হরিপুরে গাছে গাছে দোল খাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল।
- আপডেট সময় : ০৬:০০:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
গোলাম রাব্বানী
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
শস্য শ্যামল আমাদের এই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মাটি উর্বর হওয়ায় ফলবৃক্ষের জুরি নেই তেমনি গ্রীষ্মকালীন বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠালের জুরি নেই। গেলো বছরের তুলনায় এবছর ঠাকুর গাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় গাছে গাছে দোল খাচ্ছে রসালো ফল কাঁঠাল। আবহাওয়া অনুকূল ভালো হওয়ায় কাঁঠাল ও ধরেছে ভালো। কাঁঠালের গুনাগুন ও উপকারিতাও অনেক,
কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। বসন্তকাল থেকে গ্রীষ্মকাল পর্যন্ত কাঁচা কাঁঠাল কান্দা বা ইচোড়’ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। পাকা ফল বেশ পুষ্টিকর, কিন্তু এর গন্ধ অনেকের কাছে ততটা আকর্ষণীয় নয়। তবু মৃদু অম্লযুক্ত সুমিষ্ট স্বাদ ও স্বল্পমূল্যের জন্য অনেকে পছন্দ করেন। কাঁঠালের আঁটি বা বীজ তরকারির সাথে রান্না করে খাওয়া হয় অথবা পুড়িয়ে বাদামের মত খাওয়া যায়। এর একটি সুবিধে হল, আঁটি শুকনো করে অনেকদিন ঘরে রেখে দেয়া যায়। পাকা ফলের কোষ সাধারণত খাওয়া হয়, এই কোষ নিঙড়ে রস বের করে তা শুকিয়ে আমসত্বের মত ‘কাঁঠালসত্ব’ও তৈরি করা যায়। কোষ খাওয়ার পর যে খোসা ও ভুতরো ( অমরা ) থাকে তা গবাদি পশুর একটি উত্তম খাদ্য। ভুতরো বা ছোবড়ায় যথেষ্ট পরিমাণে পেকটিন থাকায় তা থেকে জেলি তৈরি করা যায়। এমন কি শাঁস বা পাল্প থেকে কাঁচা মধু আহরণ করার কথাও জানা গেছে। কাঁঠাল গাছের পাতা গবাদি পশুর একটি মজাদার খাদ্য। গাছ থেকে তৈরি হয় মুল্যবান আসবাবপত্র। কাঁঠাল ফল ও গাছের আঁঠালো কষ, কাঠ বা বিভিন্ন পাত্রের ছিদ্র বন্ধ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
গেদুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন কাঁঠাল বাগানের মালিক বলেন, কাঁঠাল ফল বছরে একবার হয় এখন বারমাসি ও পাওয়া জায়
আমরা প্রতি বছরে আল্লাহর রহমতে পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকার ফসল কাঠাল বিক্রি করে থাকি। ধৌলা গ্রামের
বাগান মালিক দবিরুল ইসলাম জানান আমার ২৫/৩০ টি কাঁঠাল গাছ রয়েছে আমি প্রতি বছরে আল্লাহর রহমতে ভালো ফল পেয়ে থাকি এবং বিক্রি করলেও ভালো দাম পেয়ে থাকি। তাছাড়া হরিপুর উপজেলা হতে অনেক কাঁঠাল ব্যবসায়ী পাইকারি দরে কিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রির জন্য নিয়ে যায়