রাজধানীতে কাউন্সিলর মানিকের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্মরণে জমকালো আয়োজন
- আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ২২৭ বার পড়া হয়েছে
মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার: বাংলাদেশের অপর নাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ কথাটি বাঙালির মুখে মুখে এমনিতেই প্রচলিত হয়নি। রয়েছে তার কঠিন ও বাস্তব প্রেক্ষাপট। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, এ জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সকলেই গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। সেই মহানায়কের স্মরণে সারাদেশব্যপী প্রতিবছর নানাবিধ আয়োজনও চোখে পড়ে। তবে এবার রাজধানীর ৩ং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক এর উদ্যোগে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দিবসটিকে শোক স্মৃতিতে গেথেঁ রাখতে এক বর্ণাঢ্য ও জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যা রীতিমতো অবাক করার মতো।
আজ শনিবার ( ২৬ আগস্ট ), রাজধানীর মিরপুর ১১, প্যারিস রোড সংলগ্ন শেখ ফজলুল হক মনি বহুমুখী মাঠে সকাল ১০ ঘটিকায় রাজধানীর উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ সভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে নানাবিধ কর্মসূচির আয়োজন করেন। প্রচলিত ধারায় গতানুগতিক শোকদিবস পালনের বিপরীতে তিনি বেশ ভিন্নধর্মী ও জনকল্যাণমুখী কিছু কাজ করেছেন। যেগুলো অবশ্যই প্রসংশার দাবিদার।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কিছু কর্মসূচি যেমনঃ
১. ১০০০ শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ:
অত্র এলাকার ৭০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক – শিক্ষার্থীদের আগে থেকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। সেই অনুযায়ী সকাল ৯ টার আগে থেকেই উক্ত মাঠে সকলে জড়ো হতে থাকে। তবে পরবর্তীতে দেখা যায়, সেই প্রতিযোগীদের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। তখন সকল প্রতিযোগীদের সুশৃঙ্খলভাবে বসিয়ে ৩ ক্যাটাগরিতে শুরু হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে বিজয়ী প্রথম পাঁচজনকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হয়। তাছাড়া অংশগ্রহণ করা প্রত্যেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকবৃন্দকে আলাদাভাবে অন্যান্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।
২. বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্নজীবনী বই বিতরণ:
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথি, শিক্ষকদের মাঝে একটি করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বই উপহার দেয়া হয়। প্রথমে টার্গেট ছিলো ১ হাজার বই। তবে সকলের উপস্থিতির ব্যাপকতায় তা প্রায় ৩ হাজার হয়ে যায়।
৩. ১০০০ ঔষুধি গাছ বিতরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি:
পরিবেশ রক্ষায় সবুজায়নের কোনো বিকল্প নেই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সবুজায়নের কথা ভুলে গেলে চলবে না। এমন নীতিতেই আয়োজিত মাঠের চারপাশে, এলাকার বিভিন্ন রাস্তা, আবাসিক এলাকা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব যায়গায় ১ হাজার ঔষধি ও অন্যান্য গাছের চারা রোপণ ও বিতরণ করা হয়।
৪. স্বাস্থ্যসেবা:
এলাকায় জনসাধারণ ও উপস্থিত সকলকে ডেঙ্গু সচেতনতা, পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষার নানাবিধ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হয়।
৫. প্রতিবন্ধীদের সহায়তা:
অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি বেশ চোখে পড়ার মতো ছিলো। প্রোগ্রামের এক পর্যায়ে অসহায়, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও উপস্থিত জনতা মিলিয়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
সেই সাথে অসংখ্য প্রতিবন্ধীকে অন্যান্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়। হুইল চেয়ার পেয়ে তাদের খুশি ছিলো দেখার মতো।
এছাড়াও শেখ মনি মাঠসহ আশেপাশের সকল রাস্তায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজোড়িতো নানাবিধ ব্যানার, প্লাকার্ড দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, শেখ ফজলুল হক মনি বহুমুখী মাঠটি ইতোপূর্বে ভাগাড় হিসেবে পরিচিত ছিলো। চলতো ময়লা ফেলা, নেশা গ্রহণসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজ। এলাকার অসংখ্য দুষ্টচক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাউন্সিলর মানিক এই মাঠটি পরিপূর্ণ করে এলাকাবাসীর জন্য উপহার দিয়েছেন। সেই সাথে নিজের ও পরিবারের কারো নাম ব্যবহার না করে উদারতার পরিচয় দিয়ে শেখ ফজলুল হক মনি বহুমুখী মাঠ নামকরণ করেন।
ঢাকা সিটির ৩ নং ওয়ার্ডের এই জনপ্রিয় কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহসভাপতি কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
কর্নেল (অব:) ফারুক খান এমপি( প্রেসিডিয়াম মেম্বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া ( দপ্তর সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ),
মাইনুল হোসেন খান নিখিল ( সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ),
আলহাজ্ব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা এমপি (ঢাকা ১৬),
জাকির হোসেন বাবুল ( ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ উত্তর)
ইসমাঈল হোসেন ( সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী যুবলীগ উত্তর ),
আশরাফুন নেচ্ছা পারুল ( সহ সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী যুব মহিলা লীগ)।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর, থানা ও স্থানীয় অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার স্থানীয় জনগণ।
উপস্থিত নেতাদের সকলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বক্তব্য রাখেন। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী, দেশ ও রাজনীতি নিয়েও বক্তব্য প্রদান করেন।
বিশেষ করে প্রোগ্রামের আয়োজক, জনপ্রিয় এই কাউন্সিলর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য সকলের উদ্দেশ্যে অসাধারণ বক্তব্য প্রদান করেন।
সর্বোপরি এমন চমৎকার অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় এলাকাবাসীসহ সকলেই কাউন্সিলরকে ধন্যবাদ জানান। তারা বলেন, এই অনুষ্ঠানটি রাজধানীর বুকে একটি স্বাক্ষী হয়ে থাকবে।