তমিজ উদ্দিন চৌধুরী
ফেনী প্রতিনিধিঃ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, কুমিল্লা সেনানিবাসে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ এর সন্মানিত সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সাংসদ জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী মহোদয়।
এ সময় কুমিল্লা ডিভিশনের জিওসি এবং ডিজি এফআইয়ের কুমিল্লা এরিয়ার ডেট কমান্ডার কর্ণেল নাঈমুল ইসলাম মহোদয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রসঙ্গত ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনীর সাথে নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিত ভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে।
সে জন্যই ২১ নভেম্বরকে মুক্তিযুদ্ধের একটি মাইলফলক হিসেবে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবেগৌরবের সাথে স্মরণ করা হয়।
১৯৮০ সাল থেকে সম্মিলিত ভাবে ২১ নভেম্বরকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
এর আগে ২৫ মার্চ সেনা, ১০ ডিসেম্বর নৌ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর বিমানবাহিনী স্বতন্ত্রভাবে তাদের নিজস্ব বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করত।
কিন্তু মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী অর্থাৎ সামরিক বাহিনী ও জনসাধারণের সম্মিলিত যে প্রয়াসে দেশের ঐতিহাসিক বিজয় অর্জিত হয়েছে সেই, অসাধারণ অর্জন চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য নতুন প্রজন্ম কে নিয়ে সবাই মিলে উদযাপনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ কে মহিমান্বিত করার লক্ষ্যেই সশস্ত্রবাহিনী দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সশস্ত্র বাহিনীর যে অকল্পনীয় ও অবিস্মরণীয় ত্যাগের বিনিময়ে এ দেশের মুক্তি সম্ভব হয়েছে তা জানতে পারলে জাতির মধ্যে দেশ প্রেমের অনুভূতির স্ফুরণ ঘটবে,এতে কোনো সন্দেহ নেই।
হানাদার বাহিনীর নির্মম ও নৃশংস আক্রমণকে প্রতিহত ও তাদেরকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে দেশ মুক্তির মাধ্যমে মানুষের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
সশস্ত্রবাহিনী দিবস পালনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধে সামরিক বাহিনীর অবদানকে দেশের জনগণের আত্মত্যাগের সাথে একীভূত করে দেখা হয়।