ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠিত স্কুলে নিজের মত ক্ষমতা জারি করে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার মন্তব্য অধ্যক্ষ মহারাজের:-
- আপডেট সময় : ১১:৫২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
বেবি চক্রবর্ত্তী:- পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারত সেবাশ্রম সংঘের একটি শাখা যার উদ্দেশ্য স্থানীয় অঞ্চলে শিক্ষা বিস্তার, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা, গরীব দুঃস্থ ছেলেদের পড়াশোনার জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ এবং বন্যা বাঁশি মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ। পরম পূজ্য শ্রীমৎ স্বামী মুক্তানন্দী মহারাজ এই আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আশ্রমের পবিত্র অঙ্গনে একটি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠা করা হয় পরবর্তীতে সেটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিকগ্রহণ করে। ১৯ ৭৪ সাল থেকে স্কুলটি সরকারি করন হয়। দীর্ঘদিন এই অঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ভারত সেবাশ্রম সংঘ মহিষাদল শাখার পক্ষ থেকে আরও একটি প্রাইভেট স্কুল ও প্রতিষ্ঠিত হয় এবং একটি আইটিআই কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।সারা বছরই আশ্রম বিভিন্ন সেবামূলক কাজ, যেমন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, কম্বল বিতরণ, স্থানীয় জনগণের মধ্যে ফলজ গাছের চারা বিতরণ সহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কাজে আশ্রম সদা নিয়োজিত।। আশ্রমের সামনের যে খোলা অংশটি সেটি আশ্রম প্রাচীর নির্মাণ করে বিভিন্ন মহাপুরুষদের মূল্যবান বাণী দ্বারা সুসজ্জিত করে রেখেছিল বহুদিন ধরে। অতীব দুঃখের বিষয় আশ্রম তার সামনের খোলা জায়গাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং স্কুলের ব্যবহারিত কিছু গাড়ি রাখতে গেলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর কয়েকজন ব্যক্তি দ্বারা উস্কানিমূলক প্ররোচনায় কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে উসকে দিয়ে তারা সেই গাড়ি এবং আশ্রমের মূল গেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করবার জন্য এগিয়ে আসে। শুধু তাই নয় । আশ্রমের সামনের জায়গাটি আশ্রমকে কোনভাবেই ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলে নানা ধরনের ভয়-ভীতি জাতীয় উস্কানিমূলক কথাবার্তা তারা প্রচার করছে এবং “সাংবাদিক বেবি চক্রবর্ত্তী কে অসাধু – বলেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা “….।
বেবি চক্রবর্ত্তীর মন্তব্য যে কোন নিউজ বা সংবাদ মাধ্যম হল গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। আমি একজন সাংবাদিক আমি প্রশ্ন করতেই পারি এটা আমার কাজ এবং এটা আমার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত।
কিছুদিন আগে প্রবল বৃষ্টিতে আশ্রমের সামনের খালটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দরুন আশ্রমের পক্ষ থেকে খালের পাড় বাধাই সহ বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হলে উক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পক্ষ থেকে ব্যাপক বাধা দেওয়া হয়। অথচ তাদেরকে বারবার বলা হয়েছে আশ্রমের সামনে জায়গাটি শুধুমাত্র সংস্কার করে সৌন্দর্য্যায়ন করা হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলের পক্ষ থেকে নানা বাধার সম্মুখীন হয়ে কাজ বন্ধ হয়ে আছে।