ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল ও শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান Logo ।ফটিকছড়ির নাজিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা Logo পলাশবাড়ীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo লক্ষীপুরে দুর্বৃত্তের হাত থাকে স্বামীকে বাচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গৃহবধূ নিহত Logo বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস Logo গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গাজীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে নালিশি জমিতে ১৪৪ ধারা জারী Logo ডাবল গরু ফুটবল টুর্নামেন্টে জগদলকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শাইখ স্পোর্টস বিরামপুর  Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা Logo চট্টগ্রাম বোয়াল খালিতে গৃহবধূ লিজাকে পরিকল্পিত হত্যা ও হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকবার চিঠি দিয়েও মিয়ানমারে কারাবন্দী ৩৫ বাংলাদেশির ফেরত অনিশ্চিত

মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার :
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩ ৯২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার : দিনে দিনে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেকটা। জাতীয় পর্যায়ে অসংখ্য জয়ের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতায় জয় করেছে আন্তর্জাতিক সীমানাও। তবে এখনো রোহিঙ্গা সমস্যার হয়নি কোনো দৃশ্যমান সমাধান। তারপর এবার মিয়ানমারের কারাগারে আটক বাংলাদেশীদের বিষয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন জটিলতা। মিয়ানমারে এক বছর ধরে কারাবন্দী ৩৫ বাংলাদেশি ফেরতের বিষয়টি এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালি করলেও মিয়ানমার থেকে এখনও কোনো সদুত্তর মেলেনি। তবে ওই দেশে কারাবন্দীদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রেঙ্গুন কারাগার থেকে মংডুর বুচিডং কারাগারে পাঠিয়েছে।

তারা বলেন, কারাবন্দীরা দেশে ফেরার জন্য আকুতি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে কক্সবাজারের টেকনাফের একজন মানবাধিকার কর্মী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদেরকে ফেরত আনার জন্য লিখিত আবেদন করেন।আব্দুর রহিম নামে ওই মানবাধিকার কর্মী বলেন, কারাবন্দী ৩৫ জনের মধ্যে ১৩ জনের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখায় আবেদন করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অবগত করে মিয়ানমারের রেঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ফেরত আসেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে টেকনাফ থেকে অবৈধ পথে ট্রলারযোগে ৩৫ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রলারটি মিয়ানমারের জলসীমা দিয়ে যাওয়ার পথে থাইল্যান্ড জলসীমার কাছে গেলে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে ৩৫ জনকে আটক করে ইয়াঙ্গুনের একটি কারাগারে বন্দী করে। এ নিয়ে ইয়াঙ্গুনের একটি থানায় তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়।

ওই মামলায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তাদেরকে খালাস দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপরই তাদেরকে ইয়াঙ্গুন কারাগার থেকে বাংলাদেশের টেকনাফের বিপরীত পাশে অবস্থতি মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডু বন্দরের বুচিডং কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। বুচিডং কারাগার মংডু বন্দর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

বুচিডং কারাগারে বন্দী ৩৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে অন্তত ১৩ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সালামত উল্লাহ, মোহাম্মদ রেদোয়ান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সৈয়দ আকবর, মো. নজরুল ইসলাম, মো. হামিদুল হক, মোসতাক আহমেদ, মাহমুদুল হক, বেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, আব্দুল হাকিম, সিরাজুল মোস্তফা ও রিদওয়ানুল ইসলাম।

নাম উল্লেখ করা এই ১৩ জন বন্দীর মধ্যে একজনের নিকটাত্মীয় বলেন, আমার স্বজন মংডুর একটি কারাগারে বন্দী। তিন মাস আগে কারাগার থেকে মোবাইল ফোনে টেকনাফের একজনের কাছে ফোন করে তথ্য জানিয়েছে। তখনই জানতে পেরেছি যে আমার স্বজন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। তিনি মিয়ানমারের কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েলফেয়ার উইংয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান গত ৪ অক্টোবর ও ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হেড অব চেনচারির কাছে পৃথক তিনটি মেইলে ৩৫ জনের সন্ধান চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। কারাবন্দী বাংলাদেশিদের বিষয়ে দ্রুত সন্ধান নিতে এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েলফেয়ার উইং।

