ঈশ্বরদীতে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি গালিবসহ ৭১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
- আপডেট সময় : ০৬:১৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪ ৪৯ বার পড়া হয়েছে
মো: সজিব হোসেন
পাবনা জেলা প্রতিনিধি :
ঈশ্বরদীতে যুবদল কর্মীকে হত্যা চেষ্টাসহ সরকার পতন আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপিসহ ৭১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৭০/৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যুবদল কর্মী নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম। মামলায় পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, পাবনা-৪ আসনের সাবেক এমপি গালিবুর রহমান শরীফকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, লক্ষিকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিস-উর-রহমান শরীফ,পৌর কাউন্সিলর আবুল হাসেম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু,ওসমান গনি,কুদ্দুস আলী,মোঃ ফান্টু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, পৌর যুবলীগ সভাপতি আলাউদ্দিন বিপ্লব,যুবলীগনেতা রাকিবুল হাসান রনি,তোফায়েল আহমেদ রনি,স্বজন সরদার ও পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি আবির হাসান শৈশবসহ ৭১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, গত ৪ আগস্ট অসহযোগ আন্দোলন সরকার পতনের একদফা দাবিতে বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাকর্মীরা ঈশ^রদীর জিরোপয়েন্ট রেলগেট বাস টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচিতে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন। এসময় এমপি গালিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের বাধাগ্রস্থ ও ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় আন্দোলনকারীরা ঈশ্বরদী-বানেশ্বর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেন। এসময় ঈশ্বরদী যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমালের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এদিকে শহরের পশ্চিম টেংরি কাঁচারীপাড়া ঈদগাহের সামনে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জুয়েলসহ কয়েকজন যুবদল নেতাকর্মীকে দেখে মিছিল থেকে যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এসময় উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম রিপন ও কর্মী নজরুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। এর জের ধরে পরদিন ৫ আগস্ট সকালে বিক্ষুব্ধ যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন । এসময় শহরে স্টেশন রোড উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং পোস্ট অফিস মোড়ে উপজেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক কার্যালয় ভাঙ্গচুর করে বৈষম্যবিরোধীসহ অন্য নেতারা। পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন জুয়েল বলেন, ‘বিএনপির দুর্গ ঈশ্বরদীতে যাঁরা এত দিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, বিএনপির শত শত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে, ছাত্র আন্দোলন দমাতে যাঁরা হামলা ও হত্যায় ইন্ধন দিয়েছে, তাঁদের আইনের আওতায় আনতে একটি মামলা হয়েছে। আরও মামলার প্র¯স্ততি চলছে।#
ক্যাপশন \ ছবিঃক্লোজওয়াইজঃ উপরে বাঁ থেকে এমপি গালিবুর রহমান শরীফ, পৌর মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, মখলেছুর রহমান মিন্টু, নিচে বাঁ থেকে শিরহান শরীফ তমাল, এমদাদুল হক রানা সরদার, আব্দুস সালাম খান, সব নিচে বাঁ থেকে –আনিস-উর-রহমান শরীফ, আলাউদ্দিন বিপ্লব ও আবির হাসান শৈশব ।