বাংলার কৃষকদের শস্য-বিমা নিয়ে কথা দিয়ে কথা রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৭:৫২:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫ ১১ বার পড়া হয়েছে
বেবি চক্রবর্ত্তী: কলকাতা :- বাংলার কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের কথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কথা তিনি রাখলেন। ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় ৯ লক্ষ কৃষককে অর্থ সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো কাজ শুরু করে নবান্ন। কৃষকদের আর্থিক সাহায্যের এই বার্তা নিজেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।এবার ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।গত বছর রাজ্য একাধিক বার প্রতিকূল আবহাওয়ার কবলে পড়েছিল। দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হয়। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি বন্যার জলে ডুবে থাকে দীর্ঘ সময়। ধান-সহ অন্যান্য মরশুমি ফসল মাঠেই নষ্ট হয়েছিল। পুজোর আগে এই বন্যায় মাথায় হাত পড়েছিল কৃষকদের। প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সামনে পড়েছিলেন বাংলার কৃষকরা। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও কৃষকদের একই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিলেন।বছরের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে টুইট করলেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন,অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি,বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় আমরা বাংলার ৯ লক্ষ কৃষককে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৩৫০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু করলাম। চলতি খরিফ মরসুমে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যে সকল কৃষকের চাষের ক্ষতি হয়েছিল, তাঁদের এই সহায়তা করা হচ্ছে। ফসলের বিমার জন্য কৃষকদের কোনও টাকাও দিতে হচ্ছে না। কারণ, আলু, আখ সহ সব ফসলের প্রিমিয়ামের পুরো টাকাই রাজ্য সরকার দেয়।মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “এটা আমাদের গর্ব যে, ২০১৯ সালে চালু হবার পর থেকে কেবলমাত্র ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পেই আমাদের সরকার ১ কোটি ১২ লক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে মোট ৩ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন যে, মোদের চক্ষে জ্বলে জ্ঞানের মশাল বক্ষে ভরা বাক্,
কণ্ঠে মোদের কুণ্ঠা-বিহীন নিত্য-কালের ডাক।’সমাজের ভবিষ্যতের পথকে যারা কণ্টকবিহীন করে তোলে, যাদের মাধ্যমে সুমসৃণ হয় দেশের অগ্রগতি, যারা সর্বদা তমসাচ্ছন্ন পরিস্থিতিতে আলোকবর্তিকা রূপে কাজ করে – সেই নবদূর্বাদলের সঙ্গে অমূল্য এক সময় অতিবাহিত করলাম আজ। ধন ধান্য প্রেক্ষাগৃহে স্টুডেন্টস উইকের সমাপনী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাদের হাতে তুলে দিলাম – বিবিধ অনুমোদনপত্র ও শংসাপত্র এবং শুভেচ্ছাবার্তা। এর পাশাপাশি তিনি বলেন যে উদ্বোধন করলাম ধানুকা ধানসেরি টেবিল টেনিস অ্যাকাডেমি। আমি আশাবাদী, এই অ্যাকাডেমি থেকে আগামী দিন দেশ তথা বিশ্বের সেরা ক্রীড়াবিদ উদ্ভাসিত হবে। তদুপরি, সন্তোষ ট্রফি বিজয়ীদের হাতে তুলে দিলাম পুলিশের চাকরির শংসাপত্র। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার রাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য, অগণতি প্রকল্প নিয়ে এসেছে যা তাদের শিক্ষা জীবনে এনেছে আমূল পরিবর্তন। আমরা শুরুর দিন থেকে সকল স্তরের, সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বলময় ভবিষ্যতের জন্য কাজ করে চলেছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষা আনে সভ্যতা এবং সভ্যতা আনে মানবিকতা।
জীবনের পথচলা শুরু হয় শিক্ষা দিয়ে। মানবজীবনের অন্যতম সম্পদ হচ্ছে শিক্ষা। বাংলার মেধা আজ বিশ্বশ্রেষ্ঠ, যা পৃথিবীর কোণায় কোণায় ছড়িয়ে আছে। খেলাধূলা থেকে সংস্কৃতি, শিল্প থেকে বিজ্ঞান – সকল ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাক আমার বাংলা, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাত ধরে। আগামীর জয়গানের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে এসে হৃদয় আজ একরাশ আনন্দে ভরপুর। এছাড়াও, আজ বাংলার প্রথিতযশা শিল্পীদের উজ্জ্বল উপস্থিতি, দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখবে। আমি তাঁদের সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। আজকের কিছু বিশেষ মুহূর্ত।