ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভালুকায় অসহায় পঙ্গু যুবককে হুইল চেয়ার ও নগত অর্থ ও বাজার সামগ্রী উপহার দিলেন বিএনপি নেতা মোস্তাফিজ মামুন Logo ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  Logo লক্ষীপুর জেলায় অতিবৃষ্টি ও বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ২২৮ কোটি টাকার ক্ষতি Logo গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত Logo ভোলার সাবেক এমপি মুকুলের বিরুদ্ধে মামলা করলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা Logo ময়মনসিংহের সিএনজি অটোরিকশা চোরচক্রের ৬ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার… Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট…

ভালুকায় স্কুল ছাত্রী রিয়া হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদন: মামুন হাসান
  • আপডেট সময় : ০১:১০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩ ১৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদন:- মামুন হাসান: ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কুলে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির ছাত্রী রাখিয়া সুলতানাকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও সহপাঠীরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ভালুকা-বাটাজোর সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, উপজেলার বাটাজোর বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রাখিয়া সুলতানা রিয়া। সে বাটাজোর গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে।

গত এক বছর আগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার মাওশা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে প্রবাসী রিপন মিয়ার সাথে বিয়ে হয় রিয়ার। বিয়ের পর রিপন সৌদি আরব চলে যান।
এরপর রিয়ার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ ওঠে। ছয় মাস আগে বাবার বাড়ি ফিরে আসে রিয়া।

এক বছর বিরতি দিয়ে আবার পড়ালেখা শুরু করে মেয়েটি। কিছুদিন আগে রিয়ার স্বামী রিপন দেশে আসেন। তবে তিনি দেশে আসার পর রিয়ার পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ করেননি।
সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সমাপনী প্রস্তুতি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় এই শিক্ষার্থী।

বাড়ি থেকে আনুমানিক একশো গজ দূরে মুখ মোড়ানো ও মাথায় ক্যাপ পড়া এক ব্যক্তি রিয়াকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তখন তার মাকে ডাক দিয়ে চিৎকার করে দৌড়াতে শুরু করে রিয়া। তখন হামলাকারী পেছন থেকে ঘাড়, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মেয়েটিকে জখম করে। মেয়ের চিৎকার শুনে মা মাজেদা খাতুন দৌড়ে এসে পাশের ধান ক্ষেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাদা মাখা শরীরে উদ্ধার করেন। পরে মাজেদা খাতুনের ডাক-চিৎকারে অন্যরা ছুটে আসেন।
কিন্তু হামলাকারীকে ধরতে পারেননি।
পরে তারা মেয়েটিকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বিকেলে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সোমবার রাতে রিয়ার বাবা আব্দুল রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রিয়ার মা মাজেদা খাতুন জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়ের উপর নির্যাতন শুরু করেন। মানসিক নির্যাতনে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসে তার মেয়ে। কিছুদিন আগে রিয়ার স্বামী রিপন দেশে আসেন। দেশে আসার পর তাদের সাথে সে কোনো যোগাযোগ করেননি। মেয়ে হত্যাকারীর ফাঁসি চান তিনি।

ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজল হোসেন জানান, হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়ার শ্বশুর মানিক মিয়া ও শাশুড়ি খেন্ত বেগমকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখে রিয়ার স্বামী রিপন দেশে আসেন। ঘটনার পর থেকে রিপন মিয়া পলাতক রয়েছেন। হত্যাকারীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে

ট্যাগস :
Translate »

ভালুকায় স্কুল ছাত্রী রিয়া হত্যায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০১:১০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদন:- মামুন হাসান: ময়মনসিংহের ভালুকায় স্কুলে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণির ছাত্রী রাখিয়া সুলতানাকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক ও সহপাঠীরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ভালুকা-বাটাজোর সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, উপজেলার বাটাজোর বিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রাখিয়া সুলতানা রিয়া। সে বাটাজোর গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে।

গত এক বছর আগে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার মাওশা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে প্রবাসী রিপন মিয়ার সাথে বিয়ে হয় রিয়ার। বিয়ের পর রিপন সৌদি আরব চলে যান।
এরপর রিয়ার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালান বলে অভিযোগ ওঠে। ছয় মাস আগে বাবার বাড়ি ফিরে আসে রিয়া।

এক বছর বিরতি দিয়ে আবার পড়ালেখা শুরু করে মেয়েটি। কিছুদিন আগে রিয়ার স্বামী রিপন দেশে আসেন। তবে তিনি দেশে আসার পর রিয়ার পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ করেননি।
সোমবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সমাপনী প্রস্তুতি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় এই শিক্ষার্থী।

বাড়ি থেকে আনুমানিক একশো গজ দূরে মুখ মোড়ানো ও মাথায় ক্যাপ পড়া এক ব্যক্তি রিয়াকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তখন তার মাকে ডাক দিয়ে চিৎকার করে দৌড়াতে শুরু করে রিয়া। তখন হামলাকারী পেছন থেকে ঘাড়, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মেয়েটিকে জখম করে। মেয়ের চিৎকার শুনে মা মাজেদা খাতুন দৌড়ে এসে পাশের ধান ক্ষেত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাদা মাখা শরীরে উদ্ধার করেন। পরে মাজেদা খাতুনের ডাক-চিৎকারে অন্যরা ছুটে আসেন।
কিন্তু হামলাকারীকে ধরতে পারেননি।
পরে তারা মেয়েটিকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বিকেলে পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সোমবার রাতে রিয়ার বাবা আব্দুল রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রিয়ার মা মাজেদা খাতুন জানান, বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার মেয়ের উপর নির্যাতন শুরু করেন। মানসিক নির্যাতনে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসে তার মেয়ে। কিছুদিন আগে রিয়ার স্বামী রিপন দেশে আসেন। দেশে আসার পর তাদের সাথে সে কোনো যোগাযোগ করেননি। মেয়ে হত্যাকারীর ফাঁসি চান তিনি।

ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজল হোসেন জানান, হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়ার শ্বশুর মানিক মিয়া ও শাশুড়ি খেন্ত বেগমকে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। চলতি মাসের ২ তারিখে রিয়ার স্বামী রিপন দেশে আসেন। ঘটনার পর থেকে রিপন মিয়া পলাতক রয়েছেন। হত্যাকারীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে