মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স না থাকাসহ বিভিন্ন মেয়াদ উত্তীর্ণ ক্যামিকেল রাখার দায়ে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার ইউনিক,বেস্ট ওয়ান ও রনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড,১ টি সিলগালাসহ ২ জন প্রতিনিধিকে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুজহাত তাসনিম আওন।
মঙ্গলবার (২৭ আগষ্ট) সকাল থেকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দালাল নির্মূল করার লক্ষে অবস্থান নেয়। এসময় ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ২ জন প্রতিনিধিকে সন্দেহভাজন হওয়ায় বিরামপুর নতুন বাজার ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়ায় বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রসুল রাখি এবং বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওন কে অবগত করেন। পরবর্তীতে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রসুল রাখি ও বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাইসেন্স না থাকায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সিলগালা সহ ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২ জন প্রতিনিধিকে ১ মাস করে কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়াও বিরামপুর কলাবাগান মহাসড়কের পশ্চিমে অবস্থিত বেস্ট ওয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল থাকায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড় এলাকায় রনি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নুজহাত তাসনিম আওন। পরবর্তীতে জব্দকৃত মেয়াদ উত্তীর্ণ কেমিক্যাল গুলো জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযান পরিচালনায় সার্বিক সহোযোগিতা প্রদান করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরামপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্পোর্যাল সানোয়ারসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা, বিরামপুর থানা পুলিশের এসআই হায়দারসহ বিরামপুর থানা পুলিশের সদস্যগণ,বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও ডাঃ শাহরিয়ার পারভেজসহ অন্যান্য স্টাফগন,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী বাদশাহ মোহাম্মদ নাজ্জাসী, তন্ময়, শাওন প্রমূখ।