বৈষম্যের শিকার নকল নবীশরা,দাবী আদায়ে কলম বিরতি পালন
- আপডেট সময় : ০৫:৩৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
সারা দেশব্যাপী ৫০৩টি সাব রেজিস্ট্রী অফিসের বৈষম্যের শিকার নকলনবীশদের চাকরী জাতীয়করণের ১ দফা ১ দাবী আদায়ের লক্ষ্যে দিনাজপুরের বিরামপুরে পালিত হচ্ছে কলম বিরতি ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত প্রতিদিন বিরামপুর সাব রেজিস্ট্রী অফিসে ১৭ অক্টোবর হতে আজ অব্দি সারাদেশের ন্যায় এ কর্মসূচি পালন করে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশরা।বাংলাদেশ এক্সট্রা মোহরার (নকল নবীশ) এসোসিয়েশন এর বাস্তবায়নে বিরামপুর সাব রেজিস্ট্রী অফিসের সামনে নকলনবীশরা সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে অফিসে অবস্থান করে কলম বিরতি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, তাজিমুল ইসলাম নকলবিশ,প্রিতী রানি ,জাবের আলী, গোলাম মোস্তফা প্রমুখ। এমময় নকল নবীশ গোলাম মোস্তফা বলেন আমরা বৈষম্যের শিকার আমাদের বালাম সরকারি,কলম সরকারি, কিন্তু আমরা বেসরকারি। আমরা কাজ করলে পয়সা পায় নাহলে পায়না ১পৃষ্ঠা বালাম লেখলে ২৪ টাকা মাসে ৩শত পৃষ্ঠা লেখলে টাকা পায় ৭ হাজার ২০০ টাকা। সরকারি ছুটি থাকলে আমরা ছুটি উপভোগ করি কিন্তু টাকা পায়না, সুযোগ সুবিধা পায়না,আমরা বৈষম্যের শিকার। তাজিমুল ইসলাম (নকল নবীশ) বলেন, আমরা সরকারি অফিসে কাজ করি কিন্তু আমরা বেসরকারি। নকল নবীশ জাবের আলী বলেন, সারা দেশের ৫০৩ টি অফিসের ১৬ হাজার ২ শত ৪৫ জন নকল নবীশ আমরা সবাই বেসরকারি,সরকারি অফিসে কাজ করি আমরা বৈষম্যের শিকার।আমরা কেন এই বৈষম্যের শিকার? এই বৈষম্য দূর করার জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধ, দেশের জন্য প্রাণ দিল।এই বৈষম্য দূর করে আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য ১ দফা ১ দাবি আদায়ে কলম বিরতি চলছে। আমাদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে না নিলে আমরা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবো বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান।
নকল নবীশদের কলম বিরতির কারণে অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।মোস্তা হাসান বলেন,এই কলম বিরতির কারণে আমরা নকল তুলতে পারছি না, আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। তাদের এ সমস্যা অতি দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। সোহাগ বলেন,গত ৪ সপ্তাহ ধরে বিরামপুর রেজিস্ট্রী অফিসে নকল তুলতে আসতেছি কিন্তু নকল তুলতে পারতেছি না। নকল নবীশদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করবে বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট আহ্বান জানান ভুক্তভোগীরা।