মিল্কভিটার চেয়ারম্যানকে অপসারণের দাবীতে প্রান্তিক সমবায়ীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা।
- আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
শাহজাদপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত সমবায় ভিত্তিক দেশের সর্ববৃহৎ দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিঃ এর চেয়ারম্যান জনাব শেখ নাদের হোসেন লিপুর অপসারণ দাবীতে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাবনা-সিরাজগঞ্জের প্রান্তিক সমবায়ীরা।
(২০ আগস্ট-২০২৪) মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার পাশে উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন মাঠে পাবনা -সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের প্রাথমিক সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ সভা করেন।
শ্রী সুবির কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মিল্কভিটার সাবেক পরিচালক হাজী রইচ উদ্দিন, হাজী নকির উদ্দিন, বাড়াবিল প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদকারী সমবায় সমিতির সভাপতি আতাউর রহমান, রেশমবাড়ি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদকারী সমবায় সমিতির সভাপতি এনামুল হক নয়ন, শ্রীফলতলা প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদকারী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রাকিব রুমি, বৃ-আঙ্গারু প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদকারী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রউফ প্রমুখ। এসময় এ প্রতিবাদ সভায় পাবনা-সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাথমিক সমবায় সমিতির হাজারের অধিক সমবায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদ সভায় সমবায়ী নেতৃবৃন্দ এবং বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব দেশের সর্ববৃহৎ দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার চেয়ারম্যান জনাব শেখ নাদের হোসেন লিপু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানকে লুটপাটের কারখানা বানিয়ে ফেলেছেন। সমবায় ভিত্তিতে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটিতে গত ৯ বছর আগে একটি নির্বাচন দেওয়ার কথা বলে এডহক কমিটিতে এসে সমবায়ীদের মতামত না নিয়ে ইচ্ছামত আইন পাশ করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে বসেছেন। গত ৯ বছরে নতুন প্লান্ট চালু করার নাম করে শতশত কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। প্রান্তিক খামারিদের থেকে নানা ভাবে কায়দা করে স্বল্প দামে দুধ নিয়ে দিনের পর দিন খামারিদের ঠকিয়ে নিজের পকেট ভর্তি করেছেন কেবল। এদিকে খামারিদের নামেমাত্র দুধের দাম দিলেও গোখাদ্যের দাম আকাশচুম্বি হওয়ায় বিরাট ক্ষতির মুখে প্রান্তিক খামারিরা। তাই অনতি বিলম্বে চেয়ারম্যান নাদের হোসেন লিপুকে অপসারণ করে ফ্যাসিবাদী কালো আইন বাতিল করে প্রান্তিক সমবায়ীদের ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার দাবী জানান তারা। প্রতিবাদ সভাশেষে দুপুরে সমবায়ীরা বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে বাঘাবাড়ি ঢাকা-নগরবাড়ি মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল শেষে বড়াল ব্রিজের উত্তর পাড়ে বিক্ষুব্ধরা জড় হয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন এবং চেয়ারম্যান জনাব নাদের হোসেন লিপুর অপসারণ দাবী করে স্লোগান দেয়। শেখ নাদের হোসেন লিপুকে অপসারণ না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন সমবায়ীরা।