মোরছালিন আহম্মেদ
জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার রতনকান্দি ইউনিয়ন এর চরচিলগাছা গ্রামে এবছর প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়াই ধান কাটার মহা উৎসব শুরু হয়েছে।
বর্তমান সময়ে নদীতে পানি আছে একেবারে তলদেশে। কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে সকালের সোনারোদ। শেষ হেমন্তের মৃদু বাতাসে দোল খাচ্ছে মাঠ ভরা সোনালী ধান।
ঋতুচক্রের নিয়মেই হেমন্তের হাত ধরে আসে নবান্ন। গ্রামবাংলার মাঠে-খেতে চলছে আমন ধান কাটার মহোৎসব নবান্ন (অর্থ: নতুন অন্ন)। যা উওর অঞ্চল ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শস্যোৎসব।
নবান্ন হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে পাওয়া চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব।
নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে কোনো কোনো অঞ্চলে ফসল তোলার পরদিনই নতুন ধানের নতুন চালে ফিরনি-পায়েশ অথবা ক্ষীর তৈরি করে আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর ঘরে ঘরে বিতরণ করা হয়।
চরচিলগাছা গ্রামের কৃষক মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, ধান কাটা শুরু করেছি কয়েকদিন হলো। ফলন ভালেই হইছে। পোকার উপদ্রব শুরুতে থাকলে ও শেষের দিকে কমে গিয়েছিলো।
এই এলাকার বেশিরভাগ কৃষকই ধান কাটতে শুরু করেছেন। যারা দেড়িতে ধান রোপণ করেছিলেন তাদের ধান কাটতে আরও সপ্তাহ খানেক লাগবে।
একই এলাকার আরেক কৃষক দৈনিক বর্তমান সংবাদ কে বলেন, আমন ধানের ফলন ভাল হয়েছে। আমার জমির ধান এখনো পুরুদমে পাকেনি। দু-চার দিনের মধ্যে পেকে যাবে। তখন ধান কাটা শুরু করবো ইনশাআল্লাহ।
হেমন্তের বাতাসে ভেসে বেড়ায় পাকা ধানের মিষ্টি ঘ্রাণ। দিনভর কয়লা খাটুনি খেটে ধান কাটার পর মাড়াই শেষে ঘরে তুলছেন কৃষকেরা।
তাদের এ কাজে সহযোগিতা করছেন কৃষাণি বধূরাও। আর এভাবেই দেখতে দেখতে গোলা ভরে উঠছে কৃষকের।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়ন ঘুরে ঘুরে দেখা যায় এই সব চিত্র।