ময়মনসিংহের ভালুকায় বাসে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার উদ্দেশ্যে বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া সেই নারীর মৃত্যু
- আপডেট সময় : ০৯:১৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩ ১৬৮ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহের ভালুকায় বাসে ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার উদ্দেশ্যে বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া সেই নারীর রবিবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পোশাক কারখানায় কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন শামছুন্নাহার (৪৫)। পথে ভালুকা মাস্টারবাড়ি এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সময় শামছুন্নাহারকে একা পেয়ে চলন্ত বাসেই ধর্ষণের চেষ্টা চালান ওই মিনি বাসের চালক ও দুই সহকারী। প্রতিরোধের চেষ্টার একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে নারীকে মারধর করেন তারপর চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন।
আহত অবস্থায় ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।পরে রোববার (১৮ই জুন) সকালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
নিহত শামছুন্নাহার কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী। তিনি শ্রীপুর উপজেলার রিদিশা গার্মেন্টেস লিমিটেডের কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় গত শনিবার বিকালে ভালুকা থানায় ভুক্তভোগীর ভাই মোজাম্মেল বাদি হয়ে মামলা নং (২৬-৬-২৩ ইং) দায়ের করেন।
ঘটনার পরপরই বাসটিকে আটক করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। ঘটনার রাতেই পুলিশ চালকের দুই সহকারীকে ভালুকা ও চালককে ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- টাঙাইল ধনবাড়ি উপজেলার মুশুর্দ্দি কুমারপাড়ার গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে বাস চালক রাকিব (২১), ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের আরফান আলীর ছেলে বাসের সহকারী আরিফ (২০) ও ত্রিশালের কাশিগঞ্জ গ্রামের শ্রী রবিদাসের ছেলে বাসের সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯)। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসে