ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চট্রগ্রাম বোয়াল খালিতে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ঐক্য ও সম্প্রীতি সমাবেশ Logo কালিয়াকৈরে ইলেকট্রিক কমিটির নবনির্বাচিত সভাপতি মুহাম্মদ নাজমুল আলম ও সাধারন সম্পাদক কেরামত আলী  Logo লক্ষীপুরের রায়পুরে একদল তরুন স্বেচ্ছাসেবক বন্যাকবলিত ২শতাধিক মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে Logo শ্রীমঙ্গলে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদককে অব্যহতি Logo কান্দিগ্রাম শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদ এর ২০২৪-২৫ সালের কার্যকরি কমিটি গঠন! Logo শেরপুরে জেলায় একটি মৎস্য খামার থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার Logo সিমেক ফাউন্ডেশন এর ত্রান বিতরন কর্মসূচী- ২০২৪ Logo বামনডাঙ্গা বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে অবরোধ। Logo বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতৃত্বে পরিবর্তন কার্যকরী সভাপতি জনাব আব্দুর রহিম বকস দুদু কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি,সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির খানকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন Logo কেস স্টাডি তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহাদ ( শ্রেণীতে অমনোযোগীর কারণ অনুসন্ধান)

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচনে ২৮ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ সহিংসতার আশঙ্কা

মো: রবি উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

মো: রবি উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকদের উসকানিমূলক কথাবার্তা ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। নির্বাচনে যে কোন উপায়ে জিততে মরিয়া প্রার্থীরা।

এ কারণে ভোটের দিন সহিংসতার আশঙ্কা করছেন অনেকে। উপজেলার ৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৮টি ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে কড়া নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলেছেন, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে পারেন সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন টিম মাঠে নিরাপত্তায় সক্রিয় থাকবে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, প্রার্থী-সমর্থকদের মারমুখী আচরণ, পেশিশক্তি প্রয়োগ এবং জাল ভোট দেয়াসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় থাকবে অতিরিক্ত ফোর্স ও বাড়তি সতর্কতা।

তাছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়া নিয়ে সাধারণ ভোটারদের ভিতর তৈরি হয়েছে নানা শঙ্কা। স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তিনজন প্রার্থীরই রয়েছে নিজস্ব জনসমর্থন।

কিন্ত দলীয় প্রতীক না থাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা বিভক্ত। সেই সাথে নীরব ভুমিকায় রয়েছেন এখানকার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে ভোটের পরিবেশ বিনষ্ট হতে পারে।

সেই সাথে ঘটতে পারে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এরই মাঝে প্রাকৃতির দুর্যোগ ঘুর্ণিঝড় রেমাল প্রভাবে তৈরি বৃষ্টিপাতের কারনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে (মোটরসাইকেল) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আছকির মিয়া স্বাক্ষরিত মৌলভীবাজার রিটার্নিং অফিসার বরাবর দেওয়া এক লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী ভানু লাল রায় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করার জন্য ২৭ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের নিয়ে গোপন বৈঠক করছেন। তিনি ভোট গণনায় অনিয়ম করে ও তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে কেন্দ্র দখল করে ভোট প্রদানের পরিকল্পনা করেছেন।

তবে, এ লিখিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সোমবার দুপুর ২টা ২৭ মিনিটের দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ভানুলাল রায়ের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলো হলো- সুনগড়ই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন অফিস কেন্দ্র, কুল চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ব্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়া সরকারির প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, খিলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, হাউজিং এস্টেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, হাজী মনছব উল্লাহ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, (পুরুষ) এবং হাজী মনছব উল্লাহ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, (মহিলা) হুগলিয়া, মনাই উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, জামসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

আছিদ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কালাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ইলিয়াস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ কেন্দ্র, দি বার্ডস রেসিডেনসিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র, শ্রীমঙ্গল আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র, মাতৃছায়া শিশু কানান কেজি স্কুল কেন্দ্র, সিন্দুরখান ইউপি অফিস কেন্দ্র, ভৈরবগঞ্জ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, এবং ভৈরবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কালাপুর ইউপি অফিস কেন্দ্র, শ্রীমঙ্গল পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

