ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল ও শিক্ষা বৃত্তির চেক প্রদান Logo ।ফটিকছড়ির নাজিরহাট বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা Logo পলাশবাড়ীতে যুবদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo লক্ষীপুরে দুর্বৃত্তের হাত থাকে স্বামীকে বাচাতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গৃহবধূ নিহত Logo বাতিল হচ্ছে জাতীয় ৮ দিবস Logo গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গাজীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে নালিশি জমিতে ১৪৪ ধারা জারী Logo ডাবল গরু ফুটবল টুর্নামেন্টে জগদলকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন শাইখ স্পোর্টস বিরামপুর  Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা Logo চট্টগ্রাম বোয়াল খালিতে গৃহবধূ লিজাকে পরিকল্পিত হত্যা ও হত্যাকারিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল Logo সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত  উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মতবিনিময় সভা

নির্ধারিত দামে কোথাও নেই এলপি গ্যাস, নৈরাজ্য চলছেই

মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার :
  • আপডেট সময় : ১১:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩ ৯১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার : বাংলাদেশে প্রতিটি জিনিসেরই মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে ভোক্তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায়, বাজার মূল্য সম্পূর্ণ তার উল্টো। এবার দেশের এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারেরও একই অবস্থা। দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দরদাম নির্ধারণের দায়িত্ব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)। বিশ্ববাজার এবং স্থানীয় বাজার ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে নিয়মিত এলপিজির সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করে যাচ্ছে জ্বালানি খাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গত কয়েক মাস ধরে রান্না ও পরিবহনের এ জ্বালানির দাম টানা বেড়েই চলেছে। এর পরও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিইআরসির নির্ধারিত দামের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না রাজধানীসহ দেশের সব জেলায়। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশ চড়া দামে বোতলজাত গ্যাস কিনতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডার। গতকাল এ সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। গত মাসে এ সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ২৮৪ টাকা। আইন-নিয়মের মধ্যেই গতকাল সন্ধ্যা থেকে আগের দামের সঙ্গে ৭৯ টাকা যুক্ত হলো। প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১১৩ দশমিক ৬১ টাকা। কিন্তু দাম নিয়ে গ্রাহক অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তারা বলছেন, এক বছরের বেশি সময় ধরেই তারা নির্ধারিত সময়ে এলপিজি কিনতে পারছেন না। বিক্রেতাকে ৫০-৬০ টাকার মতো বেশি দিতে হতো। গত তিন মাস ধরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে এ গ্যাস। গতকালের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর খুচরা দোকানদাররা এলপিজির দাম আরও বাড়িয়ে বিক্রি করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

গত সপ্তাহে রাজধানীর মিরপুর, টেকনিক্যাল, কল্যানপুর, গাবতলী, রামপুরা, আফতাবনগর, নতুনবাজার, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, লালবাগ, যাত্রাবাড়ীসহ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডার। তবে গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন, এ দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। অনেক সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়। এ গ্যাস না থাকলে বাসায় রান্না করা যায় না। কেননা অন্য বিকল্পগুলো আরও ব্যয়সাপেক্ষ। তাই এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। এমনকি টাকা পরিশোধের রসিদ চাইলেও দিতে চায় না বিক্রেতারা।

ঢাকার বাইরে, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় এলপিজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।

এলপিজি বোতলজাত এবং বিপণনে জড়িত একটি কোম্পানির এক শীর্ষ কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, বিইআরসি সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করছে সর্বনিম্ন ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনায় নিয়ে। তাই ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কমিশন বা লাভ বেশি থাকছে না। তাই পাইকারি পর্যায়ে ও খুচরা পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ রাখা যাচ্ছে না। তবে একজন ডিলার জানিয়েছেন, এলপিজি কোম্পানির গেট থেকেই তারা বেশি দামে কিনছেন। স্বাভাবিকভাবে তারা এবং খুচরা বিক্রেতারা তাই বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।

