তমিজ উদ্দিন চৌধুরী,
স্টাফ রিপোর্টার,ফেনী।
সুপ্রিম কোর্টকে বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক এবং ব্যাখ্যাকারী বলা হয়। বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ স্তর এই সুপ্রিম কোর্ট। আর প্রধান বিচারপতিই বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের সর্বোচ্চ এ আদালতে দুইটি বিভাগে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ দুটি বিভাগ হলো আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ। এই দুই বিভাগের সকল বিচারপতির অংশগ্রহণে যে সভা অনুষ্ঠিত হয় তাকেই 'ফুল কোর্ট' সভা বলা বলা হয়।
বিচার বিভাগের প্রধান নির্বাহী হিসেবে এই সভা আহ্বানের এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির। এতদিন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগে মোট ৯০ জন বিচারপতি ছিলেন।
এর মধ্যে আপিল বিভাগে সাতজন এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৮৩ জন বিচারকার্য পরিচালনা করতেন।
'ফুল কোর্ট' বৈঠকে বিচার বিভাগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবার সাথে আলোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।
অনেক সময় জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেও এ সভা আহবান করা হয়ে থাকে।
তবে, শনিবার ডাকা ফুল কোর্ট সভার ভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, তাদের কাছে তথ্য ছিল যে অন্তর্বর্তী সরকারকে "সাংবিধানিক ভাবে অবৈধ ঘোষণা" করতেই ফুল কোর্ট সভা আহ্বান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এই প্রধান বিচারপতি। অবশ্য এর আগে আরেক সমন্বয়ক যিনি বর্তমানে উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি কে বিনা শর্তে পদত্যাগের আহবান জানিয়ে স্টাটাস দিয়েছিলেন।