ঢাকা ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব

রবি উদ্দিন
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

মো: রবি উদ্দিন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্পর্ক শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সম্পর্ক শুধুমাত্র শিক্ষার্থীর একাডেমিক সফলতার জন্য নয়, বরং তাদের মানসিক, সামাজিক, ও নৈতিক বিকাশেও সহায়ক হয়। শিক্ষক এবং অভিভাবক উভয়েই শিশুর শিক্ষার জন্য দায়িত্বশীল, এবং তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। শিক্ষার্থীর একাডেমিক উন্নয়ন শিক্ষক ও অভিভাবকের সহযোগিতা শিক্ষার্থীর শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন অভিভাবকরা শিক্ষকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং সন্তানের শিক্ষা বিষয়ে খোঁজখবর নেন, তখন শিশুর একাডেমিক উন্নয়ন সহজ হয়। এটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ায় এবং তারা আরও ভালোভাবে পাঠ্যবস্তুতে মনোযোগ দেয়। শিক্ষার্থীর আচরণ ও নৈতিক গুণাবলির বিকাশ শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীর আচরণ ও নৈতিক গুণাবলির বিকাশ ঘটে। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন এবং অভিভাবকদের তা জানাতে পারেন, যার ফলে শিক্ষার্থীর আচরণের উন্নয়ন সম্ভব হয়। একইভাবে, অভিভাবকরা বাড়িতে শিশুদের আচার-আচরণ সম্পর্কে শিক্ষকদের পরামর্শ দিতে পারেন। শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্পর্ক শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন শিক্ষার্থীরা দেখেন যে তাদের শিক্ষক ও অভিভাবক একে অপরের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং তাদের ভালো চাচ্ছেন, তখন তারা মানসিকভাবে আরও সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অনুভব করে। এতে তারা মানসিক চাপ কম অনুভব করে এবং বিদ্যালয়ে আরও ভালোভাবে অংশগ্রহণ করে। অভিভাবকদের সন্তানের অগ্রগতি সম্পর্কে সচেতন করা শিক্ষক ও অভিভাবকের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলে, শিক্ষকরা সহজেই শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করতে পারেন। অভিভাবকরা শিক্ষকের দেওয়া ফিডব্যাক অনুযায়ী তাদের সন্তানের পড়াশোনার পরিকল্পনা করতে পারেন, যা শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত উন্নতির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়ন শিক্ষক ও অভিভাবকের ভালো সম্পর্ক বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়নে সহায়তা করে। অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়কে তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে মনে করে। এতে বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পায়। উপসংহার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্পর্ক শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিক্ষার্থীর একাডেমিক উন্নয়ন, আচরণগত পরিবর্তন, এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিকাশ নিশ্চিত করতে এই সম্পর্ককে সঠিকভাবে বজায় রাখা জরুরি।

লায়লা নূর
সহকারী শিক্ষক
শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মনিপুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
টিকরিয়া , মনিপুর
শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।

ট্যাগস :
Translate »

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মো: রবি উদ্দিন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্পর্ক শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সম্পর্ক শুধুমাত্র শিক্ষার্থীর একাডেমিক সফলতার জন্য নয়, বরং তাদের মানসিক, সামাজিক, ও নৈতিক বিকাশেও সহায়ক হয়। শিক্ষক এবং অভিভাবক উভয়েই শিশুর শিক্ষার জন্য দায়িত্বশীল, এবং তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে সঠিকভাবে গড়ে তোলা সম্ভব। শিক্ষার্থীর একাডেমিক উন্নয়ন শিক্ষক ও অভিভাবকের সহযোগিতা শিক্ষার্থীর শিক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন অভিভাবকরা শিক্ষকের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন এবং সন্তানের শিক্ষা বিষয়ে খোঁজখবর নেন, তখন শিশুর একাডেমিক উন্নয়ন সহজ হয়। এটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ায় এবং তারা আরও ভালোভাবে পাঠ্যবস্তুতে মনোযোগ দেয়। শিক্ষার্থীর আচরণ ও নৈতিক গুণাবলির বিকাশ শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীর আচরণ ও নৈতিক গুণাবলির বিকাশ ঘটে। শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন এবং অভিভাবকদের তা জানাতে পারেন, যার ফলে শিক্ষার্থীর আচরণের উন্নয়ন সম্ভব হয়। একইভাবে, অভিভাবকরা বাড়িতে শিশুদের আচার-আচরণ সম্পর্কে শিক্ষকদের পরামর্শ দিতে পারেন। শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্পর্ক শিক্ষার্থীর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন শিক্ষার্থীরা দেখেন যে তাদের শিক্ষক ও অভিভাবক একে অপরের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছেন এবং তাদের ভালো চাচ্ছেন, তখন তারা মানসিকভাবে আরও সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল অনুভব করে। এতে তারা মানসিক চাপ কম অনুভব করে এবং বিদ্যালয়ে আরও ভালোভাবে অংশগ্রহণ করে। অভিভাবকদের সন্তানের অগ্রগতি সম্পর্কে সচেতন করা শিক্ষক ও অভিভাবকের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকলে, শিক্ষকরা সহজেই শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতি সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন করতে পারেন। অভিভাবকরা শিক্ষকের দেওয়া ফিডব্যাক অনুযায়ী তাদের সন্তানের পড়াশোনার পরিকল্পনা করতে পারেন, যা শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত উন্নতির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়ন শিক্ষক ও অভিভাবকের ভালো সম্পর্ক বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়নে সহায়তা করে। অভিভাবকরা বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়কে তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে মনে করে। এতে বিদ্যালয়ের প্রতি তাদের ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পায়। উপসংহার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্পর্ক শিক্ষার্থীর সার্বিক বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শিক্ষার্থীর একাডেমিক উন্নয়ন, আচরণগত পরিবর্তন, এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিকাশ নিশ্চিত করতে এই সম্পর্ককে সঠিকভাবে বজায় রাখা জরুরি।

লায়লা নূর
সহকারী শিক্ষক
শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মনিপুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
টিকরিয়া , মনিপুর
শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।