বাঘ প্রসঙ্গ ভারতের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে
- আপডেট সময় : ০৯:০৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
বেবি চক্রবর্ত্তী :কলকাতা :- ২০ ডিসেম্বর শুরুটা হয়েছিল ঝাড়গ্রামের কটচুয়ার জঙ্গল থেকে। সেখান থেকে বেলপাহাড়ির কাঁকড়াঝোড়, ময়ূরঝর্না-সহ বিভিন্ন এলাকায় একদিন কাটিয়ে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড়! সেখানে দক্ষ বনকর্মীদের টানা সাতদিন নাস্তানাবুদ করার পর শুশুনিয়া পাহাড় টপকে বাঁকুড়ায় ঢুকে ২৯ ডিসেম্বর ঘুম পাড়ানি গুলি খেয়ে ক্ষান্ত হয়েছিল বাঘিনি জিনাত বেশি দিন কাটেনি। এরই মধ্যে আবার হঠাৎ বাঘের প্রসঙ্গ উঠে এল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। আবারও নাকি একটা বাঘ ‘পাঠিয়ে দেওয়া’ হয়েছে বাংলায়। সোমবার গঙ্গাসাগর মেলার মঞ্চ থেকেই মমতা বললেন, ‘কেউ ধরতে পারল না। আমরা যেই বাঘকে ধরলাম ওমনি বলে ফেরত দাও, ফেরত দাও। আবার একটাকে পাঠিয়ে দিয়েছে। আতঙ্ক আমরা সহ্য করব। আর যেই আমাদের লোকেরা ধরবে ওমনি দাও দাও শুরু করল। কোনও রকম তাকে আহত না করে যেভাবে আমরা বাঘ ধরেছি সেটা একটা মডেল। এরই মধ্যে আবার একটা পাঠিয়ে দিয়েছে। এ আবার কী?এখানেই থামেননি মমতা। হুঙ্কারের সুরে বলেন, ‘যদি পাঠাতেই হয় তাহলে চিরকালের জন্য পাঠাক। আমরা রেখে দেব। তোমাদের জায়গা না থাকলে আমাদের টাইগার রিসোর্ট সেন্টার আছে, আমাদের ফরেস্ট আছে, সেখানে রেখে দেব। তোমাদের রাখার জায়গা নেই। কী করলে? নিয়ে গিয়ে জলে ছেড়ে দিলে। সেই জল পেরোতে কতক্ষণ। আবার একটা চলে এসেছে। আমি ওড়িশা সরকারকে দোষারোপ না করে অনুরোধ করব যে তাদের ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট যেন ব্যাপারটা দেখে। সব সময় যেন আমাদের দোষারোপ না করে। এর জন্য পাঁচটা দিন অনেকে দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে কাটিয়েছে। আমাদের পুলিশ কনভয় করে বাঘকে ফেরত দিয়ে এসেছে।স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আবার যে বাঘটা ঢুকেছে খোঁজ খবর করে তাকে যেন উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। বলেন, ‘বারবার আমার রাজ্যের মানুষ ভোগান্তি পোহাবে, তা হতে দেব না। বন্য জন্তুকে আমরা ভালবাসি। পাশাপাশি একটা মানুষের জীবনের দামও অনেক। আমি একতরফা কথা বলি না। কারণ, বন, অরণ্য, জঙ্গল পাহাড় সমুদ্র প্রকৃতি মাতার দান। আমরা সবাইকে ভালবাসি। সাথে সাথে মানুষের জীবনটাও রক্ষা করতে হবে।