ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল ও শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান Logo ।ফটিকছড়ির নাজিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা Logo পলাশবাড়ীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo লক্ষীপুরে দুর্বৃত্তের হাত থাকে স্বামীকে বাচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গৃহবধূ নিহত Logo বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস Logo গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গাজীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে নালিশি জমিতে ১৪৪ ধারা জারী Logo ডাবল গরু ফুটবল টুর্নামেন্টে জগদলকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শাইখ স্পোর্টস বিরামপুর  Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা Logo চট্টগ্রাম বোয়াল খালিতে গৃহবধূ লিজাকে পরিকল্পিত হত্যা ও হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা

পলাশবাড়িতে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাসের সাঁকো

মো: রবিউল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

মো: রবিউল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:

গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ১ নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মচ্চ নদীর৷

অলিরঘাট পারাপারে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। একটি ব্রীজের অভাবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো গনকপাড়া গ্রামে সীমানা সংলগ্ন মচ্চ নদীর অলির ঘাট। নদীর ঘাট হতে ঘাটের কিনারা অনেক উচ্চতা (উচু) হওয়ায় নদী পারাপারে ভ্যান, রিক্সা, সাইকেল, মটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না, আর এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য তাদের শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলতেই পারে না।

নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থাও থাকেনা। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন আরো বেড়ে যায়। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্য-দিনের সঙ্গী।

অলিরঘাট পেড়িয়ে পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটের দুরুত্ব ২ কিলোমিটার, যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে ২ কিঃমিঃ এর স্থলে পথচারীদের ঘুরতে হয় অন্তত ৮ কিলোমিটার রাস্তা। তাই এ ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পথচারীরা এই ঘাট পার হয়ে বৃহত্তর হাট-বাজার গুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবী এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের।

স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম, ইয়াকুব আলী, বদরুল আলম জানান, আশে পাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পার হয়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট ব্যবসা বানিজ্য ও হাট-বাজার করে। তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে গিয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে তখন নদীর ওই পারে গাড়ী, সাইকেল রেখে আসতে হয়। শুকনা মৌসুম বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা পোহাতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।

স্থানীয় কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, এই এলাকার মানুষের পারাপারে জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে। তখন আর কারো সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে।

পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, আমরা প্রস্তাবনা পাঠাবো, যাতে ওখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়।

Translate »

পলাশবাড়িতে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাসের সাঁকো

আপডেট সময় : ০১:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

মো: রবিউল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার:

গাইবান্ধার জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ১ নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মচ্চ নদীর৷

অলিরঘাট পারাপারে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। একটি ব্রীজের অভাবে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৪০ বছরের পুরোনো গনকপাড়া গ্রামে সীমানা সংলগ্ন মচ্চ নদীর অলির ঘাট। নদীর ঘাট হতে ঘাটের কিনারা অনেক উচ্চতা (উচু) হওয়ায় নদী পারাপারে ভ্যান, রিক্সা, সাইকেল, মটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না, আর এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য তাদের শুকনা মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া চলতেই পারে না।

নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থাও থাকেনা। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন আরো বেড়ে যায়। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্য-দিনের সঙ্গী।

অলিরঘাট পেড়িয়ে পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটের দুরুত্ব ২ কিলোমিটার, যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে ২ কিঃমিঃ এর স্থলে পথচারীদের ঘুরতে হয় অন্তত ৮ কিলোমিটার রাস্তা। তাই এ ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পথচারীরা এই ঘাট পার হয়ে বৃহত্তর হাট-বাজার গুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবী এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের।

স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম, ইয়াকুব আলী, বদরুল আলম জানান, আশে পাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পার হয়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট ব্যবসা বানিজ্য ও হাট-বাজার করে। তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে গিয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে তখন নদীর ওই পারে গাড়ী, সাইকেল রেখে আসতে হয়। শুকনা মৌসুম বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সমস্যা পোহাতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।

স্থানীয় কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, এই এলাকার মানুষের পারাপারে জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে। তখন আর কারো সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে।

পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, আমরা প্রস্তাবনা পাঠাবো, যাতে ওখানে একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়।