গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত করায় নগরের বাসিন্দাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জায়েদা খাতুন। নির্বাচনে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও শুভেচ্ছা। আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। ভোটটা আমার সুষ্ঠু হয়েছে। আমি আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি। এই জন্য আমি আরও ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আজ শুক্রবার সকাল ৬টার সময় নিজ বাড়িতে জায়েদা খাতুন সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
গাজীপুরবাসীর জন্য কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে টেবিলঘড়ি প্রতীকে জয় লাভ করা জায়েদা খাতুন বলেন, ‘গাজীপুরবাসীর ঋণ আমি শোধ করার চেষ্টা করব। সাংবাদিকেরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাই আপনাদের ঋণও আমি শোধ করব। আপনারা যখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তখন আমার সঙ্গে বা আশপাশে কেউ ছিল না। আমি গাজীপুরের কাজ করেই ঋণ শোধ করব।
জায়েদা খাতুন বলেন, ‘কাজটা যেহেতু আমি একা করতে পারব না। তাই আমার ছেলেকে নিয়ে করব যে আগে থেকেই আমার পাশে ছিল। আমার ছেলের যে কাজগুলো বাকি ছিল, সেগুলো আমি শেষ করে দেব ইনশা আল্লাহ।’
এ সময় জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমার মা আমার শিক্ষকের মতো। আমার সব কাজ সে দেখভাল করেছে। এখন আমি মেয়র নেই, কিন্তু আমার মা মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। আমি মায়ের সঙ্গে থেকে যতগুলো কাজ আছে এবং প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় কাজগুলো করব। আজমত উল্লা খান আমার বড় ভাই। তাঁর পরামর্শ এবং এখানে বড় যারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আছেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে, পরামর্শ নিয়ে আধুনিক শহর গড়ে তোলার চেষ্টা করব।
গতকাল দিনে ভোট গ্রহণ শেষে গভীর রাতে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। তাতে দেখা যায়, জায়েদা খাতুন ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে পরাজিত করেছেন। মোট ৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে টেবিলঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। ভোটের ফলাফলে তৃতীয় হওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৩৫২ ভোট।