মোঃ রাসেল হোসেন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
১২ই নভেম্বর উপকূল দিবসের দাবীতে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে সমাবেশ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করেছে দক্ষিণাঞ্চলের যুব সংগঠনের জোট বরিশাল যুব সংগঠন সমন্বয় পরিষদ।
আয়োজনে সংহতি জানায় বরিশালের শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠন শালিণ্য স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন, যুব সংগঠন বি পজিটিভ, প্রজ্ঞা ফাউন্ডেশন, ডিপেন্ডেবল ইয়ুথ সোসাইটি, বেঙ্গল ইয়ূথ ফাউন্ডেশন, পটুয়াখালীর বড়বাইশদি গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা ও বরগুনার গ্রীন পিস সোসাইটি।
মনপুরার ১৯৭০ এর ভয়াবহ মৃত্যুর মিছিলকে স্মরণীয় করতে উপকূল দিবস ঘোষণা সহ দেশের বর্তমান উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর দূর্দশা লাঘব করে তাদের জীবন মান উন্নয়নে উপকূল বিষয়ক মন্ত্রনালয় তৈরির দাবীও জানায় বক্তারা।
আয়োজনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের জাতীয় যুব কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগীয় প্রতিনিধি কিশোর চন্দ্র বালা মূল আলোচক হিসেবে দক্ষিণাচলের নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী জনজীবনের নানান দুঃখ ও প্রত্যাশার কথা তুলে ধরে স্থায়ী বেড়িবাদ নির্মানে সরকারের সুদৃষ্টি আহবান করেন।
সমাবেশে নারী সংগঠক শান্তা ইসলাম, শালিণ্য কর্মী জিসান হাওলাদার, স্থানীয় যুব নাদিয়া ও অনু আক্তার বক্তব্য রাখেন।
এই সময় কিশোর চন্দ্র বালা বলেন, আজ আমরা উপকূল দিবসের দাবীতে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে এসেছে আমাদের লক্ষ যেন নদীর পাড়ে অসহায় মানুষের জীবন মান উন্নয়নে লক্ষে সরকার সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহন করে।
তিনি আরো বলে, ৭০ এর ঘূর্ণিঝড়ে ১৫ থেকে ২৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপগুলো প্লাবিত হয়ে ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এ ঘূর্ণিঝড়টিকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থাও (ডব্লিউএমও) উল্লেখ করেছে তা যেন এখন আর না হয় তাই আমাদের করনীয় সম্পর্কে সবাই অবহিত করা।
পাশাপাশি ১৯৭০ সালের ভয়াল ১২ নভেম্বরের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভোলা, পটুয়াখালী, রামগতি, হাতিয়া, সন্দ্বীপসহ উপকূলের ১০ লাখ মানুষের নির্মম প্রাণহানির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জোর দাবি জানান।