মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ কালবেলাকে বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মেহেরপুর থেকে ইতোমধ্যে বেশিরভাগ নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছে গেছেন; বিশেষ করে যাদের ঢাকায় থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকা পৌঁছে যাবে। সরকার গণপরিবহন বন্ধ রাখলেও যাতে অসুবিধায় পড়তে না হয়, তাই আগেভাগেই আমরা ঢাকা পৌঁছে যাব।
অন্যদিকে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু কালবেলাকে বলেন, সমাবেশ সফল করতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা যেভাবেই হোক সমাবেশে যোগদান করব। ঢাকায় সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে থাকবে। এ ছাড়া যুবদল, ছাত্রদলসহ মূল দলেরও ব্যাপক প্রস্তুতি আছে। কিছু কিছু নেতাকর্মী ইতোমধ্যে ঢাকায় চলে গেছে এবং ২৬-২৭ তারিখ পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মী পঞ্চগড় থেকে যাওয়ার প্রস্তুতি আছে। যদি ওইদিন গাড়ি বন্ধ থাকে তবে আমরা যে পর্যন্ত যাবে, সেখানেই অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুনব।
সমাবেশ প্রসঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু কালবেলাকে বলেন, ‘রাজশাহী থেকে ঢাকায় বিএনপির যেসব নেতাকর্মী মহাসবাবেশে যাবেন তাদের চার ভাগের এক ভাগ ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। বুধবারের (২৫ অক্টোবর) মধ্যে অধিকাংশ নেতাকর্মী বাস ও ট্রেনে ঢাকায় পৌঁছাবেন। যাদের জরুরি কাজ আছে কেবল তারাই ২৭ তারিখে ঢাকায় যাবেন।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের অধিকাংশ ট্রেন ও লোকাল বাসে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঢাকায় যাওয়া নিয়ে যানবাহনকেন্দ্রিক কোনো সমস্যা হয়নি।’
আগামী ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটাতে চায় বিএনপি। এজন্য বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। বিভিন্ন টিম গঠন করে দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। নেতারা মনে করেন, মহাসমাবেশে বড় জমায়েত করতে পারলে তাদের জনসমর্থন সবাই প্রত্যক্ষ করবে। এতে সরকারের ওপর বিদেশিদের চাপ আরও বাড়বে।