গত ৭ মার্চ জেলা গোয়েন্দা শাখা গোপন সংবাদের জানতে পারেন যে, কতিপয় ব্যক্তি/ব্যক্তিরা পিক-আপ গাড়ীযোগে মানবদেহের অঙ্গ-পতঙ্গের অংশ বিশেষ (মহিলাদের গর্ভফুল সাদৃশ্য অংশ বিশেষ) হিমায়িত প্যাকেটজাত করে প্লাষ্টিকের ড্রামে ভর্তি করে ধামরাই, ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকস টিম সময় কোতোয়ালী মডেল থানাধীন বলাশপুর হাক্কানীর মোড় ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর সামনে পাকা রাস্তার উপর পিক-আপ গাড়ীটি আটক করেন। পরবর্তীতে গাড়ীটি তল্লাশী করে পলিথিনে মোড়ানো ৩৫০ টি মহিলাদের গর্ভফুল সাদৃশ্য অংশ বিশেষ, ০৩ টি ক্যাটগার্ডসহ সুই, ০১(এক) টি খোলা ইনজেকশনের এ্যাম্পল ও ০১ টি ব্যবহৃত গ্লাভস উদ্ধার ও ড্রাইভার মোঃ রুহুল আমিন (৩৫)-কে গ্রেফতার করেন।
বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে বিধি মোতাবেক প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মাহাবুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এবং ডাঃ তানভিন সুলতানা, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, ময়মনসিংহদ্বয়ের মতামতের ভিত্তিতে উদ্ধারকৃত মহিলাদের গর্ভফুল সাদৃশ্য আলামতগুলো ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয় এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতঃ ধামরাই, ঢাকা সহ বিভিন্ন এলকায় অভিযান পরিচালনা করে নজরুল ইসলাম (৫৪) মোঃ মুমিনুর রহমান (৩২), সদেওয়ান মোঃ অমিত (৩১) ও মোঃ খুরশিদ আলম (২৫)- দের গ্রেফতার করা হয়।
ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী নজরুল ইসলাম (৫৪) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কর্মচারীদের মাধ্যমে অবৈধভাবে মহিলাদের গর্ভফুল সাদৃশ্য অংশ সংগ্রহ করে হিমায়িত করার পর ড্রাইভার মোঃ রুহুল আমিন (৩৫)-এর মাধ্যমে ঢাকার ধামরাই এলাকার মোঃ মুমিনুর রহমান (৩২)-এর নিকট সরবরাহ করে থাকে, সরবরাহকৃত মহিলাদের গর্ভফুল সাদৃশ্য অংশ আসামী মোঃ মুমিনুর রহমান (৩২) ও আসামী দেওয়ান মোঃ অমিত (৩১) চক্রের অন্যান্য সদস্যদের মাধ্যমে কোনপ্রকার বৈধভিত্তি বা অনুমতি ব্যতীত প্রক্রিয়াজাত ও ক্রয়-বিক্রয় কওে আসছেন যা আইন অনুযায়ী অপরাধ।