ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় পৌর বিএনপির দোয়া মাহফিল Logo আমরা কি দলকানা, বিবেকহীন অন্ধজাতি? Logo বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মানববন্ধন: ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা’ ও তার পরিবারের নামে দেয়াল খচিত ছবি অপসারণের দাবি Logo ডিবি পুলিশের অভিযানে ৩০ বোতল ফেন্সিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার Logo শ্রীমঙ্গলে পলিথিনের দোকানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা Logo গোবিন্দগঞ্জে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত  Logo খুলনায় অভিনব কায়দায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চুরি করা হচ্ছে। Logo 🍁 ত্যাগের মন্ত্রে যেন দীক্ষিত সুভাষ জননী :- Logo বেবি পাউডারে ক্যান্সারের উপাদান! জনসন অ্যান্ড জনসন-কে ১৮০ কোটি জরিমানা Logo ভারতের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ছয় উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বিরামপুরে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির শোভা বর্ধনকারি শিমুল গাছ

ইব্রাহিম মিয়া
  • আপডেট সময় : ১০:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ৭২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ ইব্রাহীম মিঞা,
বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি
:

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার শোভাবর্ধনকারী শিমুল গাছ।এক সময় এই মনোমুগ্ধকর শিমুল ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা ও নানা রকম গল্প। বর্তমান সময়ের অনেক শিশুই চিনেনা শিমুল ফুল।স্থানীয়রা জানান, ১০-১৫ বছর আগেও বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির আনাচে কানাচে গ্রামীণ রাস্তায় চোখে পড়ত অসংখ্য শিমুল গাছ। আর এসব গাছে, ফুটন্ত শিমুল ফুলের সমারোহ জানান দিত প্রাকৃতিতে বসন্ত এসেছে। প্রস্ফুটিত ফুলে পুরো এলাকা এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়ে উঠতো। বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের মোন্নাপাড়া ব্রীজের পাশে নদীর পাড়ে রয়েছে শোভা বর্ধনকারি শিমুল গাছ। এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বিকেলে অনেকেই ভীড় জমায় ছোট যমুনা নদীর পাড়ে।কিন্তু বর্তমানে বিলুপ্তির পথে উপকারী এই গাছটি।নিকট অতীতে গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে উঠা শিমুলের তুলা দিয়ে লেপ, তোষক, বালিশ ইত্যাদি তৈরি করত। যা ছিল খুবই আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যসম্মত।শিমুল গাছ কমে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত তুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ। অপরদিকে, শিমুল তুলা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারতেন কৃষকেরা। এছাড়াও শিমুল গাছ গ্রামাঞ্চলে ঔষধি গাছ হিসাবে সুপরিচিত। শিমুলের মূল বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শিমুল গাছের চারা রোপণে কৃষকের উদাসীনতার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকাকে বিলুপ্তির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।দিন দিন শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় এখন আর দেশি তুলা খুঁজে পাওয়া যায় না। ১০ বছর পূর্বে প্রতি কেজি শিমুল তুলা বিক্রি হতো ৪০-৫০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল গাছের প্রতি মানুষ ঝুঁকে পড়ায় শিমুল গাছসহ বিভিন্ন গাছ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

ট্যাগস :
Translate »

বিরামপুরে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির শোভা বর্ধনকারি শিমুল গাছ

আপডেট সময় : ১০:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

মোঃ ইব্রাহীম মিঞা,
বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি
:

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার শোভাবর্ধনকারী শিমুল গাছ।এক সময় এই মনোমুগ্ধকর শিমুল ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা ও নানা রকম গল্প। বর্তমান সময়ের অনেক শিশুই চিনেনা শিমুল ফুল।স্থানীয়রা জানান, ১০-১৫ বছর আগেও বিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়ির আনাচে কানাচে গ্রামীণ রাস্তায় চোখে পড়ত অসংখ্য শিমুল গাছ। আর এসব গাছে, ফুটন্ত শিমুল ফুলের সমারোহ জানান দিত প্রাকৃতিতে বসন্ত এসেছে। প্রস্ফুটিত ফুলে পুরো এলাকা এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়ে উঠতো। বিরামপুর উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের মোন্নাপাড়া ব্রীজের পাশে নদীর পাড়ে রয়েছে শোভা বর্ধনকারি শিমুল গাছ। এই সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বিকেলে অনেকেই ভীড় জমায় ছোট যমুনা নদীর পাড়ে।কিন্তু বর্তমানে বিলুপ্তির পথে উপকারী এই গাছটি।নিকট অতীতে গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে উঠা শিমুলের তুলা দিয়ে লেপ, তোষক, বালিশ ইত্যাদি তৈরি করত। যা ছিল খুবই আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যসম্মত।শিমুল গাছ কমে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত তুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ। অপরদিকে, শিমুল তুলা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারতেন কৃষকেরা। এছাড়াও শিমুল গাছ গ্রামাঞ্চলে ঔষধি গাছ হিসাবে সুপরিচিত। শিমুলের মূল বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শিমুল গাছের চারা রোপণে কৃষকের উদাসীনতার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকাকে বিলুপ্তির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।দিন দিন শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় এখন আর দেশি তুলা খুঁজে পাওয়া যায় না। ১০ বছর পূর্বে প্রতি কেজি শিমুল তুলা বিক্রি হতো ৪০-৫০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল গাছের প্রতি মানুষ ঝুঁকে পড়ায় শিমুল গাছসহ বিভিন্ন গাছ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।