ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

রায়পুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহক হয়রানী

আবদুল লতিফ, জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর।
  • আপডেট সময় : ১২:২২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৯০ বার পড়া হয়েছে

আবদুল লতিফ, জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর।
লক্ষীপুরের রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকেরা সেবার বিপরীতে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিদ্যুতের মিটারের আবেদন করতে কোন অসহায় বা বৃদ্ধ অথবা বিধবা নারী একটি মিটারের আবেদন করতে পরিপূর্ণ কাগজপত্র দিয়ে যদি কোন প্রতিনিধি বা আত্নীয়-স্বজনকে বিদ্যুৎ অফিসে পাঠান তাহলে সেটি কর্তৃপক্ষ গ্রহন না করে উল্টো অসৌজন্য মূলক আচরন করেন।সম্প্রতি কেরোয়া গ্রামের একজন বিধবা মহিলা তার এক নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে একটি বিদ্যুৎ মিটারের জন্য সম্পুর্ন কাগজ পত্র দিয়ে আবেদন করতে রায়পুর বিদ্যুৎ অফিসে পাঠান।অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসাইন সাহেব ওই আত্নীয়কে অপমান করে আবেদন গ্রহন না করে ফেরত পাঠিয়ে দেন।আমাদের মুসলিম পরিবারের অনেক বিধবা মহিলাই রক্ষণশীল। তারা পর পুরুষ বা তৃতীয় ব্যাক্তির সম্মুখে দেখা দিতে লজ্জা বা ইতস্ত বোধ করেন।তাই নিজে সরাসরি কোন অফিসে না গিয়ে তার আত্নীয় বা প্রতিনিধির মাধমে কার্য সম্পাদনের চেষ্টা করেন।কিন্তু সেই ক্ষেত্রে অফিসের কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানীর শিকার হতে হয়।তা ছাড়া বিদ্যুতের মিটারের জন্য মহিলা গ্রাহকের নিকট থেকে বিবাহের কাবিননামা চাওয়া হয় বলেও অভিযোগ এবং এর সত্যতা পাওয়া যায়।বাংলাদেশের বেশিরভাগ মহিলার কাছেই কাবিন নামা থেকেনা।এক্ষেত্রে বিদ্যুতের মিটারের জন্য কাবিননামা সংগ্রহ করতে মহিলাদেরকে আরেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।এদিকে বিদ্যুৎ অফিসের সহকারি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জলিলকে খুটি বা কোন কাজের স্টেকিং সীট তৈরী করতে উপরি না দিলে তিনি এক মহা বিল তৈরী করে গ্রাহকের বারটা বাজিয়ে ছাড়েন বলেও অভিযোগ রয়েছে।সম্প্রতি রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার(এজিএম কম) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এবং জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জলিল সাহেবের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রায়পুর পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট,সাবেক মেয়র ইসমাইল খোকন ও নতুন বাজারের বিশিষ্ট রেফ্রিজারেটর ব্যবসায়ী মিন্টু মিঝিকে হয়রানীর অভিযোগে বিদ্যুৎ অফিসের কর্তা ব্যাক্তিদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে বলে জানা গেছে।তা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দুর্যোগের কারনে বা কাকতালীয় ভাবে মিটার পুড়ে গেলে বা ট্রান্সপরমার খতিগ্রস্থ হলে গাজীনগর ও দক্ষিন কেরোয়া গ্রাম সহ অনেক এলাকার নারী-পুরুষের অন্যায়ভাবে জরিমানা গুনতে হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগ গুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম(কম) মামুনুর রহমান অভিযোগ গুলোর আংশিক অস্বীকার করেন।

ট্যাগস :
Translate »

রায়পুরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহক হয়রানী

আপডেট সময় : ১২:২২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

আবদুল লতিফ, জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর।
লক্ষীপুরের রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গ্রাহকেরা সেবার বিপরীতে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।বিদ্যুতের মিটারের আবেদন করতে কোন অসহায় বা বৃদ্ধ অথবা বিধবা নারী একটি মিটারের আবেদন করতে পরিপূর্ণ কাগজপত্র দিয়ে যদি কোন প্রতিনিধি বা আত্নীয়-স্বজনকে বিদ্যুৎ অফিসে পাঠান তাহলে সেটি কর্তৃপক্ষ গ্রহন না করে উল্টো অসৌজন্য মূলক আচরন করেন।সম্প্রতি কেরোয়া গ্রামের একজন বিধবা মহিলা তার এক নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে একটি বিদ্যুৎ মিটারের জন্য সম্পুর্ন কাগজ পত্র দিয়ে আবেদন করতে রায়পুর বিদ্যুৎ অফিসে পাঠান।অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসাইন সাহেব ওই আত্নীয়কে অপমান করে আবেদন গ্রহন না করে ফেরত পাঠিয়ে দেন।আমাদের মুসলিম পরিবারের অনেক বিধবা মহিলাই রক্ষণশীল। তারা পর পুরুষ বা তৃতীয় ব্যাক্তির সম্মুখে দেখা দিতে লজ্জা বা ইতস্ত বোধ করেন।তাই নিজে সরাসরি কোন অফিসে না গিয়ে তার আত্নীয় বা প্রতিনিধির মাধমে কার্য সম্পাদনের চেষ্টা করেন।কিন্তু সেই ক্ষেত্রে অফিসের কর্মকর্তাদের দ্বারা হয়রানীর শিকার হতে হয়।তা ছাড়া বিদ্যুতের মিটারের জন্য মহিলা গ্রাহকের নিকট থেকে বিবাহের কাবিননামা চাওয়া হয় বলেও অভিযোগ এবং এর সত্যতা পাওয়া যায়।বাংলাদেশের বেশিরভাগ মহিলার কাছেই কাবিন নামা থেকেনা।এক্ষেত্রে বিদ্যুতের মিটারের জন্য কাবিননামা সংগ্রহ করতে মহিলাদেরকে আরেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।এদিকে বিদ্যুৎ অফিসের সহকারি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জলিলকে খুটি বা কোন কাজের স্টেকিং সীট তৈরী করতে উপরি না দিলে তিনি এক মহা বিল তৈরী করে গ্রাহকের বারটা বাজিয়ে ছাড়েন বলেও অভিযোগ রয়েছে।সম্প্রতি রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার(এজিএম কম) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এবং জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আবদুল জলিল সাহেবের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রায়পুর পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট,সাবেক মেয়র ইসমাইল খোকন ও নতুন বাজারের বিশিষ্ট রেফ্রিজারেটর ব্যবসায়ী মিন্টু মিঝিকে হয়রানীর অভিযোগে বিদ্যুৎ অফিসের কর্তা ব্যাক্তিদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলে আসছে বলে জানা গেছে।তা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দুর্যোগের কারনে বা কাকতালীয় ভাবে মিটার পুড়ে গেলে বা ট্রান্সপরমার খতিগ্রস্থ হলে গাজীনগর ও দক্ষিন কেরোয়া গ্রাম সহ অনেক এলাকার নারী-পুরুষের অন্যায়ভাবে জরিমানা গুনতে হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগ গুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম(কম) মামুনুর রহমান অভিযোগ গুলোর আংশিক অস্বীকার করেন।