সন্দ্বীপে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
সন্দ্বীপে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
- আপডেট সময় : ০৮:১২:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৮৩ বার পড়া হয়েছে
জাহেদুল ইসলাম শিহাব
সন্দ্বীপ প্রতিনিধিঃ
ভাঙা ছাদ থেকে প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ছে। ছাদের পলেস্তারা পড়ে গিয়ে রড বেরিয়ে গেছে। বৃষ্টি এলেই ছাদ চুইয়ে পড়ছে পানি। এ ছাড়া কক্ষের দেয়াল, ছাদ, পিলার ও বিমে ধরেছে ফাটল। শ্রেণিকক্ষের মেঝে দেবে গেছে অনেকাংশে।
এমন ঝুঁকির মধ্যেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে সন্দ্বীপ উপজেলার হারামিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের গোলাম মোস্তফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা। বিদ্যালয়টির এমন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় অভিভাবকেরা তাঁদের কোমলমতি শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন। এদিকে বিদ্যালয়টির একমাত্র ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এটি শুধু স্কুল শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ভবন নই, স্হানীয় জাতীয় নির্বাচনের হারামিয়া ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র এবং সাইক্লোন সেন্টার হিসাবে ও ব্যবহার করা হয়। সামনে কয়দিন পর জাতীয় নির্বাচন এ বিষয়ে এখন ভাবতে হবে সংশ্লিষ্টদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির জরাজীর্ণ উপর তলায় চার কক্ষের ভবনের একটি তালাবদ্ধ, একটিতে বিদ্যালয়ের কার্যালয় আর দুটিতে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
শ্রেণী কক্ষের সংকটে গত দশ বছর যাবৎ নিচে টিনশিট বেড়া দিয়ে চালানো হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম, ভাঙা ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বেরিয়ে আছে। বৃষ্টি এলেই পড়ে পানি। কক্ষের দেয়াল, ছাদ, পিলার ও বিমে ফাটল ধরেছে।
অনেক জায়গায় শ্রেণিকক্ষের মেঝে দেবে গেছে। এ অবস্থায় জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২০৬ জন কোমলমতি শিশু পাঠ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব হারামিয়া গোলাম মোস্তফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯৯-২০০০ সালে চার কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।
সেই থেকে এ ভবনের তিনটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও একটি কক্ষ বিদ্যালয়ের কার্যালয় অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, বর্তমানে স্কুলে ৬ জন শিক্ষক রয়েছে, ছোট্ট একটি কক্ষে তারা গাদাগাদি করে বসে অফিস করছেন, শিক্ষক দের বসার কোন জায়গা নেই, নেই মহিলা শিক্ষকদের বেস্ট ফিডিং রুম, নেই নামাজ খানা।
বর্তমানে বিদ্যালয়ের অনেক জায়গায় দেয়াল, পিলার ও বিমে ফাটল। দেবে গেছে মেঝে এবং খসে পড়ছে ছাদের পলেস্তারা। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে ছয়জন শিক্ষক পড়াচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী বলেন, ভাঙা কক্ষে পড়তে তাদের অনেক ভয় লাগে। এমনকি পড়া চলাকালে প্রায়ই ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দীন বলেন, বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ নিয়ে তাঁরা উদ্বেগ–উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। জায়গা ও সংকুলান না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে শিশুদের পড়াতে হচ্ছে।
এতে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। ভবনের বর্তমান অবস্থা ও ৩৩ শতাংশ জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণের চাহিদা জানিয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলোতে একাধিকবার চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি তফুরা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা যায় নি
সন্দ্বীপ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খোরশেদ আলম বলেন এ বিদ্যালয়ের ভবন সংকট রয়েছে আমার পূর্বের অফিসার ও এ বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর কে জানিয়েছে আমি ও একাধিক বার এ বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষ কে অবহিত করছি।