্ক থেকে সর্বোচ্চ কর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এদিন সরকার পতনের দাবিতে বসে যাওয়ার কোনো চিন্তা নেই। সরকারের পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে পৃথকভাবে মাঠে নেমেছে জামায়াতও। তারাও ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। সমাবেশে সহযোগিতা চেয়ে ডিএমপিকে সোমবার চিঠিও দিয়েছে দলটি। বিএনপির সঙ্গে জোট বেঁধে আন্দোলন না করলেও পৃথকভাবে জামায়াত মাঠে থাকায় নিজেদের আন্দোলন এগিয়ে নিতে আলাদা মনোবল পাচ্ছে বিএনপি। বিএনপি ও জামায়াতের রাজনৈতিক এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সবার চোখ এখন ২৮ অক্টোবরের দিকে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে সেটার অনেকটাই নির্ভর করছে এই কর্মসূচির ওপর।
এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও ঘোষণা দিয়ে রেখেছে মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। দাঁতভাঙা জবাব দেবেন তারাও।
অন্যদিকে, বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ অবশ্য আগেই জানিয়েছেন, ঢাকায় ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নাশকতার কোনো আশঙ্কা নেই। তবে পুলিশের কঠিন চেকপোস্ট ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।