মানবাধিকার কর্মী আব্দুর রহিম বলেন, টেকনাফে এক শ্রেণির দালাল সিন্ডিকেট রয়েছে যারা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ সাগরপথে ট্রলারে করে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় আদম পাচার করে। ওই সিন্ডিকেটই এই ৩৫ জনকে ট্রলারে করে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাঠিয়েছিল। তারা মিয়ানমারে আটক হওয়ার পর পাচারকারী সিন্ডিকেট গা ঢাকা দেয়।
বিষয়টি শুধু মানবিক অসঙ্গতিই নয়, বরং দেশের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর ও অপমানজনক। মানবিক দিক বিবেচনায় এবিষয়ে কথা হয় মানবাধিকার সংগঠন Human Rights Support Society (HRSS) এর কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের কারাগারে যে সকল বাংলাদেশী বন্দী রয়েছে। তারা এখন দেশে ফিরতে সম্পূর্ণ অধিকার রাখে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে তাদেরকে এখনো ফেরত না পাঠানো সম্পূর্ণ অন্যায় ও অমানবিক। আমাদেরকে কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি আরও গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।’
এ বিষয়ে বিস্তর জানার জন্য যোগাযোগ করা হয় Centre For The Enforcement of Human Rights and Legal Aid বা ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনী সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা’র সাথে। মানবাধিকার রক্ষা ও আইনী সহয়তা প্রদানকারী এই সংস্থাটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ অবৈধভাবে বিদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।কিন্তু তারা আইনের বিষয়টি তখন স্মরণ রাখে না। মূলত এবিষয়ে আমাদেরকে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। কারণ, এই যে ৩৫ জন বাংলাদেশী মিয়ানমারের কারাগারে বন্দী রয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও কষ্টের। তাদের মতো তাদের পরিবারও কষ্টে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য।’

এই দায়িত্বশীল আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে আব্দুর রহিম নামে একজন মানবাধিকার কর্মী এবিষয়ে অনেকটা এগিয়েছেন। আমরা চাই সকল মানবাধিকার ও আইনী সহয়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রেখে কারাবন্দীদেরকে ফিরিয়ে আনতে।’

ট্যাগস :
Translate »

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কয়েকবার চিঠি দিয়েও মিয়ানমারে কারাবন্দী ৩৫ বাংলাদেশির ফেরত অনিশ্চিত

আপডেট সময় : ০১:৩৬:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার : দিনে দিনে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেকটা। জাতীয় পর্যায়ে অসংখ্য জয়ের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতায় জয় করেছে আন্তর্জাতিক সীমানাও। তবে এখনো রোহিঙ্গা সমস্যার হয়নি কোনো দৃশ্যমান সমাধান। তারপর এবার মিয়ানমারের কারাগারে আটক বাংলাদেশীদের বিষয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন জটিলতা। মিয়ানমারে এক বছর ধরে কারাবন্দী ৩৫ বাংলাদেশি ফেরতের বিষয়টি এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালি করলেও মিয়ানমার থেকে এখনও কোনো সদুত্তর মেলেনি। তবে ওই দেশে কারাবন্দীদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, তাদের সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রেঙ্গুন কারাগার থেকে মংডুর বুচিডং কারাগারে পাঠিয়েছে।

তারা বলেন, কারাবন্দীরা দেশে ফেরার জন্য আকুতি জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে কক্সবাজারের টেকনাফের একজন মানবাধিকার কর্মী বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদেরকে ফেরত আনার জন্য লিখিত আবেদন করেন।আব্দুর রহিম নামে ওই মানবাধিকার কর্মী বলেন, কারাবন্দী ৩৫ জনের মধ্যে ১৩ জনের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখায় আবেদন করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি অবগত করে মিয়ানমারের রেঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে চিঠিও দিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ফেরত আসেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে টেকনাফ থেকে অবৈধ পথে ট্রলারযোগে ৩৫ জন বাংলাদেশি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রলারটি মিয়ানমারের জলসীমা দিয়ে যাওয়ার পথে থাইল্যান্ড জলসীমার কাছে গেলে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে ৩৫ জনকে আটক করে ইয়াঙ্গুনের একটি কারাগারে বন্দী করে। এ নিয়ে ইয়াঙ্গুনের একটি থানায় তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়।