অন্যদিকে (আনারস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রেমসাগর হাজরা সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করেছেন ‘গত ২০২১ সালে এই উপজেলায় অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি সংঘটিত হয়েছিলো।

সেই নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে রাতে ব্যালট পেপার পৌছিয়ে ব্যাপক হারে প্রতিপক্ষের প্রতীকে সিল মারা হয়েছিলো। তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ -এর সকল ব্যালট পেপার কেন্দ্রগুলোতে সকালে পৌছানোর আবেদন করেন। নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়ার স্বার্থে উপজেলা নির্বাচনে সকল কেন্দ্রে সকালবেলা ব্যালট সরবরাহ করার আবেদন জানান তিনি।’

আগামী (২৯ মে) অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন- (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে ভানুলাল রায়, (আনারস) প্রতীকে প্রেমসাগর হাজরা, (মোটরসাইকেল) প্রতীকে আছকির মিয়া।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন (তালা) প্রতীকে ভাইস রাজু দেব রিটন, (টিউবওয়েল) প্রতীকে হাজী মোহাম্মদ লিটন আহমদ, (মাইক) প্রতীকে মাওলানা এম এ রহীম নোমানী ও চশমা প্রতীকে কেশব বারই।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন (পদ্মফুল) প্রতীকে মিতালী দত্ত, (ফুটবল) প্রতীকে কবিতা রাণী দাশ ও (হাঁস) প্রতীকে হাজেরা খাতুন।

উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মো. আবু তালেব জানান , ‘চেয়ারম্যান পদের তিনজন প্রার্থীই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনে আমাদের পর্য়াপ্ত ফোর্স থাকবে, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, ব্যাটেলিয়ান আনসার মাঠে থাকবে।

এর বাহিরেও রিজার্ভ ফোর্স থাকবে, প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের মোবাইল টিমসহ আমাদের সকল বাহিনী মাঠে সক্রিয় থাকবে।

যাতে নির্বাচনে কোন ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটে। এখানে কোন কারচুপির সুযোগ নেই। আমাদের নির্দেশনা একটাই সবার প্রতি ইলেকশন হবে সমান অধিকারে। জনগণ তারমত ভোট দিবে এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।

Translate »

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচনে ২৮ ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ সহিংসতার আশঙ্কা

আপডেট সময় : ০৯:৫১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

মো: রবি উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং কর্মী-সমর্থকদের উসকানিমূলক কথাবার্তা ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। নির্বাচনে যে কোন উপায়ে জিততে মরিয়া প্রার্থীরা।

এ কারণে ভোটের দিন সহিংসতার আশঙ্কা করছেন অনেকে। উপজেলার ৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৮টি ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

তবে এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে কড়া নিরাপত্তা থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলেছেন, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট দিতে পারেন সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন টিম মাঠে নিরাপত্তায় সক্রিয় থাকবে।

এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, প্রার্থী-সমর্থকদের মারমুখী আচরণ, পেশিশক্তি প্রয়োগ এবং জাল ভোট দেয়াসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোয় থাকবে অতিরিক্ত ফোর্স ও বাড়তি সতর্কতা।

তাছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়া নিয়ে সাধারণ ভোটারদের ভিতর তৈরি হয়েছে নানা শঙ্কা। স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত তিনজন প্রার্থীরই রয়েছে নিজস্ব জনসমর্থন।

কিন্ত দলীয় প্রতীক না থাকায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা বিভক্ত। সেই সাথে নীরব ভুমিকায় রয়েছেন এখানকার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। সাধারণ ভোটাররা মনে করছেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে ভোটের পরিবেশ বিনষ্ট হতে পারে।

সেই সাথে ঘটতে পারে নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এরই মাঝে প্রাকৃতির দুর্যোগ ঘুর্ণিঝড় রেমাল প্রভাবে তৈরি বৃষ্টিপাতের কারনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে (মোটরসাইকেল) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আছকির মিয়া স্বাক্ষরিত মৌলভীবাজার রিটার্নিং অফিসার বরাবর দেওয়া এক লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী ভানু লাল রায় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করার জন্য ২৭ জন প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের নিয়ে গোপন বৈঠক করছেন। তিনি ভোট গণনায় অনিয়ম করে ও তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে কেন্দ্র দখল করে ভোট প্রদানের পরিকল্পনা করেছেন।

তবে, এ লিখিত অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সোমবার দুপুর ২টা ২৭ মিনিটের দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী ভানুলাল রায়ের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলো হলো- সুনগড়ই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন অফিস কেন্দ্র, কুল চন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ব্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়া সরকারির প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, খিলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, হাউজিং এস্টেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, হাজী মনছব উল্লাহ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, (পুরুষ) এবং হাজী মনছব উল্লাহ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, (মহিলা) হুগলিয়া, মনাই উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, জামসি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

আছিদ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, হাজীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কালাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কাসিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ইলিয়াস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, উদয়ন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র, শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ কেন্দ্র, দি বার্ডস রেসিডেনসিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র, শ্রীমঙ্গল আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্র, মাতৃছায়া শিশু কানান কেজি স্কুল কেন্দ্র, সিন্দুরখান ইউপি অফিস কেন্দ্র, ভৈরবগঞ্জ দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, এবং ভৈরবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, কালাপুর ইউপি অফিস কেন্দ্র, শ্রীমঙ্গল পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।

অন্যদিকে (আনারস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রেমসাগর হাজরা সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে উল্লেখ করেছেন ‘গত ২০২১ সালে এই উপজেলায় অনুষ্ঠিত চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি সংঘটিত হয়েছিলো।

সেই নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে রাতে ব্যালট পেপার পৌছিয়ে ব্যাপক হারে প্রতিপক্ষের প্রতীকে সিল মারা হয়েছিলো। তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ -এর সকল ব্যালট পেপার কেন্দ্রগুলোতে সকালে পৌছানোর আবেদন করেন। নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়ার স্বার্থে উপজেলা নির্বাচনে সকল কেন্দ্রে সকালবেলা ব্যালট সরবরাহ করার আবেদন জানান তিনি।’

আগামী (২৯ মে) অনুষ্ঠিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনজন প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন- (কাপ-পিরিচ) প্রতীকে ভানুলাল রায়, (আনারস) প্রতীকে প্রেমসাগর হাজরা, (মোটরসাইকেল) প্রতীকে আছকির মিয়া।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী রয়েছেন (তালা) প্রতীকে ভাইস রাজু দেব রিটন, (টিউবওয়েল) প্রতীকে হাজী মোহাম্মদ লিটন আহমদ, (মাইক) প্রতীকে মাওলানা এম এ রহীম নোমানী ও চশমা প্রতীকে কেশব বারই।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন (পদ্মফুল) প্রতীকে মিতালী দত্ত, (ফুটবল) প্রতীকে কবিতা রাণী দাশ ও (হাঁস) প্রতীকে হাজেরা খাতুন।

উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মো. আবু তালেব জানান , ‘চেয়ারম্যান পদের তিনজন প্রার্থীই লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভোট কেন্দ্র ও নির্বাচনে আমাদের পর্য়াপ্ত ফোর্স থাকবে, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, ব্যাটেলিয়ান আনসার মাঠে থাকবে।

এর বাহিরেও রিজার্ভ ফোর্স থাকবে, প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের মোবাইল টিমসহ আমাদের সকল বাহিনী মাঠে সক্রিয় থাকবে।

যাতে নির্বাচনে কোন ধরনের দূর্ঘটনা না ঘটে। এখানে কোন কারচুপির সুযোগ নেই। আমাদের নির্দেশনা একটাই সবার প্রতি ইলেকশন হবে সমান অধিকারে। জনগণ তারমত ভোট দিবে এবং জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।