মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কাটলা দ্বী-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর ) বেলা ১১ ঘটিকায় কাটলা দ্বী-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিদ্যালয় মাঠ থেকে একটি বিশাল র্যালি বের করেন শিক্ষার্থীরা। র্যালিটি বিদ্যালয়ের পশ্চিমে ধানহাটি মোড় এলাকা প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয়ের পূর্ব পার্শ্বে বাজার হয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
এর আগে মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং গত বৃহস্পতিবার ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনরত শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাহমিদা, মেহজাবিন,সাহাদাতসহ ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মেঘা মনি,৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফরিন,প্রিন্স, আনোয়ার জানান, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট হয়েছে।মাস শেষে সরকারী বেতন এবং দোকানের ভাড়া নেয়ার জন্য বিদ্যালয়ে আসেন।দিন দিন বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান খারাপ হচ্ছে। এ কারনেই আমরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আজকেও মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি।
কাটলা দ্বী-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জুই,সাফিনুর ও নাইম ইসলাম বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দূর্নীতির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাথে একত্বতা প্রকাশ করেন এছাড়াও বিদ্যালয়ের কিছু সহকারী শিক্ষক ও অফিস সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিকে যৌক্তিক মনে করেন।
এবিষয়ে মুঠোফোনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওনের সাথে এবিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন,প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ পেয়েছি।বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা দেওয়া হয়েছে এবং ৩ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাওসার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, আজকে বিদ্যালয়ে গিয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আরো ১ দিন বিদ্যালয়ে যেতে হবে এ কারণে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনিম আওনের নিকট আরো ৭ কার্য দিবসের জন্য আবেদন করা হবে।