বরিশাল বিভাগীয় বইমেলার শেষ দিনে উপচে পড়া দর্শনার্থীর ভিড়
- আপডেট সময় : ১২:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৩৫ বার পড়া হয়েছে
পারভেজ
বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বুধবার ৮ই নভেম্বর বিকেলে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে ফিতা কেটে ও বেলুন ফেস্টুন উড়িয়ে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র আয়োজিত বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী।
বই মেলা উপলক্ষে এই সাতদিন প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বই মেলা সর্বসাধারণের জন্য ছিলো উন্মুুক্ত।
মেলার সমাপনী দিনে বইপ্রেমী দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
এতে বই এর ষ্টলের লোকজনের মুখেও হাসি ফুটে উঠে।সকল শ্রেনী পেশার বইপ্রেমীদের সমাগমে মেলার মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে মেলায় কচিকাঁচার উৎসব, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও কুইজ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
এছাড়া, প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে।
সাতদিনব্যাপী এই বই মেলায় মোট ৬৪টি স্টল বরাদ্দ হয়, তবে এবারের বই মেলায় ভিন্নতা এনেছে পুরাতন বইয়ের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব গাছ।
‘পুরাতন বইয়ের পাতা হোক একটি গাছের পাতা’- এই স্লোগানগুলো উপলব্ধি করতে পারলেই ভেতর থেকেই পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন এর উদ্যোক্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মনদীপ ঘরাই।
তিনি বলেন, বিডি ক্লিন নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এখানে যে কোনো ধরনের বই দিয়ে সবাই গাছ নিতে পারবে। তবে শিশুদের পড়ার উপযোগী বই হলে বেশি ভালো হয়। আর এখান থেকে পাওয়া প্রতিটি বই যাবে ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে।’
বই মেলায় আগত দর্শনার্থী নুসরাত জাহান বলেন,বই দিয়ে গাছ বিনিময়ের আয়োজনটা দারুন লেগেছে।
এছাড়া তাদের চারিদিকে ব্যানারে লেখা স্লোগানগুলো মনোমুগ্ধকর হয়েছে।
তার মধ্যে, দিলে বই মিলবে গাছ, সুস্থ ভাবে নিবো শ্বাস, ফেললে ময়লা যত্রতত্র সবার হবে জীবন নাশ।
এছাড়া বইমেলাতে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে প্রদর্শনী ও বই পড়ার আয়োজন করেছে।
যেখানে বাংলাদেশের প্রথম হাতে লেখা সংবিধানসহ বিভিন্ন দুর্লভ বইয়ের দেখা মিলেছে।’
বরিশাল জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আজকাল ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে মানুষ বইয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। তারা এখন আর বই পড়তে চায় না, পত্রিকা পড়তে চায় না।
তারা সব কিছুই ইন্টারনেটের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছে। তাই বই পড়ার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়াতেই বিভাগীয় বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার ১৪ই নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বিভাগীয় বই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী।