নিক্সন চৌধুরির পথেই বরিশালের সাদিক
- আপডেট সময় : ০১:৪২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে
পারভেজ, বরিশাল প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা , সদরপুর চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে ঘঠিত ২১৪ ফরিদপুর-৪ আসনটি । এ আসনে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থীকে হারিয়ে মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরি বিজয় লাভ করে। আগামী ৭ই জানুয়ারী২০২৪ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আ”লীগের মনোনায়ন পায়নি নিক্সন তবে তিনি আগেরমত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবারো নির্বাচনের ঘোষনা দিয়েছে । বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের বড় বোন শেখ ফাতেমা বেগম ও ছোট বোন শেখ আছিয়া বেগম তারা ২ জনে নিক্সনের দাদী ও নানী সে দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটতম আত্মীয় বটে নিক্সন ।
অন্যদিকে শেখ মজিবুর রহমানের ভাগিনা বরিশাল -১ আসনের এম,পি আবুল হাসনাত আবদুল্লার পুত্র ও ঝালকাঠি জেলার নলছিটির দপদপিয়া এলাকার সমাজসেবক আনোয়ার সিকদারের মেয়ে জামাই বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বরিশাল সদর- ৫ আসন থেকে। দলীয় কিছু নেতা কর্মীদের কাছে সাদিক অপ্রিয় হলেও তরুন ও গরিব দু:খী অসহায় মানুষদের কাছে বেশ জনপ্রিয় সাদিক । দেশে মহামারি করোনা ভাইরাস চলা কালে বেশ সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বরিশালে আলোচিত হন সাদিক।
মেয়র থাকা কালিন সিটি করপোরেশনের নিজেস্ব আয়ের মধ্যে দিয়েই চালিয়েছে সিটি এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ড । দেখিয়ে দিয়েছেন সৎ ভাবে কাজ করলে সিটি করপোরেশনে আয় দিয়েই উন্নয়ন করা কতটা সম্ভব । তবে মেয়র থাকা কালীন ভুলবশত কিছু বিচ্ছিন্ন বির্তকের জন্ম দিয়ে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বরিশাল সিটির মেয়র পদের মনোনয়ন থেকে বাদ পরলেও তার চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত মনোনায়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন ।
গত কয়েক বছরে দেখা গেছে সরকার দলীয় বেশির ভাগ মনোনীত প্রার্থী যে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করেছে, তবে কিছু ব্যক্তিক্রম ঘটনা ঘটেছে অনেক স্থানে গাজীপুর সিটি করপোরশন ২০২৩ নির্বাচনে আ”লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের মাতা জায়েদা খাতুন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আ”লীগের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লাহ খানকে পরাজিত করে নিজ জনপ্রিয়তায় জায়েদা নির্বাচিত হন। জায়েদা ও নিক্সন নিজ গুনাবলে জনপ্রিয় হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে চমক দেখিয়েছেন।
বরিশালে তৃণমূল নেতা কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় সাদিক অতীতের ভুল শুধরে আবারো জনগনের সেবক হতে চান এমনটাই আভাস দিয়েছেন । সাদিক মহানগর আ”লীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ায় সংগঠনের ভিতর তার বেশ শক্ত অবস্থান রয়েছে । এছাড়া বাবা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর পুত্র হবার সুবাদে বরিশালে তার সিনিয়র অনেক নেতা কর্মীরা তার পক্ষে রয়েছে । প্রায়ত মেয়র শওকত হোসেন হিরন মৃত্যুর পরপরই বরিশাল মহানগর আ”লীগের হাল ধরেন সাদিক । তার কর্ম দক্ষতায় খুব অল্প সময়ই অনেকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হন তিনি । তাই আ”লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে পরলে ২০১৮ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আ”লীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে বিজয় লাভ করেন । সাদিকের সংসদ সদস্যের প্রার্থী হওয়ার খবরে বরিশালের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে । এরিমধ্যে তার সমর্থকরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার প্রচরনা শুরু করে দিয়েছে বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে মত প্রকাশের মাধ্যমে তাকে অনেকে সমর্থন জানাচ্ছে এবং অনেকে মনে করে সাদিক আ”লীগের ভোটের পাশাপাশি বিএনপি ও চরমোনাইর ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখার বেশ ভোট রয়েছে এ আসনে যেহেতু ওই দুই দলের নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার সম্ভবনা নাই সেহেতু তাদের সাধারন ভোটারদের সমর্থন পেতে পারে।
আ”লীগের মনোনীত প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়
আগেভাগেই জমে উঠেছে বরিশাল-৫ আসনের নির্বাচন।তবে শেষ হাসি কে হাসবেন সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হবে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।