ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজীপুরে বিসিএস আনসার কর্মকর্তা ও রিক্রুট সিপাহিদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত Logo ময়মনসিংহের ভালুকায় দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-রাব্বানী ,সম্পাদক-আমির হোসেন। Logo ঢাকায় শিক্ষা ভবনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে লক্ষীপুরে শিক্ষকদের মানববন্ধন Logo ময়মনসিংহ টু ত্রিশাল অবৈধ সিএনজি অটোরিক্সার দাপট… Logo শ্রেণি পাঠদানে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঠ পরিকল্পনার অপরিহার্যতা Logo বাগমারায় শাহ সিমেন্টের পক্ষ থেকে নির্মাণ সাথী প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত Logo প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবক সম্পর্কের গুরুত্ব Logo শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সমাবেশ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত Logo হারিয়ে যাওয়া শিশু সাদিককে পাঠানো হচ্ছে রাজশাহী বেবী হোমে  Logo শ্রীমঙ্গলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরগঞ্জ নবীন আলেমদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সমাপ্ত।

দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১২৬ বার পড়া হয়েছে

দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

এশিয়া মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাস্টার্স সমাপনকারী কিশোরগঞ্জের ছাত্র কাফেলার আয়োজনে ৪৫ জন নবীন আলেমকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌলভী পাড়াস্থ ফোকাস রেস্টুরেন্টের মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে মাওঃ তাওহীদুল ইসলাম ও মাওঃ মুহিব্বুল্লাহ মাদানির যৌথ সঞ্চালনায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাও. আতহার আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র শিক্ষক ও খতিব মুফতি রুহুল আমীন কাসেমী, মাওঃ আশরাফুল ইসলাম সহ আরও অনেকেই।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, উলামায়ে কেরামগন হলো নবীদের উওরসূরী। উওরসূরী হওয়ার অর্থ হলো ওয়ারিসগন মৃত ব্যক্তির প্রত্যেকটি জিনিসের অধিকারী হয়ে থাকে। যদিও সে একটি সুঁই রেখে যায়। সুতরাং উলামায়ে কেরামগন নবীদের ইলম-আমল উভয়টিরই ওয়ারিস হবে। বরংতো বিভিন্ন ধরনের কষ্ট ক্লেশ, আল্লাহর রাস্তায় থাকার জিহাদের মতো কষ্টের ক্ষেত্রেও তাদের উওরাধীকারী হবে। মোটকথা সর্বক্ষেত্রে ওয়ারিস হবে। আজ আমরা অন্যের সংশোধনে যতটুকু চিন্তা করি নিজের এসলাহের জন্য ততটুকু চিন্তা করিনা। ওয়াজ নসিহত, দরস-তাদরীসের পেছনে ফিকির থেকে যায়। কিন্তু আমাদের সকল রকম আমল ঠিক মতো হচ্ছে কিনা এনিয়ে চিন্তা করিনা।আমাদের আকাবীর সাহাবায়ে কেরামের স্মরণকে তাজা করেছিলেন। খোদার দরবারে ইলম নয় বরং আমলের জিন্দেগী চাইতেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আকাবীর-আসলাফ যেমনভাবে দেশ ও জাতীর উপকারার্থে কাজ করেছেন তেমনিভাবে আমাদেরকেও তাদের মতো দেশ,জাতী ও ইসলামের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। নিজেদের এসলাহ করতে হবে নতুবা নিজেদের এসলাহ ব্যতীত উম্মতের এসলাহের ভাবনা অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আত্মশুদ্ধির ধারাবাহিকতা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের পরবর্তীদের জন্য নমুনা হচ্ছিনা। এজন্য ভায়েরা আমার! আমরা যেহেতু ওয়ারিসে আম্বিয়া, আকাবিরে দেওবন্দের উওরসূরী এবং আমাদের আকাবীর-আসলাফগন যেভাবে দ্বীন,দেশ ও জাতির জন্য নিজেদেরকে কোরবানি করেছেন এবং নিজেরা ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করেছেন সেভাবে আমাদেরকেও ত্যাগ- তিতিক্ষা ও কোরবানি করতে হবে।

