ভিক্টর বিশ্বাস চিতা স্টাফ রিপোর্টার
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকেই নেত্রকোনায় কোনো না কোনো ছিল। দেশ স্বাধীনের পরেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হয়। সেখানে ( বর্তমান ) নেত্রকোনা 4 আসন থেকে বিজয়ী মরহুম আব্দুল মোমেন মন্ত্রী ছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় পর্যাক্রমে মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রী ছিলোই। আজকে দ্বাদশ সংসদে নেত্রকোনা জেলায় কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী অথবা উপমন্ত্রী কোনোটাই নেই। এরকম খবরে আমরা নেত্রকোনাবাসী খুবই হতাশ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের 52 বছরের ইতিহাসে 64 জেলার মধ্যে সবচেয়ে অগোছালো সবচেয়ে অবহেলিত একটি জেলার নাম নেত্রকোনা। এই জেলায় এখনো এমনও এলাকা রয়েছে। যেখানে বিগত পনেরো বছরে করা আপনার ব্যাপক উন্নয়ন তারপরও কোনো কোনো এলাকায় এই উন্নয়নের কোনো ছোঁয়াই লাগেনি।
এখানে যেমন রয়েছে দক্ষ নেতৃত্বের অভাব তেমনি রয়েছে অনেক অজপাড়াগাঁ তেমনি হয়নি শিক্ষার প্রসার। তাছাড়া সমগ্র জেলা জুড়ে রয়েছে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। কারণে অকারণে মামলা মোকদ্দমায় অসংখ্য মানুষেরা চরম ভোগান্তির মাঝে রয়েছে।
আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এক শ্রেণির মানুষেরা। এছাড়া কৃষি পণ্যের দিক দিয়ে কৃষকেরা যেমন রয়েছে লোকসানে তেমনি রয়েছে গরু চোরের উৎপাত। রয়েছে সিধেল চোর রয়েছে ডাকাতের ভয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
নেত্রকোনা জেলার 5 টি আসনে প্রায় 25 লাখ মানুষের জন সুবিধা পাওয়ার জন্য একজন মন্ত্রী এবং একজন প্রতিমন্ত্রী পাওয়ার জন্য সমগ্র জেলাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞ।