ঢাকা ০৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পলাশবাড়ীতে ওয়ালটন ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ ও পুরস্কার বিতরণী Logo পলাশবাড়ীতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া Logo কটিয়াদীতে উপজেলা জামায়াতের কমিটি গঠন Logo শেরপুর জেলা শ্রীবরদীতে পানিতে ডুবে যমজ দুই শিশুর মৃত্যু ঘটনা ঘটে Logo শ্রীমঙ্গলের রেলওয়ে স্টেশনে কৃষকদলের মহা সমাবেশ Logo সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মাদক সেবনের দায়ে তিনজনের কারাদণ্ড। Logo কিশোরগঞ্জে রক্ত দিয়ে গোসল করবে বলে হুমকির অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে Logo সন্দ্বীপে কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করেছে সরকার। Logo দ্বীন কায়েমের জন্য দৃড় প্রতিঙ্গা ছিল আসলাম হোসাইনের  Logo ভালুকায় যুবদলের কর্মী সামাবেশ ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত 

ঈশ্বরদীতে ডাক্তার ও আয়া-ঝাড়–দারদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মো: সজিব হোসেন পাবনা জেলা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

 

 

ঈশ্বরদীতে ডাক্তার ও আয়া-ঝাড়–দারদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

মো: সজিব হোসেন
পাবনা জেলা প্রতিনিধি :

 

ঈশ্বরদীতে জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডাক্তার ও ঝাড়–দার আয়াদের বিচার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ঈম্বরদীর জিরো পয়েন্ট রেলগেট বাস টার্মিনালে মানববন্ধ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐ হাসপাতালের ঝাড়–দার আয়াদের মাধ্যমে ডেলিভারী করাতে গিয়ে এক নবজাতকের মর্মান্তিক মৃত্যু ও গর্ভধারীনিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে নবজাতকের পিতা সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেকেন্দার আলী,আসিফ,লিটন মালিথা,ইতি খাতুন ও স্বর্ণাসহ এলাকাবাসী বক্তব্য দেন। বক্তারা ঐ হাসপাতালের ডাক্তার নাফিসা কবিরসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন। প্রায় ঘণ্টাকাল ব্যাপি মানববন্ধন-সমাবেশ শেষে তারা একটি মিছিল নিয়ে ঈশ্বরদী পরিবার ও এলাকাবাসীরা থানা চত্বরে গিয়ে বিভিন্ন দোষীদের শাস্তির দাবি উল্লেখ করে ¯েøাগান দেয়। এসময় থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সুব্রত এসে পরিবেশ তাদেরকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন।
উল্লেখ্য,গত শনিবার ৮ জুন রাত দশটায় ঈশ্বরদী পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডে অবস্থিত জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালে লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার সাইদুর রহমানের স্ত্রী জিমু খাতুন ডেলিভারির জন্য ভর্তি হন। পরে ডাক্তার নাফিসা কবির জিমুকে দেখে আল্ট্রাসনো করতে বলেন। আল্ট্রাসনোর রিপোর্ট দেখে জিমুর পরিবারকে নরমাল ডেলিভারির জন্য তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলে ডাক্তার বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে রাত তিনটার দিকে জিমুর প্রসব তীব্র ও যন্ত্রণা বেড়ে গেলে ডাক্তারকে খবর দেওয়া হয়। খবর পাওয়ার পরও ডাক্তার না আসায় ক্লিনিকের আয়া ও ঝাড়–দাররা ডেলিভারি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে নবজাতকের মৃত্যু হয়। ঘটনার দিনই ঘটনার বর্ণনা উল্লেখ পূর্বক মৃত নবজাতকের পিতা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

ট্যাগস :
Translate »

ঈশ্বরদীতে ডাক্তার ও আয়া-ঝাড়–দারদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪

 

 

ঈশ্বরদীতে ডাক্তার ও আয়া-ঝাড়–দারদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 

মো: সজিব হোসেন
পাবনা জেলা প্রতিনিধি :

 

ঈশ্বরদীতে জমজম স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডাক্তার ও ঝাড়–দার আয়াদের বিচার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ঈম্বরদীর জিরো পয়েন্ট রেলগেট বাস টার্মিনালে মানববন্ধ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঐ হাসপাতালের ঝাড়–দার আয়াদের মাধ্যমে ডেলিভারী করাতে গিয়ে এক নবজাতকের মর্মান্তিক মৃত্যু ও গর্ভধারীনিকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে এসব কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে নবজাতকের পিতা সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সেকেন্দার আলী,আসিফ,লিটন মালিথা,ইতি খাতুন ও স্বর্ণাসহ এলাকাবাসী বক্তব্য দেন। বক্তারা ঐ হাসপাতালের ডাক্তার নাফিসা কবিরসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন। প্রায় ঘণ্টাকাল ব্যাপি মানববন্ধন-সমাবেশ শেষে তারা একটি মিছিল নিয়ে ঈশ্বরদী পরিবার ও এলাকাবাসীরা থানা চত্বরে গিয়ে বিভিন্ন দোষীদের শাস্তির দাবি উল্লেখ করে ¯েøাগান দেয়। এসময় থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সুব্রত এসে পরিবেশ তাদেরকে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিবেশ শান্ত করেন।
উল্লেখ্য,গত শনিবার ৮ জুন রাত দশটায় ঈশ্বরদী পৌর এলাকার হাসপাতাল রোডে অবস্থিত জমজম স্পেশালাইজ হাসপাতালে লালপুর উপজেলার দুয়ারিয়া ইউনিয়নের মাঝগ্রাম এলাকার সাইদুর রহমানের স্ত্রী জিমু খাতুন ডেলিভারির জন্য ভর্তি হন। পরে ডাক্তার নাফিসা কবির জিমুকে দেখে আল্ট্রাসনো করতে বলেন। আল্ট্রাসনোর রিপোর্ট দেখে জিমুর পরিবারকে নরমাল ডেলিভারির জন্য তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলে ডাক্তার বাসায় চলে যায়। পরবর্তীতে রাত তিনটার দিকে জিমুর প্রসব তীব্র ও যন্ত্রণা বেড়ে গেলে ডাক্তারকে খবর দেওয়া হয়। খবর পাওয়ার পরও ডাক্তার না আসায় ক্লিনিকের আয়া ও ঝাড়–দাররা ডেলিভারি সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে নবজাতকের মৃত্যু হয়। ঘটনার দিনই ঘটনার বর্ণনা উল্লেখ পূর্বক মৃত নবজাতকের পিতা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।