ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার…

সারোয়ার কবির ফাহাদ
  • আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

সারোয়ার কবির ফাহাদ, জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ।

রেদয়ান আহমেদ ওরফে রতন,তার সহযোগী সিএনজি চালক বাবু মিয়া ও পারভেজ, ময়মনসিংহ অঞ্চলে পথিমধ্যে চা-পানের অজুহাতে কোনো দোকানের সামনে অটোরিকশাটি দাঁড় করায়, নিজেরা চা-পানের সময় চালককেও আমন্ত্রণ জানায়, একপর্যায়ে চালকের চায়ের কাপে কৌশলে চেতনা নাশক ওষুধ বা ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়া হয়, চা-পান শেষে তারা দ্রুত সিএনজি অটোতে ওঠে পড়ে, কয়েক মিনিটের মধ্যে চালক অচেতন হয়ে পড়লে তারা তাকে রাস্তায় ফেলে সিএনজি অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়, পরে সিএনজি অটোয় থাকা মোবাইল নম্বরে মালিককে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবি করে মোটা অংকের টাকা, ৭ থেকে ১০ দিন ধরে চলে টাকা আদায়ের প্রচেষ্টা, টাকা পাওয়ার পর কোনো প্রত্যন্ত এলাকায় সিএনজি অটোরিকশাটি রেখে মালিককে ফোনে জানায়,অমুক জায়গায় আপনার গাড়ি রাখা আছে, সিএনজি অটোপ্রতি ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করে রতন, সিএনজি বাবু মিয়া ও পারভেজ চক্র তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডে, দুই-একদিন পরপরই এ চক্রের সদস্যরা ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিনব কৌশলে সিএনজি অটোরিকশা চুরি করছে, রতন ও সিএনজি চালক নেতৃত্বাধীন চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) এসব তথ্য জানিয়েছে, চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ডিবিকে আরও জানায়,ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে শীতকাল,গভীর রাত বা ভোরবেলায় সিএনজি অটোরিকশা চুরির ক্ষেত্রে তারা ওই কৌশল অবলম্বন করে। তবে গরমকালে তারা ভিন্ন কৌশলে চুরি করে, গরমের সময় সিএনজি ভাড়া নিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর গরমে হাঁপিয়ে যাওয়ার ভাব ধরে তারা, এ সময় তারা কোনো কোল্ডড্রিংকস বা ডাবের দোকানের সামনে সিএনজি থামাতে বলে, নিজেরা কোল্ড ড্রিংকস বা ডাবের পানি খাওয়ানোর সময় চালককেও খেতে বলে, এ সময় কৌশলে চালকের কোল্ড ড্রিংক বা ডাবের পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়া হয়, চেনানাশক মেশানো ড্রিংক বা পানি খেয়ে সিএনজি অটোতে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যে চালক অচেতন হয়ে পড়লে তারা অটোটি নিয়ে পালিয়ে যায়, একটি সিএনজি চুরি করতে তাদের ৬ থেকে ৭ জন লোকের প্রয়োজন হয়, টার্গেট করা সিএনজির পেছনে আরেকটি সিএনজিতেও তাদের লোক থাকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির ওসি শহিদুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের এলাকা থেকে চোর সিন্ডিকেট চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের জবানবন্দিতে আরো চার জনের নাম বলেন, তাদের নজরদারিতে রেখেছি, আটককৃত ছয়জনের কাছ থেকে দুটি চোরাই সিএনজি অটো ও বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে, এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে, ওই মামলায় আদালতে হাজির করে তাদের চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হল-অলি (২৩), সুজন ইসলাম (২৪), তাপস মোহাম্মদ (৩৭), তাইজুউদ্দিন ওরফে রহমান (৪৫) এবং শিপলু (৩০), আদালতে জবানবন্দিতে এই চক্রের প্রধান রতন ও বাবু মিয়া বলে জানিয়েছেন, তারা এও বলেছেন,তাদের বাড়ি ত্রিশাল পৌরসভায়।

চুরির পর সিএনজি ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে এ চক্রের রতনসহ প্রত্যেকে মাসে লাখ টাকারও বেশি আয় করে থাকে, এছাড়াও ডিবির এসআই জলিল আরও জানান,টাকার বিনিময়ে চোরাই সিএনজি ফিরিয়ে দেয়ার কারণে অনেকে তাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন না, এ কারণে তাদের নামে মামলার সংখ্যা কম, চোর চক্রের সদস্যরা সিএনজি চালনায় পারদর্শী বলেও তিনি জানান।

ট্যাগস :
Translate »

ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার…

আপডেট সময় : ১১:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সারোয়ার কবির ফাহাদ, জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ।

রেদয়ান আহমেদ ওরফে রতন,তার সহযোগী সিএনজি চালক বাবু মিয়া ও পারভেজ, ময়মনসিংহ অঞ্চলে পথিমধ্যে চা-পানের অজুহাতে কোনো দোকানের সামনে অটোরিকশাটি দাঁড় করায়, নিজেরা চা-পানের সময় চালককেও আমন্ত্রণ জানায়, একপর্যায়ে চালকের চায়ের কাপে কৌশলে চেতনা নাশক ওষুধ বা ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়া হয়, চা-পান শেষে তারা দ্রুত সিএনজি অটোতে ওঠে পড়ে, কয়েক মিনিটের মধ্যে চালক অচেতন হয়ে পড়লে তারা তাকে রাস্তায় ফেলে সিএনজি অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়, পরে সিএনজি অটোয় থাকা মোবাইল নম্বরে মালিককে ফোন করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবি করে মোটা অংকের টাকা, ৭ থেকে ১০ দিন ধরে চলে টাকা আদায়ের প্রচেষ্টা, টাকা পাওয়ার পর কোনো প্রত্যন্ত এলাকায় সিএনজি অটোরিকশাটি রেখে মালিককে ফোনে জানায়,অমুক জায়গায় আপনার গাড়ি রাখা আছে, সিএনজি অটোপ্রতি ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করে রতন, সিএনজি বাবু মিয়া ও পারভেজ চক্র তাদের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডে, দুই-একদিন পরপরই এ চক্রের সদস্যরা ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান থেকে অভিনব কৌশলে সিএনজি অটোরিকশা চুরি করছে, রতন ও সিএনজি চালক নেতৃত্বাধীন চোর সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) এসব তথ্য জানিয়েছে, চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ডিবিকে আরও জানায়,ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে শীতকাল,গভীর রাত বা ভোরবেলায় সিএনজি অটোরিকশা চুরির ক্ষেত্রে তারা ওই কৌশল অবলম্বন করে। তবে গরমকালে তারা ভিন্ন কৌশলে চুরি করে, গরমের সময় সিএনজি ভাড়া নিয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর গরমে হাঁপিয়ে যাওয়ার ভাব ধরে তারা, এ সময় তারা কোনো কোল্ডড্রিংকস বা ডাবের দোকানের সামনে সিএনজি থামাতে বলে, নিজেরা কোল্ড ড্রিংকস বা ডাবের পানি খাওয়ানোর সময় চালককেও খেতে বলে, এ সময় কৌশলে চালকের কোল্ড ড্রিংক বা ডাবের পানিতে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়া হয়, চেনানাশক মেশানো ড্রিংক বা পানি খেয়ে সিএনজি অটোতে ওঠার কিছুক্ষণের মধ্যে চালক অচেতন হয়ে পড়লে তারা অটোটি নিয়ে পালিয়ে যায়, একটি সিএনজি চুরি করতে তাদের ৬ থেকে ৭ জন লোকের প্রয়োজন হয়, টার্গেট করা সিএনজির পেছনে আরেকটি সিএনজিতেও তাদের লোক থাকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির ওসি শহিদুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের এলাকা থেকে চোর সিন্ডিকেট চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের জবানবন্দিতে আরো চার জনের নাম বলেন, তাদের নজরদারিতে রেখেছি, আটককৃত ছয়জনের কাছ থেকে দুটি চোরাই সিএনজি অটো ও বিপুল পরিমাণ চেতনানাশক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে, এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে, ওই মামলায় আদালতে হাজির করে তাদের চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হল-অলি (২৩), সুজন ইসলাম (২৪), তাপস মোহাম্মদ (৩৭), তাইজুউদ্দিন ওরফে রহমান (৪৫) এবং শিপলু (৩০), আদালতে জবানবন্দিতে এই চক্রের প্রধান রতন ও বাবু মিয়া বলে জানিয়েছেন, তারা এও বলেছেন,তাদের বাড়ি ত্রিশাল পৌরসভায়।

চুরির পর সিএনজি ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে এ চক্রের রতনসহ প্রত্যেকে মাসে লাখ টাকারও বেশি আয় করে থাকে, এছাড়াও ডিবির এসআই জলিল আরও জানান,টাকার বিনিময়ে চোরাই সিএনজি ফিরিয়ে দেয়ার কারণে অনেকে তাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন না, এ কারণে তাদের নামে মামলার সংখ্যা কম, চোর চক্রের সদস্যরা সিএনজি চালনায় পারদর্শী বলেও তিনি জানান।