স্টাফ রিপোর্টারঃ আব্দুল মোমিন
গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ৬ ভুয়া ডিবি পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
বৃহষ্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জৈনা বাজার ভাই ভাই ফিলিং স্টেশনের সামন থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক এস আই মিন্টু মোল্লা।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন পূর্বে একটি কোম্পানির ব্যবসায়ীক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে পৃথক দুটি মামলা হয়। সেই মামলার কয়েকজন আসামি ইতিমধ্যে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। একটি মামলার তিন নাম্বার আসামি মাজেদ পারভেজ সে তার শশুর বাড়ি কাওরাইদ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে আত্নগোপনে ছিল।পরে প্রতিপক্ষের লোকজন জানতে পেরে নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মাজেদ পারভেজকে তুলে নিয়ে যায়। পরে জরুরী পরিষেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে জৈনা বাজার ভাই ভাই ফিলিং স্টেশন থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, নাইম ইসলাম(২৭), মাহিম (১৯),আল আমিন(২৯), দিন ইসলাম (১৬), রিফাত(১৭), শেখ রাসেল(২৪)।
বাকি আসামিরা হলেন,
মেজবা উদ্দিন (৩৩),মো: মোকলেছুর রহমান(২৭),লুৎফর রহমান (৩৭), মনিরুজ্জান (৩৫),মো:শফিকুল ইসলাম (৪০),
আব্দুর রউফ(৩৫), আব্দুর রশিদ (৫০), মো: তুহিন (২৭),মো: শহিদ মিয়া(৪৮), তাদের বিরুদ্ধে শ্রীপুর মডেল থানায় মামলা রুজু হয়। মামলা নং ৩০, ২৪/১১/২৩ ধারা ১৭০/৩৬৩/৫০৬/ পেনাল কোর্ড ৩৪। মামলা টি রুজু হয়।
পরে ভুক্তভোগী মাজেদ পারভেজের স্ত্রী তাসলিমা খাতুন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তাসলিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামী একটি মামলার তিন নাম্বার আসামি ছিলেন। মামলার পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষতিসাধন করার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিত। তাই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আমার স্বামীকে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতেই থাকতাম। বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে সবাই শুয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আমার ঘরের দরজায় অপরিচিত কয়েকজন লোক নক করে দরজা খুলতে বলে। তারা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়। পরে ঘরের দরজা খোলা মাত্রই আমার স্বামী মাজেদ পারভেজকে একটি গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে। পরে আমি সবাইকে চিনে ফেলি। আমার স্বামীকে বাঁচানোর জন্য ডাক চিৎকার শুরু করি। তখন লোকজন আসার আগেই আমার স্বামীকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে আমি জরুরী পরিষেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাই। পুলিশ রাত সাড়ে বারোটার দিকে জৈনাবাজার এলাকা থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল ফজল মোহাম্মদ নাসিম বলেন,মাজেদ পারভেজ একটি মামলার আসামি ছিল। কতিপয় কিছু লোকজন তাকে অপহরণের চেষ্টা করে। পরে রাত সাড়ে বারটার দিকে জৈনা বাজার এলাকা থেকে ভিকটিম উদ্ধার সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
একটি অপহরণ মামলার অজু করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয়।