সুন্দরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়মের পুনরায় তদন্ত
- আপডেট সময় : ০৫:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৯০ বার পড়া হয়েছে
শহীদুল ইসলাম শহীদ, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বজরা হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলীর সহকারী শিক্ষক পদে অবৈধভাবে নিয়োগ ও সহকারী শিক্ষক থেকে ক্ষমতা বলে প্রধান শিক্ষকের চেয়ার দখলসহ নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে বিদ্যালয়ের জমিদাতা, সাবেক শিক্ষক ও স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে শিক্ষা বিভাগ। তবে প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলী বিভিন্নভাবে তদবির করে অভিযোগ ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলীর নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্রে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই ও নিয়োগকমিটি গঠনের সভা অনুষ্ঠানের তারিখ ছিল ২০১১ সালের ৩০ ফেব্রুয়ারি। এমনকি স্মারক বিহীন পত্র দিয়ে তার নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করাসহ বিদ্যালয়ের আয় ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ না করা, বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের (সুন্দরগঞ্জ) বিচারক। এসব অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোপূর্বে কয়েকদফা তদন্ত করে জেলা প্রশাসক গঠিত তদন্ত কমিটি। পরে বেসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলীর বেতন-ভাতাদি স্থগিতসহ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতোপূর্বে সুপারিশ করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক।
এদিকে, গতকাল পুনরায় এসব অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে তদন্ত কমিটি। এতে অভিযোগ কারীরা তদন্ত কমিটির কাছে যথাযথ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে পারলেও প্রধান শিক্ষন সোহরাব আলী তার স্বপক্ষে কোন ডকুমেন্টস দেখাতে পারেননি।
স্থানীয়রা জানান, তারা প্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে এ আন্দোলন শুরু করেছেন, একক অবৈধ আধিপত্ত মানা যায়না। গত তদন্ত রিপোর্ট আমাদের পক্ষে এসেছে, নতুন তদন্ত রিপোর্ট আমাদের বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ নেই।
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সোহরাব আলী বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি তদন্ত কমিটির কাছে সব তথ্য উপস্থাপন করবো।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার রোকসানা বেগম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হচ্ছে।