ওই মামলায় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে তাদেরকে খালাস দিয়ে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এরপরই তাদেরকে ইয়াঙ্গুন কারাগার থেকে বাংলাদেশের টেকনাফের বিপরীত পাশে অবস্থতি মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মংডু বন্দরের বুচিডং কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। বুচিডং কারাগার মংডু বন্দর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত।

বুচিডং কারাগারে বন্দী ৩৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে অন্তত ১৩ জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- সালামত উল্লাহ, মোহাম্মদ রেদোয়ান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সৈয়দ আকবর, মো. নজরুল ইসলাম, মো. হামিদুল হক, মোসতাক আহমেদ, মাহমুদুল হক, বেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ সোহেল, আব্দুল হাকিম, সিরাজুল মোস্তফা ও রিদওয়ানুল ইসলাম।

নাম উল্লেখ করা এই ১৩ জন বন্দীর মধ্যে একজনের নিকটাত্মীয় বলেন, আমার স্বজন মংডুর একটি কারাগারে বন্দী। তিন মাস আগে কারাগার থেকে মোবাইল ফোনে টেকনাফের একজনের কাছে ফোন করে তথ্য জানিয়েছে। তখনই জানতে পেরেছি যে আমার স্বজন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি। তিনি মিয়ানমারের কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েলফেয়ার উইংয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান গত ৪ অক্টোবর ও ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের হেড অব চেনচারির কাছে পৃথক তিনটি মেইলে ৩৫ জনের সন্ধান চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। কারাবন্দী বাংলাদেশিদের বিষয়ে দ্রুত সন্ধান নিতে এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েলফেয়ার উইং।

মানবাধিকার কর্মী আব্দুর রহিম বলেন, টেকনাফে এক শ্রেণির দালাল সিন্ডিকেট রয়েছে যারা স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ সাগরপথে ট্রলারে করে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় আদম পাচার করে। ওই সিন্ডিকেটই এই ৩৫ জনকে ট্রলারে করে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে পাঠিয়েছিল। তারা মিয়ানমারে আটক হওয়ার পর পাচারকারী সিন্ডিকেট গা ঢাকা দেয়।
বিষয়টি শুধু মানবিক অসঙ্গতিই নয়, বরং দেশের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর ও অপমানজনক। মানবিক দিক বিবেচনায় এবিষয়ে কথা হয় মানবাধিকার সংগঠন Human Rights Support Society (HRSS) এর কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের কারাগারে যে সকল বাংলাদেশী বন্দী রয়েছে। তারা এখন দেশে ফিরতে সম্পূর্ণ অধিকার রাখে। কিন্তু মিয়ানমার থেকে তাদেরকে এখনো ফেরত না পাঠানো সম্পূর্ণ অন্যায় ও অমানবিক। আমাদেরকে কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি আরও গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে।’
এ বিষয়ে বিস্তর জানার জন্য যোগাযোগ করা হয় Centre For The Enforcement of Human Rights and Legal Aid বা ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনী সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা’র সাথে। মানবাধিকার রক্ষা ও আইনী সহয়তা প্রদানকারী এই সংস্থাটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ অবৈধভাবে বিদেশের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়।কিন্তু তারা আইনের বিষয়টি তখন স্মরণ রাখে না। মূলত এবিষয়ে আমাদেরকে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। কারণ, এই যে ৩৫ জন বাংলাদেশী মিয়ানমারের কারাগারে বন্দী রয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ও কষ্টের। তাদের মতো তাদের পরিবারও কষ্টে রয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করে তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য।’

এই দায়িত্বশীল আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে আব্দুর রহিম নামে একজন মানবাধিকার কর্মী এবিষয়ে অনেকটা এগিয়েছেন। আমরা চাই সকল মানবাধিকার ও আইনী সহয়তা প্রদানকারী সংস্থার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রেখে কারাবন্দীদেরকে ফিরিয়ে আনতে।’