ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

শেরপুরে কবুতর নিয়ে দন্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি স্কুল শিক্ষকের 

ববি রানী রায়- স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩ ৫৮ বার পড়া হয়েছে
শেরপুরে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্র‍বার  বিকেলে শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের চাংপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।হামলার শিকার ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর নাম রওশনারা বেগম। তিনি স্বামী মিজু মিয়া সঙ্গে ভেলুয়া ইউনিয়নের চাংপাড়া এলাকায় থাকেন।হামলাকারী ওই স্কুল শিক্ষকের নাম মোঃ ফারুক মিয়া। তিনি ভেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী মিজু মিয়া জানান, আমার পাশের বাড়ি রুবাইদুল্লার কবুতর ফারুক মাস্টারের বাড়িতে গেছিলো। পরে আবার রুবাইদুল্লাহ ওই কবুতরগুলো নিতে ফারুক মাস্টারের বাড়িতে যায়। সাথে আমাকেও নিয়ে যায়। পরে আবার রুবাইদুল্লাহ ফারুক মাস্টারের ছেলে তামিমকে বলে কবুতরগুলা আমার। পরে তামিম বলে ১ মাস ধরে কবুতর গুলা কোত্থেকে জানি আইছে। এরপর ফারুক মাস্টারের স্ত্রী কবুতরদুটি তার নিজের বলে দাবি করে বলেন, এগুলো বাপের বাড়ি থেকে এনেছেন । এনিয়েই ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
পরে ফারুক মাস্টার এসে মিজু মিয়াকে মারধোর করতে আসলে তার অন্তস্বত্তা স্ত্রী রৌশন আরা স্বামীকে বাচাঁতে গেলে ফারুক মাষ্টার রৌশন আরার পেটে লাথি দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরে তাকে শুক্রবার বিকেলে শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ওখান থেকে জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে আজ ২০ মে সকালে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিজু মিয়া বলেন, আমি এই ঘটনায় বিচার চাই। কেন আমার অন্তঃসত্ত্বা বউ এর পেটে লাথি দিলো। আমার বউ এর অবস্থা ভালো না।
থানায় অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন আমরা সবাই হাসপাতালে আমার বউকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ দিতে পারি নাই। আজ থানায় অভিযোগ দিবো।
এব্যাপারে শেরপুর জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা: খায়রুল কবির সুমন বলেন, রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাকে কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী চিকিৎসক দেয়া হবে। আমরা আশা করছি মা ও গর্ভের বাচ্চার কোন সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে ফারুক মাষ্টারের ০১৯১৬৫৫০৪০৩ নাম্বারে ফোন দিলে তার স্ত্রী মারধোরের কথা অস্বীকার করে। তবে তিনি দাবি করেন আমাকে ওরা প্রহৃত করার সময় আমার স্বামী ফারুক মাষ্টার আঘাত করতে পারে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ট্যাগস :
Translate »

শেরপুরে কবুতর নিয়ে দন্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি স্কুল শিক্ষকের 

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
শেরপুরে এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্র‍বার  বিকেলে শ্রীবরদীর ভেলুয়া ইউনিয়নের চাংপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।হামলার শিকার ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর নাম রওশনারা বেগম। তিনি স্বামী মিজু মিয়া সঙ্গে ভেলুয়া ইউনিয়নের চাংপাড়া এলাকায় থাকেন।হামলাকারী ওই স্কুল শিক্ষকের নাম মোঃ ফারুক মিয়া। তিনি ভেলুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী মিজু মিয়া জানান, আমার পাশের বাড়ি রুবাইদুল্লার কবুতর ফারুক মাস্টারের বাড়িতে গেছিলো। পরে আবার রুবাইদুল্লাহ ওই কবুতরগুলো নিতে ফারুক মাস্টারের বাড়িতে যায়। সাথে আমাকেও নিয়ে যায়। পরে আবার রুবাইদুল্লাহ ফারুক মাস্টারের ছেলে তামিমকে বলে কবুতরগুলা আমার। পরে তামিম বলে ১ মাস ধরে কবুতর গুলা কোত্থেকে জানি আইছে। এরপর ফারুক মাস্টারের স্ত্রী কবুতরদুটি তার নিজের বলে দাবি করে বলেন, এগুলো বাপের বাড়ি থেকে এনেছেন । এনিয়েই ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
পরে ফারুক মাস্টার এসে মিজু মিয়াকে মারধোর করতে আসলে তার অন্তস্বত্তা স্ত্রী রৌশন আরা স্বামীকে বাচাঁতে গেলে ফারুক মাষ্টার রৌশন আরার পেটে লাথি দেয়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরে তাকে শুক্রবার বিকেলে শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  ওখান থেকে জেলা হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে আজ ২০ মে সকালে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিজু মিয়া বলেন, আমি এই ঘটনায় বিচার চাই। কেন আমার অন্তঃসত্ত্বা বউ এর পেটে লাথি দিলো। আমার বউ এর অবস্থা ভালো না।
থানায় অভিযোগের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন আমরা সবাই হাসপাতালে আমার বউকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ দিতে পারি নাই। আজ থানায় অভিযোগ দিবো।
এব্যাপারে শেরপুর জেলা হাসপাতালের আরএমও ডা: খায়রুল কবির সুমন বলেন, রোগীর চিকিৎসা চলছে। তাকে কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী চিকিৎসক দেয়া হবে। আমরা আশা করছি মা ও গর্ভের বাচ্চার কোন সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে ফারুক মাষ্টারের ০১৯১৬৫৫০৪০৩ নাম্বারে ফোন দিলে তার স্ত্রী মারধোরের কথা অস্বীকার করে। তবে তিনি দাবি করেন আমাকে ওরা প্রহৃত করার সময় আমার স্বামী ফারুক মাষ্টার আঘাত করতে পারে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।