বেবি চক্রবর্ত্তী: কলকাতা :- সিপিএমের ২৭ তম রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষ। বিশেষ বৈচিত্র কিছু নেই। ফের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বাদ গেলেন সুশান্ত ঘোষ সহ একাধিক পুরোনো নেতা। সেই তালিকায় ১৪ জন মহিলা রয়েছেন। সম্মেলনে কয়েকটি বিষয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। যেমন মেন বিধানসভা ও লোকসভায় তারা 'শূন্য'? কেন দলের ভোট ক্রমাগত কমে চলেছে? কেমন মমতার ভোট বাড়ছে? কেন বামের ভোট রামে যাচ্ছে? ইত্যাদি নানা প্রসঙ্গেই আলোচনা হয়েছে। মহম্মদ সেলিমই যে পুনরায় রাজ্য সম্পাদক হবেন তা এক প্রকার নিশ্চিত ছিল। ঘোষণা ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। ২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএম কর্মীরা ফের একবার লড়াই করবেন সেলিমের নেতৃত্বে। ডানকুনিতে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল সিপিআইএম-র রাজ্য সম্মেলন। যা মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে ১১ জন নতুন সদস্যকে যুক্ত করা হয়েছে। যাঁর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন হুগলির ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তীর্থঙ্কর রায়। সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও দলীয় নেতৃত্ব আন্দোলন বিমুখ কর্মীদের নিয়ে।
রাজ্য কমিটি থেকে বেশ কিছু মুখ বাদ পড়েছে, যা অনেককে অবাক করেছে। বাদ পড়ার তালিকায় রয়েছেন সুশান্ত ঘোষ, বাঁকুড়ার বর্ষীয়ান নেতা অমিয় পাত্র, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, উত্তরবঙ্গের সিপিআইএম নেতা জীবেশ সরকার। এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি সুশান্ত ঘোষকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে সিপিআইএম। তারপর থেকেই দল তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছিল। এবার রাজ্য কমিটি থেকে ছাঁটাই করা হল তাঁকে। অন্যদিকে বয়সজনিত কারণে অমিয় পাত্রকে এবার রাজ্য কমিটিতে রাখা হয়নি বলে খবর। বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। বিকাশ ভট্টাচার্যকেও রাজ্য কমিটি থেকে বয়সজনিত কারণে সরতে হয়েছে। শোনা যাচ্ছিল এবার রাজ্য কমিটিতে থাকতে পারেন কলতান দাশগুপ্ত। কিন্তু তাঁকে রাখা হয়নি। মনে করা হচ্ছে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে আন্দোলনের সময় কলতানের গ্রেফতারিতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছিল। সেই কারণে রাজ্য কমিটিতে রাখা হয়নি তাঁকে।
রাজ্য কমিটিতে যেমন আছেন সুজন চক্রবর্তী, রামচন্দ্র ডোম, শমীক লাহিড়ি, নীরঞ্জন সিহি, সমন পাঠক, মৃণাল চক্রবর্তী, পুলিন বিহারী বাস্কে, অনাদী সাহু, তাপস সিনহা, গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জির মত অভিজ্ঞ নেতারা, তেমন রয়েছেন শতরূপ ঘোষ, সৃজন ভট্টাচার্য, প্রতীক উর রহমন, মীনাক্ষী মুখার্জি, ইন্দ্রজিৎ ঘোষের মতো তরুণ নেতৃত্বরাও। বার বার করে আলোচনায় এসেছে যে দলকে আন্দোলনে ফেরাতে হবে। বিজেপিকে রুখতে কিছুটা ধৰ্মীয় আবেগ দলের অভ্যন্তরে শোনা গেছে।