সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ সময়ে চেয়ার দখলের চতুর্মুখী লড়াই
- আপডেট সময় : ০৬:১৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
শহীদুল ইসলাম শহীদ, সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি:
শেষ সময়ে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। আগামী মঙ্গলবার (২৯মে) ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
তবে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অংশ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে উত্তাপ ছড়িয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটলেও ভাগ্য নির্ধারণের দিন হানাহানি শঙ্কা করছেন ভোটাররা।
এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন , ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোটাররা মনে করছেন চেয়ারম্যান পদে মূল লড়াই হবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু (কাপ পিরিচ), উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক আহবায়ক কমিটি’র সদস্য খয়বর হোসেন সরকার মওলা ( হেলিকপ্টার) জাতীয় পাটি’র মনোনিত প্রার্থী ইন্জিনিয়ার মোস্তফা মহসিন সরদার টিপু (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন লিখন (ঘোড়া) প্রতীকে এখন মাঠ কাঁপাচ্ছেন।
ভোটারদের মতে চারজনেই এগিয়ে রয়েছেন। তবে কিছু কিছু ভোট কেন্দ্রে আশঙ্কার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে যেতে পারে সেজন্যে প্রশাসনের আহব্বান জানান তাঁরা।
নির্বাচনের বিষয় প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ হলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম সরকার লেবু জানান, বিগত পাঁচটি বছরে উপজেলার ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন এবং কিছু কাজ এখনো চলমান অবস্থায় আছে।
পুনরায় নির্বাচিত হলে বাকি কাগজগুলো শেষ করে অধুনিক মডেল উপজেলায় রুপান্তিত করতে পারবো। সেই সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবেন।
ভোট কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে প্রার্থীরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, প্রচারণা-সহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। এছাড়া বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে নির্বাচনী গান পরিবেশন ও মাইকিং করছেন প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মিসেস আফরুজা বারীর ভাষ্য, উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় নেতাকর্মীগণ কাজ করবেন। দলের বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই।
উপজেলা নির্বাচন অফিসসূত্রে জানা গেছে, ভোটারদের সুবিধার্থে ২৮টি ভোট কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১১১টি।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩৯টি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ২২টি। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ জন।
এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৯ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১ হাজার ১৫৯ জন এবং হিজড়া ভোটার ১ জন তুলনামুলকভাবে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোয়ার হোসেনের ভাষ্য, ভোটারদের সুবিধার্থে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এতে করে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।
নির্বাচন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিস্থিতি যেভাবে ভাল থাকে সে অনুযায়ী আইনশৃংখলা বাহিনী কাজ করবে। প্রশাসন পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।