বরিশালের লঞ্চ দূর্ঘটনায় আহত ৫০ যাত্রী
- আপডেট সময় : ০৭:৩২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১২৭ বার পড়া হয়েছে
পারভেজ, বরিশাল প্রতিনিধিঃ
ঢাকা থেকে ছেড়ে আশা-বরিশাল গামী এমভি সুন্দরবন লঞ্চ ও লাইটার জাহাজের সংঘর্ষে ত্রিশজন আহত হয়। এছাড়াও বরিশাল থেকে মজু চৌধুরীর হাট উদ্দেশ্য চন্দ্রদ্বীপ ও এ্যাডভেঞ্চা লঞ্চের সংঘর্ষে বিশজন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠে।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১২:৩০ টার সময় সুন্দরবন ১৬ লঞ্চটির সঙ্গে লাইটার জাহাজের দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।
চাঁদপুর মেঘনা নদীর (একলাসপুর) নামক স্থানের একটি চরে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়।
ঐ’লঞ্চে থাকা যাত্রী শিবু দাস বলেন, ঢাকা থেকে বরিশাল গামী এমভি সুন্দরবন লঞ্চ ও লাইটার জাহাজের সাথে ঘন কুয়াশার জন্য সংঘর্ষ হয়। লঞ্চের কিছ অংশ ধুমড়ে মুচড়ে যায় ও লঞ্চের নিচের প্রশস্ত ফেটে পানি প্রবেশ করেন। তবে গুরুতর আহত না হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে কান্নাকাটি, আতংকের বিরাজ করছে।
সুমন নামে এক যাত্রী বলেন, দূর্ঘটনার পড়ে ঘটনা স্থানে সুন্দরবন ১৫ লঞ্চেটি এসে ডেকের কিছু যাত্রী নিয়ে ৪:৪০ মিনিট সময় বরিশালে চলে যায়। কিন্তু কেবিনের যাত্রীরা সকাল ৮:২০ মিনিট সময় সুন্দরবন ১৪ লঞ্চে উঠেন।
এদিকে একই রাতে ঢাকা থেকে আশা এ্যাডভেঞ্চার -১ লঞ্চে সাথে পলাশপুর মোহাম্মদ পুর চরের মাথায় এমভি চন্দ্রদ্বীপ লোকাল লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় লঞ্চটির সামনে থেকে ধুমসে মুচড়ে যায়।
চন্দ্রদ্বীপ লঞ্চের মোঃমিলন মাষ্টার বলেন, শুক্রবার সকাল ৬: টার সময় বরিশাল লঞ্চঘাট থেকে পাতারহাট টু মজুচৌধুরীর হাটের উদ্দেশ্য ঘাট ত্যাগ করেন। তার বিশ মিনিটের মধ্যে এ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের সাথে দূর্ঘটার কবলে পড়ে। এসময় বিশ জনের মত আহত হয়। দুই নারী গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ভর্তি করানো হয়েছে। আর বাকি লোকজনকে স্থানীয় চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।
এ বিষয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষের মোবাইলে ফোন দিলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।
এবিষয়ে সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আঃ জলিল বলেন, কীর্তনখোলা নদীতে লঞ্চ দূর্ঘটার বিষয়টি শুনে ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে এই ঘটনা ঘটে।