অতিরিক্ত দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি প্রসঙ্গে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন গণমাধ্যমে বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের মূল্যায়ন ও দাবি বিবেচনায় নিয়েই এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু খুচরা বাজারে মূল্যহার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের নৈতিক সমস্যা রয়েছে। বিইআরসি এবং জেলা প্রশাসন নির্ধারিত দামে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি নিশ্চিত করতে এখন অভিযান চালাচ্ছে।

অতিরিক্ত দামে এলপিজি বিক্রির বিষয় নিয়ে গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও। তিনি বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রিতে পরিবেশকদের অনেক এজেন্ট থাকে। তাদের আরও সাবএজেন্ট থাকে। তিন-চার হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে যায়। এতে ঘোষিত দামের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সহনীয় দামে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে চেষ্টা করবে হবে। তিনি বলেন, কমিশন দামের বিষয়টি নজরদারি করছে।

এদিকে জ্বালানি বিভাগ জানায়, দেশে ২০০৯ সালে এলপিজির বার্ষিক চাহিদা ছিল প্রায় ৬৬ হাজার টনের মতো। বর্তমানে চাহিদা ১৪ লাখ টনের বেশি। পাইপলাইন গ্যাস-সংযোগ অনেক বছর ধরে বন্ধ থাকায় এ চাহিদা ক্রমে বাড়ছে।

রাজধানীর মিরপুরে একটি দোকানে এলপিজি কিনতে আসা জাহিদ হোসেন নামে একজন বলেন, আমরা নিম্নবিত্ত মানুষ বড়োই বিপদে আছি। সরকার সবকিছুর দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বাজারে আসলে দোকানদার বলে- মামা কি করমু কেনাই বেশি। তাই একটু বেশি রাখা লাগে।’

অন্যদিকে পরিচয় গোপন রাখার জন্য করজোড়ে অনুরোধ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘স্যার আমরা ছোট দোকানি। পাইকারি দোকান থেকে কিনতে গেলে তারাই দাম বেশি রাখে। আমরা বাধ্য হয়ে অল্প কিছু বেশি রাখি স্যার। আমাদের পেটে লাথি দিয়েন না।’

ট্যাগস :
Translate »

নির্ধারিত দামে কোথাও নেই এলপি গ্যাস, নৈরাজ্য চলছেই

আপডেট সময় : ১১:২৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

মোঃ হাসানুজ্জামান সিনিয়র রিপোর্টার : বাংলাদেশে প্রতিটি জিনিসেরই মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে ভোক্তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায়, বাজার মূল্য সম্পূর্ণ তার উল্টো। এবার দেশের এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারেরও একই অবস্থা। দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দরদাম নির্ধারণের দায়িত্ব বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি)। বিশ্ববাজার এবং স্থানীয় বাজার ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে নিয়মিত এলপিজির সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করে যাচ্ছে জ্বালানি খাতের এ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গত কয়েক মাস ধরে রান্না ও পরিবহনের এ জ্বালানির দাম টানা বেড়েই চলেছে। এর পরও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিইআরসির নির্ধারিত দামের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না রাজধানীসহ দেশের সব জেলায়। নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশ চড়া দামে বোতলজাত গ্যাস কিনতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডার। গতকাল এ সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। গত মাসে এ সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ২৮৪ টাকা। আইন-নিয়মের মধ্যেই গতকাল সন্ধ্যা থেকে আগের দামের সঙ্গে ৭৯ টাকা যুক্ত হলো। প্রতি কেজি এলপিজির দাম ১১৩ দশমিক ৬১ টাকা। কিন্তু দাম নিয়ে গ্রাহক অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তারা বলছেন, এক বছরের বেশি সময় ধরেই তারা নির্ধারিত সময়ে এলপিজি কিনতে পারছেন না। বিক্রেতাকে ৫০-৬০ টাকার মতো বেশি দিতে হতো। গত তিন মাস ধরে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে এ গ্যাস। গতকালের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর খুচরা দোকানদাররা এলপিজির দাম আরও বাড়িয়ে বিক্রি করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

গত সপ্তাহে রাজধানীর মিরপুর, টেকনিক্যাল, কল্যানপুর, গাবতলী, রামপুরা, আফতাবনগর, নতুনবাজার, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, লালবাগ, যাত্রাবাড়ীসহ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডার। তবে গ্রাহকরা অভিযোগ করছেন, এ দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। অনেক সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করে স্থানীয় বাজারে এলপিজির দাম বাড়ানো হয়। এ গ্যাস না থাকলে বাসায় রান্না করা যায় না। কেননা অন্য বিকল্পগুলো আরও ব্যয়সাপেক্ষ। তাই এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। এমনকি টাকা পরিশোধের রসিদ চাইলেও দিতে চায় না বিক্রেতারা।

ঢাকার বাইরে, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় এলপিজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে।

এলপিজি বোতলজাত এবং বিপণনে জড়িত একটি কোম্পানির এক শীর্ষ কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, বিইআরসি সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করছে সর্বনিম্ন ফ্যাক্টরগুলো বিবেচনায় নিয়ে। তাই ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কমিশন বা লাভ বেশি থাকছে না। তাই পাইকারি পর্যায়ে ও খুচরা পর্যায়ে দাম নিয়ন্ত্রণ রাখা যাচ্ছে না। তবে একজন ডিলার জানিয়েছেন, এলপিজি কোম্পানির গেট থেকেই তারা বেশি দামে কিনছেন। স্বাভাবিকভাবে তারা এবং খুচরা বিক্রেতারা তাই বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।

অতিরিক্ত দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি প্রসঙ্গে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন গণমাধ্যমে বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের মূল্যায়ন ও দাবি বিবেচনায় নিয়েই এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু খুচরা বাজারে মূল্যহার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের নৈতিক সমস্যা রয়েছে। বিইআরসি এবং জেলা প্রশাসন নির্ধারিত দামে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি নিশ্চিত করতে এখন অভিযান চালাচ্ছে।

অতিরিক্ত দামে এলপিজি বিক্রির বিষয় নিয়ে গত সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও। তিনি বলেন, এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রিতে পরিবেশকদের অনেক এজেন্ট থাকে। তাদের আরও সাবএজেন্ট থাকে। তিন-চার হাত ঘুরে ক্রেতার কাছে যায়। এতে ঘোষিত দামের চেয়ে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সহনীয় দামে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে চেষ্টা করবে হবে। তিনি বলেন, কমিশন দামের বিষয়টি নজরদারি করছে।

এদিকে জ্বালানি বিভাগ জানায়, দেশে ২০০৯ সালে এলপিজির বার্ষিক চাহিদা ছিল প্রায় ৬৬ হাজার টনের মতো। বর্তমানে চাহিদা ১৪ লাখ টনের বেশি। পাইপলাইন গ্যাস-সংযোগ অনেক বছর ধরে বন্ধ থাকায় এ চাহিদা ক্রমে বাড়ছে।

রাজধানীর মিরপুরে একটি দোকানে এলপিজি কিনতে আসা জাহিদ হোসেন নামে একজন বলেন, আমরা নিম্নবিত্ত মানুষ বড়োই বিপদে আছি। সরকার সবকিছুর দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু বাজারে আসলে দোকানদার বলে- মামা কি করমু কেনাই বেশি। তাই একটু বেশি রাখা লাগে।’

অন্যদিকে পরিচয় গোপন রাখার জন্য করজোড়ে অনুরোধ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘স্যার আমরা ছোট দোকানি। পাইকারি দোকান থেকে কিনতে গেলে তারাই দাম বেশি রাখে। আমরা বাধ্য হয়ে অল্প কিছু বেশি রাখি স্যার। আমাদের পেটে লাথি দিয়েন না।’