অনুষ্ঠান ও আগামীর মনোভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তাওহীদুল ইসলাম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমরা এধরনের আয়োজন করতে পেরে খুবই আনন্দিত এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই আমরা যেনো দেশ ও ইসলামের পক্ষে কাজ করে যেতে পারি।

ট্যাগস :
Translate »

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কিশোরগঞ্জ নবীন আলেমদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সমাপ্ত।

আপডেট সময় : ০৫:৩৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

দেলোয়ার হোসাইন মাহদী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

এশিয়া মহাদেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি বিদ্যাপীঠ জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাস্টার্স সমাপনকারী কিশোরগঞ্জের ছাত্র কাফেলার আয়োজনে ৪৫ জন নবীন আলেমকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌলভী পাড়াস্থ ফোকাস রেস্টুরেন্টের মিলনায়তনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে মাওঃ তাওহীদুল ইসলাম ও মাওঃ মুহিব্বুল্লাহ মাদানির যৌথ সঞ্চালনায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাও. আতহার আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র শিক্ষক ও খতিব মুফতি রুহুল আমীন কাসেমী, মাওঃ আশরাফুল ইসলাম সহ আরও অনেকেই।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, উলামায়ে কেরামগন হলো নবীদের উওরসূরী। উওরসূরী হওয়ার অর্থ হলো ওয়ারিসগন মৃত ব্যক্তির প্রত্যেকটি জিনিসের অধিকারী হয়ে থাকে। যদিও সে একটি সুঁই রেখে যায়। সুতরাং উলামায়ে কেরামগন নবীদের ইলম-আমল উভয়টিরই ওয়ারিস হবে। বরংতো বিভিন্ন ধরনের কষ্ট ক্লেশ, আল্লাহর রাস্তায় থাকার জিহাদের মতো কষ্টের ক্ষেত্রেও তাদের উওরাধীকারী হবে। মোটকথা সর্বক্ষেত্রে ওয়ারিস হবে। আজ আমরা অন্যের সংশোধনে যতটুকু চিন্তা করি নিজের এসলাহের জন্য ততটুকু চিন্তা করিনা। ওয়াজ নসিহত, দরস-তাদরীসের পেছনে ফিকির থেকে যায়। কিন্তু আমাদের সকল রকম আমল ঠিক মতো হচ্ছে কিনা এনিয়ে চিন্তা করিনা।আমাদের আকাবীর সাহাবায়ে কেরামের স্মরণকে তাজা করেছিলেন। খোদার দরবারে ইলম নয় বরং আমলের জিন্দেগী চাইতেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আকাবীর-আসলাফ যেমনভাবে দেশ ও জাতীর উপকারার্থে কাজ করেছেন তেমনিভাবে আমাদেরকেও তাদের মতো দেশ,জাতী ও ইসলামের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। নিজেদের এসলাহ করতে হবে নতুবা নিজেদের এসলাহ ব্যতীত উম্মতের এসলাহের ভাবনা অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আত্মশুদ্ধির ধারাবাহিকতা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের পরবর্তীদের জন্য নমুনা হচ্ছিনা। এজন্য ভায়েরা আমার! আমরা যেহেতু ওয়ারিসে আম্বিয়া, আকাবিরে দেওবন্দের উওরসূরী এবং আমাদের আকাবীর-আসলাফগন যেভাবে দ্বীন,দেশ ও জাতির জন্য নিজেদেরকে কোরবানি করেছেন এবং নিজেরা ত্যাগ-তিতিক্ষা স্বীকার করেছেন সেভাবে আমাদেরকেও ত্যাগ- তিতিক্ষা ও কোরবানি করতে হবে।

অনুষ্ঠান ও আগামীর মনোভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে তাওহীদুল ইসলাম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ আমরা এধরনের আয়োজন করতে পেরে খুবই আনন্দিত এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই আমরা যেনো দেশ ও ইসলামের পক্ষে কাজ করে যেতে পারি।