ববি রানী রায়
স্টাফ রিপোর্টার:
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম (নৌকা), ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক (লাঙ্গল), কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সুন্দর আলী (গামছা) সহ স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম (ট্রাক), ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল আহসান (ঈগল) ও মিজানুর রহমান রাজা (কেটলি) মার্কা নিয়ে পথসভা, গণসংযোগ করছেন। যাচ্ছেন ভোটরদের দ্বারে দ্বারে। তবে নির্বাচনের কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ’লীগের দলীয় প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম ও ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় শহিদুল ইসলামের অবস্থান অত্যন্ত শক্তিশালী। ব্যক্তি হিসেবে তিনি সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় সকল শ্রেণি পেশার ভোটাদের সাথে তাঁর রয়েছে নিবিড় সখ্যতা। তিনি বিগত সময়ে বিপুল ভোটে পরপর দুইবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি গরীব, অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। তাই ভোটের মাঠে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এবার দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে। তাঁর সাথে কাজ করছে উপজেলা আ’লীগের একাংশ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতী লীগ সহ সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ। তাঁর দাবী সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় এ আসনটি আমরা শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।
অপরদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জোড়ালোভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর দাবি এ উপজেলা ৫২ বছরেও কেউ এমপি হতে পারেনি। তাই জনগণ তাঁকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। এছাড়াও শ্রীবরদী উপজেলা আ’লীগের একটি অংশ দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাইমের পক্ষে কাজ করছেন। অন্যান্য প্রার্থীরাও গণসংযোগ, পথসভা ও প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
উল্লেখ্য, শেরপুর-৩ আসনে শ্রীবরদী উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৫ ও ঝিনাইগাতী ভোট সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৪৪। দুই উপজেলার ভোটার সংখ্যার এ হিসাব নির্বাচনের ফলাফলে একটি বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন।