ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পল্টনে মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে গাজীপুরে প্রস্তুতি সভা। Logo ।।ভক্ত আশেকানদের জন্য উন্মুক্ত করা হলো ফটিকছড়ির বাবা ভান্ডারীর রওজা।। Logo কালিয়াকৈরে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী পালিত Logo লক্ষীপুরের রায়পুরে প্রাক্তন ছাত্র ও বন্ধু মহলের উদ্যোগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২ শতাধিক কৃষকের মাঝে ধানের চারা বিতরন Logo চট্টগ্রাম বোয়াল খালির হোরার বাগ গ্রামে জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নী(সা:) মাহফিল সম্পন্ন Logo লালমোহনে রশিদ দিয়ে চাঁদাবাজি ৬ জন গ্রেফতার Logo নার্সদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ত্রিশালে মানববন্ধন Logo গফরগাঁও য়ে শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। Logo লক্ষীপুরের রায়পুরে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা Logo বাগমারায় হয়রানিমূলক মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন 

প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সৌদি পাড়ি জমিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বহু যুবক

আব্দুল্লাহ আল মাহাদী
  • আপডেট সময় : ০৫:৪১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

আবদুল্যাহ আল মাহদী (মোঃ মোস্তফা) নান্দাইল প্রতিনিধি :
নান্দাইল উপজেলার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাজারুল ইসলাম রায়হান (২৫)সৌদি প্রবাসী। সে বহু যুবককে সৌদি আরবে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতে নেয়
অনেককেই সৌদি আরব নিয়ে কোন কাজ না দিয়ে তিন চার মাস যাবত বসিয়ে রেখে তাদের পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়ে দেশে চলে আসে।
এছাড়াও তার ওপর বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যেককে সৌদি আরব নেওয়ার পর ভালো কোম্পানিতে কফালা ইকামা করে দেওয়ার কথা থাকলেও অভিযুক্ত মাজারুল ইসলাম রায়হান কিছুই করে দেয়নি। কারো কারো কাছ থেকে দ্বিতীয় বার ইকামা টাকা নেওয়া সত্বেও ইকামা করে দেয়নি
রায়হানের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে বহু যুবক সৌদি আরবে মানবেতর যাপন করতেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি প্রবাসী শফিকুর রহমানে বড় ভাই আশিকুর রহমান বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি বলেন অভিযুক্ত মাজারুল ইসলাম রায়হান আমার ভাইকে বিগত সাত-আট মাস আগে ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরব নিয়ে যায়
সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার পর ভালো কোম্পানির তে চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি ইকামাও কফালা করে দেওয়ার কথা থাকলেও সে আমার ভাইকে সৌদি আরব নেওয়ার পর থেকে নানা তালবাহানা করে যাচ্ছে দীর্ঘ ছয় মাস বসিয়ে রাখার পর এক জায়গায় কাজ দিবে বলে নিয়ে গিয়ে পাসপোর্ট সহ যাবতীয় কাগজপত্র হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে রায়হানের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অন্যত্র ভাল কোম্পানিতে চাকরির আশায় ইকামা করার জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পাঠাই রায়হান পরবর্তীতে এই টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলে আমাদের জানায় কিন্তু ইকামার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সে আমার ভাইয়ের পাসপোর্ট নিয়ে দেশে চলে আসে।
এখন টাকা ও পাসপোর্ট চাইতে গেলে সে তালবাহানা করে ও বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়।
পরবর্তীতে আমি কোন রাস্তা না পেয়ে মাজারুল ইসলাম রায়হানের নামে নান্দাইল মডেল থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করি
উক্ত অভিযোগের তদন্তকারী এস আই, নূরে আলম ঘটনা তদন্ত করতে গেলে অভিযুক্ত মাজারুল ইসলাম রায়হানের পিতা মোঃহানিস মিয়া বলেন রায়হান বাড়িতে থাকে না আর ওই ছেলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
এমন্ত অবস্থায় আমি প্রতারক রায়হানের যথাযথ শাস্তি ও বিচার দাবি করছি

ট্যাগস :
Translate »

প্রতারকের খপ্পরে পড়ে সৌদি পাড়ি জমিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বহু যুবক

আপডেট সময় : ০৫:৪১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

আবদুল্যাহ আল মাহদী (মোঃ মোস্তফা) নান্দাইল প্রতিনিধি :
নান্দাইল উপজেলার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাজারুল ইসলাম রায়হান (২৫)সৌদি প্রবাসী। সে বহু যুবককে সৌদি আরবে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতে নেয়
অনেককেই সৌদি আরব নিয়ে কোন কাজ না দিয়ে তিন চার মাস যাবত বসিয়ে রেখে তাদের পাসপোর্ট হাতিয়ে নিয়ে দেশে চলে আসে।
এছাড়াও তার ওপর বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যেককে সৌদি আরব নেওয়ার পর ভালো কোম্পানিতে কফালা ইকামা করে দেওয়ার কথা থাকলেও অভিযুক্ত মাজারুল ইসলাম রায়হান কিছুই করে দেয়নি। কারো কারো কাছ থেকে দ্বিতীয় বার ইকামা টাকা নেওয়া সত্বেও ইকামা করে দেয়নি
রায়হানের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে বহু যুবক সৌদি আরবে মানবেতর যাপন করতেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি প্রবাসী শফিকুর রহমানে বড় ভাই আশিকুর রহমান বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি বলেন অভিযুক্ত মাজারুল ইসলাম রায়হান আমার ভাইকে বিগত সাত-আট মাস আগে ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরব নিয়ে যায়
সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার পর ভালো কোম্পানির তে চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি ইকামাও কফালা করে দেওয়ার কথা থাকলেও সে আমার ভাইকে সৌদি আরব নেওয়ার পর থেকে নানা তালবাহানা করে যাচ্ছে দীর্ঘ ছয় মাস বসিয়ে রাখার পর এক জায়গায় কাজ দিবে বলে নিয়ে গিয়ে পাসপোর্ট সহ যাবতীয় কাগজপত্র হাতিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে রায়হানের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অন্যত্র ভাল কোম্পানিতে চাকরির আশায় ইকামা করার জন্য ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা পাঠাই রায়হান পরবর্তীতে এই টাকা ফেরত দিয়ে দিবে বলে আমাদের জানায় কিন্তু ইকামার কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সে আমার ভাইয়ের পাসপোর্ট নিয়ে দেশে চলে আসে।
এখন টাকা ও পাসপোর্ট চাইতে গেলে সে তালবাহানা করে ও বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেয়।
পরবর্তীতে আমি কোন রাস্তা না পেয়ে মাজারুল ইসলাম রায়হানের নামে নান্দাইল মডেল থানায় একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করি
উক্ত অভিযোগের তদন্তকারী এস আই, নূরে আলম ঘটনা তদন্ত করতে গেলে অভিযুক্ত মাজারুল ইসলাম রায়হানের পিতা মোঃহানিস মিয়া বলেন রায়হান বাড়িতে থাকে না আর ওই ছেলের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
এমন্ত অবস্থায় আমি প্রতারক রায়হানের যথাযথ শাস্তি ও বিচার দাবি করছি